অনুব্রত মণ্ডল। —ফাইল চিত্র।
নিজের দলের বীরভূম জেলা সভাপতিকে সম্প্রতি ধমক দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কুকথা আর নয়— প্রকাশ্য সভামঞ্চ থেকে অনুব্রত মণ্ডলকে সতর্ক করেছেন তিনি। কিছু দিন অন্তরই অশালীন বা অসতর্ক বা আপত্তিকর মন্তব্য করতে অনুব্রত মণ্ডলের জুড়ি মেলা ভার। গোটা বাংলাই তার সাক্ষী। কিন্তু তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতিকে কখনওই তার জন্য তীব্র ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হয়নি। প্রচ্ছন্ন প্রশ্রয়ই পেতে দেখা গিয়েছে বরং কখনও কখনও। এ বার অনুব্রতকে ভর্ৎসিত হতে হল কিয়ৎ। তৃণমূল চেয়ারপার্সন তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী নিজে সতর্ক করলেন। অনুব্রত মণ্ডলও জানালেন, তিনি সতর্ক থাকবেন। সত্যিই সতর্ক এবং সংযত থাকবেন তো অনুব্রত? না হলে কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূলনেত্রীর ‘সতর্কবার্তা’কে ঘিরেই গুচ্ছ প্রশ্ন উঠে যাবে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, তিনি শেষ বারের মতো সতর্ক করছেন অনুব্রত মণ্ডলকে। এ কথার অর্থ হল, আগেও এক বা একাধিক বার সতর্ক করা হয়েছে বীরভূমের তৃণমূল সভাপতিকে। সে ক্ষেত্রে একটা প্রশ্ন জাগে— আগের সতর্কবার্তা কি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই দিয়েছিলেন, নাকি অন্য কেউ? আরও একটা প্রশ্ন জাগে— সতর্কবার্তা যাঁর তরফ থেকেই আসুক, অনুব্রত মণ্ডল তা অগ্রাহ্য করতে পারলেন কী ভাবে? তাঁকে আবার বা শেষ বারের মতো সতর্ক করার প্রয়োজন পড়ল কেন?
সম্পাদক অঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা আপনার ইনবক্সে পেতে চান? সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
প্রশাসক হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বেশ কড়া ধাঁচেরই। নিজের দলের উপরে নিয়ন্ত্রণও নিরঙ্কুশ তাঁর। এ হেন নেত্রীর হুঁশিয়ারির মুখে পড়েও অনুব্রত মণ্ডল কুকথার স্রোত বহাল রাখবেন, এমনটা বিশ্বাস করা কষ্টকর। প্রশ্ন সেই কারণেই উঠছে এতগুলো।
আরও পড়ুন: কুকথা বন্ধ করো, অনুব্রতকে ধমক মমতার
প্রশ্নমালাকে আপাতত এক পাশে সরিয়ে রাখা যাক। শুধু মনে করিয়ে দেওয়া যাক, এই সতর্কবার্তার প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দায়বদ্ধতাও কিন্তু কিছু কম নয়। অনুব্রত মণ্ডল এখন থেকে সতর্ক থাকতে দায়বদ্ধ তো বটেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও কিন্তু দায়বদ্ধ— অনুব্রত সতর্ক থাকলেন কি না, সে দিকে লক্ষ্য রাখতে। কারণ আমরা বিশ্বাস করি যে, পৃথিবীটা গ্যালারি নয়। আমরা এও বিশ্বাস করি যে, এ পৃথিবীতে সকলেই শুধুমাত্র গ্যালারিকে দেখানোর উদ্দেশ্যে খেলেন না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy