ধৌলা কুঁয়া গণধর্ষণ-কাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত পাঁচ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল আদালত। সোমবার এই রায় দেন দিল্লির এক আদালতের অতিরিক্ত দায়রা বিচারক বীরেন্দ্র ভট্ট।
২০১০ সালে ধৌলা কুঁয়ায় এক কলসেন্টার কর্মীকে অপহরণের পর গণধর্ষণ করে শামশাদ ওরফে খুটকন, উসমান ওরফে কালে, শাহিদ ওরফে ছোটা বিল্লি, ইকবাল ওরফে বড়া বিল্লি এবং কামরুদ্দিন ওরফে মোবাইল। গত ১৪ সেপ্টেম্বর এদের দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। যাবজ্জীবন ছাড়াও ওই পাঁচ জনের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক কাজের অভিসন্ধির জন্য পাঁচ বছরের সশ্রম এবং অপহরণের দায়ে সাত বছর কারাবাসের সাজা শুনিয়েছেন বিচারক। পাশাপাশি দোষীদের ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানাও করা হয়েছে।
২০১০ সালে ২৪ নভেম্বর দিল্লির মঙ্গলপুরী এলাকায় গণধর্ষণের শিকার হন উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বাসিন্দা ওই মহিলা কর্মী। বছর তিরিশের ওই মহিলা ধৌলা কুঁয়ায় এক কলসেন্টারে কাজ করতেন। ঘটনার দিন রাতের শিফটে কাজ সেরে অফিসের গাড়িতেই বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। তাঁর বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে গাড়ি তাঁকে নামিয়ে দেয়। এর পর হেঁটেই বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। সঙ্গী ছিলেন তাঁর এক বন্ধু। সেই সময় ওই মহিলাকে অপহরণ করে মঙ্গলপুরী এলাকায় নিয়ে যায় দোষীরা। সেখানে তাঁকে গণধর্ষণের পর নির্জন রাস্তায় ফেলে পালিয়ে যায় তারা। ঘটনার কথা মহিলা তাঁর সেই বন্ধুকে ফোন করে জানান। এর পরে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়। মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে ওই পাঁচ জনকেই গ্রেফতার করে মামলা দায়ের করে পুলিশ। এই ঘটনার পর নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। রাজধানী এবং তার আশপাশের কলসেন্টারে কর্মরত মহিলাকর্মীদের নিরাপত্তা বাড়াতে বাধ্য হয় দিল্লি সরকার।
এ দিন রায় শোনার পরে ভিড়ে ঠাসা আদালতে অজ্ঞান হয়ে পড়ে শাহিদ। অন্য দোষীদের আত্মীয়েরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। এই রায়ের বিরুদ্ধে দিল্লি হাইকোর্টেও আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছেন দোষীদের আত্মীয়েরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy