Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

আপ নয় খাপ, কটাক্ষ প্রশান্তভূষণের

শেষমেশ দল থেকে বহিষ্কৃতই হলেন তাঁরা। শো-কজ নোটিস পাঠানোর দু’দিনের মধ্যেই যোগেন্দ্র যাদব এবং প্রশান্ত ভূষণ-সহ চার বিদ্রোহী নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করল আম আদমি পার্টি (আপ)-র শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি। অন্য দুই নেতার নাম আনন্দ কুমার এবং অজিত ঝা। দল থেকে বহিষ্কৃত হওয়ার খবর পেয়ে এ দিন সকালে প্রশান্ত ভূষণ বলেন, “খাপ পঞ্চায়েতের মতোই আচরণ করছে দল। আন্দোলনের সমস্ত স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হয়ে গিয়েছে শুধুমাত্র দলের একনায়কতন্ত্রের জন্য। অবশেষে নাটকের অবসান হল। দলের এই সিদ্ধান্তে ব্যথিত হলেও ব্যক্তিগত ভাবে কোনও ক্ষতি হয়নি।”

সাংবাদিক সম্মেলনে যোগেন্দ্র যাদব এবং প্রশান্তভূষণ। ছবি: পিটিআই।

সাংবাদিক সম্মেলনে যোগেন্দ্র যাদব এবং প্রশান্তভূষণ। ছবি: পিটিআই।

সংবাদ সংস্থা
শেষ আপডেট: ২১ এপ্রিল ২০১৫ ১২:২৬
Share: Save:

শেষমেশ দল থেকে বহিষ্কৃতই হলেন তাঁরা।

শো-কজ নোটিস পাঠানোর দু’দিনের মধ্যেই যোগেন্দ্র যাদব এবং প্রশান্ত ভূষণ-সহ চার বিদ্রোহী নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করল আম আদমি পার্টি (আপ)-র শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি। অন্য দুই নেতার নাম আনন্দ কুমার এবং অজিত ঝা।

দল থেকে বহিষ্কৃত হওয়ার খবর পেয়ে এ দিন সকালে প্রশান্ত ভূষণ বলেন, “খাপ পঞ্চায়েতের মতোই আচরণ করছে দল। আন্দোলনের সমস্ত স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হয়ে গিয়েছে শুধুমাত্র দলের একনায়কতন্ত্রের জন্য। অবশেষে নাটকের অবসান হল। দলের এই সিদ্ধান্তে ব্যথিত হলেও ব্যক্তিগত ভাবে কোনও ক্ষতি হয়নি।” তাঁর অভিযোগ, নেতাকে খুশি করতে দলের কিছু লোক তাঁদের লজ্জাকে বন্ধক দিয়েছে।

অন্য দিকে, যোগেন্দ্র বলেন, “রাগ হচ্ছিল ঠিকই, কিন্তু মধ্য রাতে দলের এই সিদ্ধান্তে আমি ব্যথিত।”

দলের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হবেন কি না সেই প্রশ্ন করা হলে প্রশান্ত জানান, আদালতে তাঁরা যেতেই পারেন, তবে অযথা দৌড়াদৌড়ি না করে রাজনীতিকে দুর্নীতিমুক্ত করার কাজেই সময় দেবেন তাঁরা।

‘স্বরাজ সংবাদ’ গঠনের ব্যাখ্যা চেয়ে গত ১৭ এপ্রিল ওই চার নেতার বিরুদ্ধে শো-কজ নোটিস জারি করা হয়। আপ সূত্রের খবর, একমাত্র অজিত ঝা ছাড়া বাকি তিন জনই জবাব দিয়েছেন। কিন্তু তাঁদের সেই জবাব সন্তুষ্ট করতে পারেনি আপ নেতৃত্বকে। ওই চার জনের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গ এবং দলবিরুদ্ধ কাজের অভিযোগ আনা হয়েছিল। সোমবার মধ্য রাতে দিল্লির ভি পি হাউসে বৈঠকে বসে দলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি। সেখানেই ওই চার বিদ্রোহী নেতাকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে আপ।

বহিষ্কৃত হওয়ার পর মঙ্গলবার প্রশান্ত এবং যোগেন্দ্র অভিযোগ করেন, গত ২৮ মার্চে গঠিত শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি সম্পূর্ণ বেআইনি এবং দলীয় সংবিধান বিরোধী। বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরেই জল্পনা চলছিল ওই দুই নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে দল। দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের সময় দলের বিরুদ্ধে কাজ করার অভিযোগ ওঠে প্রশান্তের বিরুদ্ধে। এমনকী, দল ভাঙিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে অন্য দলকে সমর্থনের অভিযোগও তোলা ওঠে। প্রশান্তও পাল্টা তোপ দাগেন। তিনি দাবি করেন, দলের নীতির সঙ্গে কোনও ভাবেই আপোস করতে পারছেন না। অভিযোগ করেন, দল এক জনের কথাতেই চলে, তিনি আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরীবাল। সংবাদমাধ্যমেও মুখ খোলেন প্রশান্ত এবং যোগেন্দ্র। আপ যদিও এ সব অভিযোগ উড়িয়ে উল্টে তাঁদের বিরুদ্ধেই দলবিরোধী কাজের অভিযোগ আনে। তাঁদের বিরুদ্ধে যে দল শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে চলেছে তা, আগেই আঁচ পেয়েছিলেন বিদ্রোহী নেতারা। সোমবার রাতে তাঁদের সেই জল্পনাই সত্যি হল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE