কোচবিহারে এক তৃণমূল কর্মীর খুনকে ঘিরে চাঞ্চল্য দানা বেঁধেছে। শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে কোচবিহারের ঠকেরবাজার এলাকায়। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের নাম জনাব আলি (৪৭)। তৃণমূলের গোষ্ঠীসংঘর্ষ না পারিবারিক বিবাদের জেরে এই খুন তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। যদিও গোষ্ঠীসংঘর্ষের অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল নেতৃত্ব।
কী ঘটেছিল ওই দিন?
পুলিশ জানায়, ওই দিন রাত ১২টা নাগাদ কাজ সেরে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। তাঁর সঙ্গে ছিলেন ওই এলাকারই আরও কয়েক জন তৃণমূল কর্মী। হঠাত্ই তাঁদের নিজেদের মধ্যে বচসা শুরু হয়। এই বচসা ক্রমে হাতাহাতিতে গড়ায়। অভিযোগ, বচসা চলাকালীন জনাব আলিরই এক দূর সম্পর্কের ভাই ছুরি দিয়ে তাঁর পেটে আঘাত করে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। হাতাহাতির খবর পেয়ে এলাকার বাসিন্দারা ছুটে এলে বাকিরা সেখান থেকে পালিয়ে যান। গুরুতর জখম অবস্থায় আরও চার জনকে নিয়ে যাওয়া হয় কোচবিহার এমজেএন হাসপাতালে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, দীর্ঘদিন ধরে ওই এলাকায় তৃণমূলের দু’টি দলের মধ্যে বিবাদ চলছিল। জনাব আলি ও তাঁর দল ওই এলাকায় নানা অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে জড়িত। জনাব আলির বিরুদ্ধে ডাকাতি, তোলাবাজি-সহ নানা দুষ্কর্মের অভিযোগ রয়েছে। বেশ কয়েকবার জেলও খেটেছেন তিনি। তৃণমূলের গোষ্ঠীবিবাদের জেরেই জনাব আলিকে খুন করা হয়েছে বলে দাবি তাঁর পরিবারের লোকজনের।
কোচবিহারে তৃণমূলের ১ নম্বর ব্লক সভাপতি খোকন মিঞা বলেন, “আমাদের এক কর্মীকে খুন করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত এই বিষয়ে কিছু জানা যায়নি। দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা করেই বিষয়টি নিয়ে কথা বলা যাবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy