Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

কৃষ্ণাঙ্গ কিশোরের মৃত্যুর রায় নিয়ে বিক্ষোভ আরও ছড়াল

মিসৌরির ফার্গুসনের বিক্ষোভ আমেরিকার আরও কয়েকটি শহরে ছড়িয়ে পড়ল। ছোট-বড় মিলিয়ে আমেরিকার প্রায় ১৭০টি জায়গায় বিক্ষোভের খবর মিলেছে। এ দিকে এই প্রথম সংবাদমাধ্যমের কাছে মুখ খুলেছেন পুলিশ অফিসার ড্যারেন উইলসন। তিনি জানিয়েছেন, নিজের বিবেকের কাছে তিনি পরিষ্কার। ওই ধরনের পরিস্থিতি আবার হলে তিনি একই কাজ করবেন। গ্র্যান্ড জুরি কৃষ্ণাঙ্গ কিশোর মাইকেল ব্রাউনের মৃত্যুতে শ্বেতাঙ্গ পুলিশ অফিসার ড্যারেন উইলসনকে হত্যার দায় থেকে নিষ্কৃতি দেওয়ায় মার্কিন সময় সোমবার রাত থেকে ফার্গুসন জুড়ে বিক্ষোভ শুরু হয়।

প্রতিবাদে পথে মানুষের মিছিল। ছবি: পিটিআই

প্রতিবাদে পথে মানুষের মিছিল। ছবি: পিটিআই

সংবাদ সংস্থা
শেষ আপডেট: ২৬ নভেম্বর ২০১৪ ১৯:০৯
Share: Save:

মিসৌরির ফার্গুসনের বিক্ষোভ আমেরিকার আরও কয়েকটি শহরে ছড়িয়ে পড়ল। ছোট-বড় মিলিয়ে আমেরিকার প্রায় ১৭০টি জায়গায় বিক্ষোভের খবর মিলেছে। এ দিকে এই প্রথম সংবাদমাধ্যমের কাছে মুখ খুলেছেন পুলিশ অফিসার ড্যারেন উইলসন। তিনি জানিয়েছেন, নিজের বিবেকের কাছে তিনি পরিষ্কার। ওই ধরনের পরিস্থিতি আবার হলে তিনি একই কাজ করবেন।

গ্র্যান্ড জুরি কৃষ্ণাঙ্গ কিশোর মাইকেল ব্রাউনের মৃত্যুতে শ্বেতাঙ্গ পুলিশ অফিসার ড্যারেন উইলসনকে হত্যার দায় থেকে নিষ্কৃতি দেওয়ায় মার্কিন সময় সোমবার রাত থেকে ফার্গুসন জুড়ে বিক্ষোভ শুরু হয়। সঙ্গে চলে অগ্নিসংযোগ, লুঠপাট, দোকান-গাড়ি ভাঙচুর ও পুলিশকে আক্রমণ। তবে মঙ্গলবার রাতে ফার্গুসন আগের দিনের তুলনায় অনেকটা শান্ত ছিল। এর মধ্যেই ফার্গুসনের টাউন হল থানায় সামনেই পুলিশের গাড়িই জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। বেশ কয়েকটি মিছিলও বেরোয়। এই ঘটনায় পুলিশ ৪৪ জনকে গ্রেফতার করেছে। তবে সোমবার রাতের অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ফার্গুসনের বেশ কিছু বাণিজ্যকেন্দ্রের প্রভূত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

অন্য দিকে, এই ধরনের ঘটনার নিন্দা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। বিক্ষোভের নামে অগ্নিসংযোগ, লুঠপাঠকে কোনও মতেই সমর্থন করা যায় না বলে তিনি জানিয়েছেন। পাশাপাশি, কৃষ্ণাঙ্গদের মধ্যে প্রশাসন সম্পর্কে কী ভাবে বিশ্বাস ফিরিয়ে আনা যায় তা খতিয়ে দেখতে মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল এরিক হোল্ডারকে নির্দেশও দিয়েছেন। মার্কিন প্রশাসন সূত্রে খবর, ফার্গুসন পুলিশ কৃষ্ণাঙ্গদের প্রতি বিদ্বেষমূলক আচরণ করে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

কিন্তু প্রশাসনের এই আশ্বাসের পরেও আস্থা ফেরেনি। তার প্রমাণ আরও বেশ কয়েকটি শহরে নতুন করে বিক্ষোভ শুরু হওয়া। এর মধ্যে ক্যালিফোর্নিয়া প্রদেশের ওকল্যান্ডে বিক্ষোভ হিংসাত্মক চেহারা নেয়। বিক্ষোভ দেখাতে পথে নেমেছিলেন প্রায় চার হাজার নাগরিক। গাড়ি ভাঙচুর, দোকান লুঠ হয়। পাশাপাশি রাস্তার ধারে লাইন দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। ফলে গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এই শহরে ৪৩ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।

লস এঞ্জেলসে ১০১ ফ্রিওয়ের ধারে বিক্ষোভকারীরা জমা হন। রাস্তাটিতে যান চলাচল বন্ধ করে দেন তাঁরা। পুলিশের সদর দফতরের সামনেও বিক্ষোভকারীরা জমায়েত করেন। স্থানীয় পুলিশ সূত্রে খবর, বেশ কয়েক জন বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নিউ ইয়র্কে বিশাল মিছিল বের হয়। টাইম স্কোয়্যার, হারলেম থেকে রাষ্ট্রপুঞ্জের সদর দফতর— বিক্ষোভকারীরা বেশ কয়েকটি জায়গায় জমায়েত করে। বর্ণবিদ্বেষের বিরুদ্ধে দীর্ঘ দিনের পুঞ্জীভূত ক্ষোভ মাইকেল ব্রাউনের ঘটনায় বাইরে বেরিয়ে এসেছে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। এ ছাড়া বোস্টন, ডেনভার, ডালাস, মিনিয়াপলিস, শিকাগো, আটলান্টা, সিয়াটেলের মতো শহরেও বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

farguson
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE