রাত পোহানোর আগেই...। ডোমকলে। ছবি: সাফিউল্লা ইসলাম
সত্তর বছর পূর্ণ করে একাত্তরে পা আমাদের স্বাধীনতার আজ। নিঃসন্দেহে জাতীয় গৌরবের মুহূর্ত এক। কিন্তু এমন এক সময়ে স্বাধীনতার উদযাপন এ বছর, যখন পটভূমিকায় শিশুমৃত্যুর মিছিলের করাল ছবি, দেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে বন্যার ভয়াল গ্রাস। বেশ খানিকটা হাহাকারকে আবহে নিয়েই তাই একাত্তরে পা রাখতে হচ্ছে। স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠছে— জীবন, জীবিকা, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, মত প্রকাশ-সহ যে অধিকারগুলোর সমন্বিত নাম স্বাধীনতা, সেই সবকটা অধিকার আমরা পূর্ণত পেয়েছি তো?
স্বাধীনতাকে কী চোখে দেখছে ভারত, স্বাধীনতার কাছ থেকে ঠিক কী কী প্রত্যাশিত ছিল, স্বাধীনতাকে ঘিরে উচ্ছ্বাস আমাদের কতটা আজ, স্বাধীন ভারতের কাছ থেকে আজকের নাগরিক কী কী চান— উত্তর খুঁজেছি আমরা। উত্তর দিয়েছেন রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্ত বা কানহাইয়া কুমার বা জয়া মিত্র। উত্তর দিয়েছেন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া বা ব্যস্ত তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী বা তরুণ প্রজন্মের কোনও প্রতিনিধি।
১৯৪৭-এর সেই ১৫ অগস্ট কী রকম ছিল, সকালটা কতটা উচ্ছ্বসিত ছিল, বিপুলা ভারত কতটা আপ্লুত ছিল, সাত দশক পেরিয়ে এসে তা উপলব্ধি করা একটু শক্ত। কিন্তু ৭১তম স্বাধীনতা দিবসের সকালে সেই প্রথম সকালকে যাতে ফিরে দেখতে পারেন পাঠক, তার জন্য আমরা তুলে এনেছি একগুচ্ছ দুর্লভ ছবি, মুভি ক্যামেরায় ধরে রাখা দুর্লভতর মুহূর্ত।
অসীম যত্নে এবং পরম আন্তরিকতায় স্বাধীনতা দিবসের সকালে আমরা এই উপহারের ডালি সাজিয়েছি পাঠকের জন্য। আবহে হাহাকার কিছুটা থাকলেও, আবেগে, অনুভূতিতে, আতিশয্যে, উষ্ণতায় স্বাধীনতা দিবস চির উজ্জ্বল, চির গৌরবময়। এমন এক সকালে সমগ্র জাতির জন্য রইল শুভেচ্ছা। পরিপূর্ণতায় পৌঁছনোর সংগ্রাম যদি এখনও বাকি থেকে থাকে কিছুটা, তা হলে সেই সংগ্রামকে গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়ার শপথ নিতে হবে আজই। বেপথু হয়ে পড়ার প্রবণতা যদি বাসা বেঁধে থাকে জাতীয় মননের কোনও কোণে, তা হলে সংশোধনের শপথও নিতে হবে আজই। দৃঢ় হোক শপথ, দৃঢ় হোক প্রত্যেক নাগরিকের স্বাধীনতার প্রতি প্রত্যেক নাগরিকের অঙ্গীকার। শুভেচ্ছা রইল তার জন্যও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy