Advertisement
২৩ এপ্রিল ২০২৪

প্ল্যাটফর্মের দোকানে আগুন, ট্রেন বন্ধ শিয়ালদহ শাখায়

শিয়ালদহ-বনগাঁ শাখার দুর্গানগর স্টেশনে ভস্মীভূত হল প্ল্যাটফর্মের ৭-৮টি দোকান। দমকলের ঘণ্টা দেড়েকের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও এর জেরে বেশ কিছু ক্ষণ বনগাঁ ও হাসনাবাদ শাখায় ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। প্রাথমিক ভাবে দমকলের অনুমান, প্ল্যাটফর্মের একটি খাবারের দোকানের স্টোভ থেকে ওই আগুন লাগে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২২ অক্টোবর ২০১৪ ১৬:৪৬
Share: Save:

শিয়ালদহ-বনগাঁ শাখার দুর্গানগর স্টেশনে ভস্মীভূত হল প্ল্যাটফর্মের ৭-৮টি দোকান। দমকলের ঘণ্টা দেড়েকের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও এর জেরে বেশ কিছু ক্ষণ বনগাঁ ও হাসনাবাদ শাখায় ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। প্রাথমিক ভাবে দমকলের অনুমান, প্ল্যাটফর্মের একটি খাবারের দোকানের স্টোভ থেকে ওই আগুন লাগে।

পুলিশ ও দমকল সূত্রে খবর, বুধবার দুপুর দেড়টা নাগাদ দুর্গানগর স্টেশনের ২ নম্বর প্ল্যাটফর্মে একটি খাবারের দোকানে আগুন লাগে। মুহূর্তের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়ে পাশের দোকানগুলিতে। খাবার, ফল এবং জুতোর দোকান মিলিয়ে প্রায় ৭-৮টি দোকান আগুনে সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়ে যায়। আগুন লাগার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে প্রথমে দমকলের দু’টি ইঞ্জিন পৌঁছয়। পরে নিয়ে আসা হয় আরও তিনটি ইঞ্জিন। দমকলের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, পাঁচটি ইঞ্জিনের সাহায্যে ঘণ্টা দেড়েকের চেষ্টায় আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আসে। তত ক্ষণে যদিও ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে ওই দোকানগুলি।

প্ল্যাটফর্মের এক ব্যবসায়ী জানান, আগুন এত দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে যে, দোকান থেকে কোনও জিনিসপত্রই সরানো সম্ভব হয়নি। চোখের সামনে পুড়ে খাক হয়ে যায় গোটা দোকান। দমকল কর্মীদের সঙ্গে আগুন নেভানোর কাজে তাঁরাও হাত লাগিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে এই ঘটনায় কেউ হতাহত হননি বলে পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে।

এমনিতেই ওই স্টেশনের খুব কাছে ঘনবসতিপূর্ণ আবাসিক এলাকা রয়েছে। তা ছাড়া প্ল্যাটফর্মের উপর গা ঘেঁষাঘেঁষি করে রয়েছে অসংখ্য দোকান। জুতো, ফল, খাবার, চা ছাড়াও সেখানে লটারি টিকিট বা বাদ্যযন্ত্র সারাইয়ের দোকানও আছে। রয়েছে দু’-একটি মন্দিরও। ফলে আগুন লাগার পর গোটা এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

এই ঘটনায় উঠেছে যাত্রী সুরক্ষার প্রশ্নও। রেলের নজরদারি এড়িয়ে কী ভাবে প্ল্যাটফর্মের উপর স্টোভ জ্বালিয়ে খাবারের দোকান চলছিল? রেল অবশ্য জানিয়েছে, জবরদখল করে গড়ে তোলা প্ল্যাটফর্মের উপর ওই সব দোকান অবৈধ। পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক রবি মহাপাত্র বলেন, “আগুন লাগার কথা শুনেছি। আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” রেলের জায়গায় গড়ে তোলা সমস্ত অবৈধ দোকান তুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, “আইনশৃঙ্খলা দেখার দায়িত্ব রাজ্যের। আমরা বহু বার ওই সব দোকান উচ্ছেদ করার কথা রাজ্যকে জানিয়েছি।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

durgapur station fire
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE