আইএস-এর উপরে আমেরিকার বিমান হামলার পরে ইরাকের গ্রামে এক কুর্দ যোদ্ধা। ছবি: রয়টার্স।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার নীতি অনুসারে ইসলামিক স্টেট-এর (আইএস) বিরুদ্ধে এ বার আক্রমণাত্মক ভূমিকা নিল মার্কিন বায়ুসেনা। এই নীতি মেনেই রবিবার ও সোমবার আইএস-এর উপরে হামলা চালাল মার্কিন বায়ুসেনা। মার্কিন সেনার সেন্ট্রাল কম্যান্ড (সেট কম) সূত্রে এই খবর জানান হয়েছে।
সেট কম সূত্রে খবর, প্রেসিডেন্টের ঘোষণা অনুযায়ী এ বার থেকে আক্রমণাত্মক ভূমিকা নিতে শুরু করল মার্কিন বায়ুসেনা। এর আগে শুধু আইএস-এর অগ্রগতি ঠেকানো এবং মার্কিন সম্পদ ও নাগরিকদের রক্ষা করাই মূল উদ্দেশ্য ছিল। এ বার আইএস-কে নির্মূল করতে এবং ইরাকি সেনাকে অভিযানে সাহায্য করতে বাগদাদের দক্ষিণ-পশ্চিমে ও সিনজারে আক্রমণ চালানো হয়েছে।
বাগদাদের দক্ষিণ-পশ্চিমে আইএস-এর একটি অবস্থানে হামলা চলে। এখান থেকে ইরাকি সেনার উপরে ক্রমাগত আক্রমণ চলছিল। সিনজারের হামলায় আইএস-এর ছ’টি সাঁজোয়া গাড়ি ধ্বংস হয়েছে। আক্রমণের পরে বিমানগুলি নিরাপদেই ফিরে এসেছে বলে সেট কম সূত্রে খবর। এ নিয়ে ইরাকে মোট ১৬২ বার বিমান হানা চালাল মার্কিন বায়ুসেনা। সেট কম স্পষ্ট করে না জানালেও ইরাকি সেনা সূত্রে খবর, বাগদাদের ২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে সাদর আল-ইউসুফিয়া-য় মার্কিন হামলা হয়েছে।
এ ভাবে মার্কিন হানা চলতে থাকলে আমেরিকা ও তার সহযোগী দেশগুলির উপরে পাল্টা আক্রমণ চালানোর হুমকি দিল জঙ্গিরা। জঙ্গিদের হয়ে ‘মিনবার জিহাদি মিডিয়া’ ওয়েবসাইটে এই হুমকি দিয়েছে। এ ক্ষেত্রে আইএস-এর হয়ে লড়তে আসা পশ্চিমী বিশ্বের জঙ্গিরা বড় ভূমিকা পালন করতে পারে বলে পশ্চিমী গোয়েন্দাদের ধারণা। আইএস-এর হয়ে এমন বেশ কয়েক হাজার জঙ্গি লড়ছে। এর মধ্যে জেমস ফোলি, স্টিভেন সটলফ এবং ডেভিড হাইনেস-এর হত্যা এক পশ্চিমী জঙ্গিই করেছে বলে গোয়েন্দারা মনে করছেন। ফলে জঙ্গিদের হুমকিকে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা হচ্ছে।
এ দিকে প্যারিসের সম্মেলনে ইরানকে আমন্ত্রণ না করার নীতিকে ইরাক সমালোচনা করেছে। ইরাকের বিদেশমন্ত্রী ইব্রাহিম আল-জাফরি বলেন, “এটি দুঃখজনক। ইরান আমাদের প্রতিবেশী দেশ। ইরান আমাদের নানা ভাবে সাহায্য করেছে। ইরানকে এই সম্মেলনে ডাকা উচিত ছিল। কিন্তু আমন্ত্রণ জানানোর দায়িত্ব আমাদের হাতে ছিল না।” যদিও গত সপ্তাহে মার্কিন বিদেশসচিব জন কেরি আইএস বিরোধী জোটে সিরিয়া ও ইরানকে সামিল করাতে রাজি নন বলে জানান। এই সুযোগে কোনও ভাবেই যাতে সিরিয়ার বাসাদ-সরকার, ইরান এবং লেবাননের শিয়া হিজবুল্লার শক্তিবৃদ্ধি না-করে সে দিকে কঠোর নজর রাখা হচ্ছে। সিরিয়াকেও এই সম্মেলনে আমন্ত্রণ করা হয়নি।
এ দিকে, ইরানের কাছে আমেরিকা সাহায্য চেয়েছিল বলে ইরানের ধর্মীয় প্রধান আয়াতোল্লা আল খামেনি দাবি করেছেন। তিনি জানান, ইরাকের মার্কিন রাষ্ট্রদূত মারফত এই প্রস্তাব আসে। কিন্তু ইরান এই প্রস্তাব প্রত্যাখান করেছে বলে তিনি জানান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy