অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীদের ছোড়া বোমার আঘাতে মৃত্যু হল এক আদিবাসী মহিলার। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার রাত আড়াইটে নাগাদ বীরভূমের ইলামবাজার থানার বিলাতি গ্রাম পঞ্চায়েতের কুলুপডাঙা গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম চুড়কি সোরেন (৪০)। বোমায় ঘায়ে মাথায় আঘাত লেগেছে তাঁর স্বামী বুড়ো সোরেনেরও। চুরি করতে এসে দুষ্কৃতীরা এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে ওই পরিবারের তরফে দাবি করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই গ্রামে বুড়ো সোরেনের জমিজমা রয়েছে। চাষবাস করেই সংসার চলত তাঁদের। বুড়োর একমাত্র ছেলে ছোটন রবিবার জানিয়েছেন, তাঁদের বাড়ির গোয়াল ঘরের পাশেই একটি থাকার জায়গা রয়েছে। ঘটনার সময় সেখানেই একটি খাটিয়ায় শুয়ে ছিলেন তাঁর বাবা-মা। আর পাশের বাড়িতে ঘুমোচ্ছিল সে। হঠাৎ প্রচণ্ড শব্দে ঘুম ভেঙে যায় তাঁর। সঙ্গে সঙ্গে ছুটে বাড়িতে চলে আসেন তিনি। এসে দেখেন চার পাশ ধোঁয়ায় ছেয়ে গিয়েছে। যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন তাঁর বাবা। পাশে পড়ে রয়েছে তাঁর মায়ের নিথর দেহ। ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে চুড়কি দেহ উদ্ধার করে। ময়নাতদন্তের জন্য দেহ বোলপুর মহকুমা হাসাপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
তৃণমূলের ব্লক সভাপতি জাফারুল ইসলাম জানিয়েছেন, ২০০৫ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে তাঁদের দলের প্রার্থী হয়েছিলেন বুড়ো সোরেন। এ দিন ছোটনও জানিয়েছেন, তাঁরা তৃণমূল সমর্থক। তবে, এই ঘটনার মধ্যে কোনও রাজনৈতিক রং লাগানো অনুচিত হবে বলে দাবি জাফারুলের। এ দিন ছোটন বলেন, “বেশ কয়েক দিন ধরেই গ্রামে চুরি-ডাকাতি হচ্ছিল। গরু-মোষও চুরি হয়ে যাচ্ছিল। সম্ভবত তাঁদের বাড়িতে গরু চুরি করতেই ঢুকেছিল দুষ্কৃতীরা। এবং তখনই বোমাবাজি করে তারা।”
এ দিন ঘটনাস্থলে যান বোলপুরের এসডিপিও অম্লানকুসুম ঘোষ। তবে এই ঘটনার কারণ সম্পর্কে এখনই মুখ খুলতে নারাজ পুলিশ। বোমাবাজির প্রকৃত কারণ খোঁজা হচ্ছে বলে জানিয়েছে তারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy