অপেক্ষারত রেজিস্ট্রার।
ক্লাস বয়কট এবং আন্দোলনের জেরে শুক্রবারও অচলাবস্থা জারি রইল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। মঙ্গলবার গভীর রাতে যে অরবিন্দ ভবনের সামনে অবস্থানরত ছাত্রছাত্রীদের মারধর করে হঠিয়ে দেয় পুলিশ, এ দিন সকাল ৯টা থেকে সেই অরবিন্দ ভবনের সামনেই ফের অবস্থান শুরু করেছেন ছাত্রছাত্রীরা। সহ-উপাচার্য এবং রেজিস্ট্রারকে ঢুকতে বাধাও দেন তাঁরা। শিক্ষক সংগঠন জুটার তরফ থেকে অচলাবস্থা কাটাতে আলোচনার চেষ্টা হলেও তা সফল হয়নি।
এ দিন সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢোকার চেষ্টা করেন রেজিস্ট্রার প্রদীপ ঘোষ। প্রশাসনিক ভবনে ঢোকার সময়েই তাঁকে বাধা দেন আন্দোলনকারী ছাত্রছাত্রীরা। প্রদীপবাবু তাঁদের বোঝানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। এর পর তিনি অরবিন্দ ভবনের সামনে বসে পড়েন। ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “আমি চাকরি করতে এসেছি। আমাকে ঢুকতে না দিলে অনির্দিষ্টকাল অপেক্ষা করব।” তবে কোনও অবস্থাতেই যে পুলিশ ডাকবেন না তা-ও স্পষ্ট করে দিয়েছেন তিনি। এর কিছু পরে বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকতে গিয়ে বাধা পান সহ-উপাচার্য সিদ্ধার্ত দত্ত। বাধা পেয়ে তিনিও প্রদীপবাবুর পাশে বসে পড়েন। প্রয়োজনে সারা রাত বসে থাকবেন বলে জানান তিনিও। ক্যাম্পাসে পুলিশ ঢোকার বিরোধিতা করে বৃহস্পতিবারই বিবৃতি দিয়েছিলেন সিদ্ধার্তবাবু। তবে ডেপুটি রেজিস্ট্রার-সহ বেশ কিছু আধিকারিকে ঢুকতে বাধা দেননি আন্দোলনকারী ছাত্ররা।
জুটার তরফ থেকে চলছে
ছাত্রদের বোঝানোর চেষ্টা।
চলছে
বিক্ষোভ।
জুটার তরফ থেকে আলোচনার চেষ্টা শুরু হলেও এখনও পর্যন্ত তা সফল হয়নি। ছাত্রদের তরফ থেকে সহ-উপাচার্য এবং রেজিস্ট্রারকে জানানো হয়, মঙ্গলবারের ঘটনার নৈতিক দায় স্বীকার অথবা অস্বীকার করে বিবৃতি দিতে হবে। তবে এই পরিস্থিতিতে আলোচনায় বসতে করতে রাজি হননি তাঁরা। কাজে যোগ দিতে দিলে আলোচনায় বসার আশ্বাস দিয়েছেন তাঁরা।
যাদবপুর কাণ্ডের প্রতিবাদে বিভিন্ন জায়গায় মিছিল অব্যহত। এ দিন দুপুর ৩টে নাগাদ মিছিল করবে প্রেসিডেন্সির ছাত্রছাত্রীরা। প্রেসিডেন্সি থেকে শুরু হয়ে লালবাজার পর্যন্ত যাবে সেই মিছিল। তবে এত কিছুর পরেও দেখা নেই উপাচার্য অভিজিত্ চক্রবর্তীর। চলতি অচলাবস্থা নিয়ে কোনও মন্তব্যও করেননি ‘অসুস্থ’ উপাচার্য।
ছবি: সাবেরী প্রামাণিক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy