মুদগল কমিটি তাঁকে ক্লিনচিট দিলেও রেহাই দিল না সুপ্রিম কোর্ট। তিনি এন শ্রীনিবাসন। গত ১৭ নভেম্বর কমিটির রিপোর্টে শ্রীনিকে ছাড় দেওয়ার পরেই বিসিসিআই-এর সদস্য এবং শ্রীনি-ঘনিষ্ঠরা তাঁকে বোর্ড সভাপতির পদে পুনর্বহাল করার জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করেন। শ্রীনি স্বয়ং মুদগল কমিটির রিপোর্টের উল্লেখ করে সুপ্রিম কোর্টের কাছে সভাপতির পদ ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য আবেদন জানান। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট তাঁর সেই আবেদন খারিজ তো করেছেই, সেই সঙ্গে বিসিসিআইকেও সতর্ক করেছে এ ধরনের ঘটনাকে প্রশ্রয় দিলে ভবিষ্যতে ক্রিকেটের ক্ষতি হবে।
যদিও বিসিসিআই সুপ্রিম কোর্টকে জানিয়েছে একটি অভ্যন্তরীণ কমিটি তৈরি করে রিপোর্টে উল্লিখিত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিন্তু বোর্ডের সেই যুক্তি খারিজ করে দিয়ে পাল্টা প্রশ্ন করে সুপ্রিম কোর্ট জানতে চেয়েছে ওই কমিটিতে যাঁরা থাকবেন তাঁদের কেউ যে দুর্নীতিগ্রস্ত নয় এমন নিশ্চয়তা কি দিতে পারবে বোর্ড?
সুপ্রিম কোর্টের এ দিনের বক্তব্য থেকে এটাই স্পষ্ট যে, রিপোর্টে শ্রীনিবাসন ক্লিনচিট পেতে পারেন ঠিকই, কিন্তু গড়াপেটার ব্যাপারে এক জন ক্রিকেট প্রশাসক হিসাবে তিনি যে ‘নেতিবাচক’ ভূমিকা পালন করেছেন সেটা মেনে নেওয়া যায় না। এ দিনের মতো শুনানি স্থগিত করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। মঙ্গলবার এ বিষয়ে ফের শুনানি হবে। ওই দিন রায় কোন দিকে গড়ায় এখন সে দিকেই নজর গোটা দেশের।
গত ৩ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের কাছে চূড়ান্ত রিপোর্ট জমা দিয়েছিল মুদগল কমিটি। সেই রিপোর্টে ১৩ জনের নাম থাকলেও গত ১৪ নভেম্বর সেই রিপোর্টে উল্লিখিত চার জনের মান প্রকাশ্যে আনে সুপ্রিম কোর্ট। সেই চার জন হলেন এন শ্রীনিবাসন, আইপিএল-এর সিওও সুন্দররামন, চেন্নাই সুপার কিংস-এর কর্ণধার গুরুনাথ মইয়াপ্পন এবং রাজস্থান রয়্যালসের কর্ণধার রাজ কুন্দ্রা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy