জামুড়িয়ার রাস্তায় বোমাবাজির চিহ্ন। —নিজস্ব চিত্র।
যুব তৃণমূলের একটি কার্যালয় খোলাকে কেন্দ্র করে জামুড়িয়ায় সংঘর্ষে জড়াল তৃণমূলেরই দু’টি গোষ্ঠী। রবিবার সকালে এই গোষ্ঠী সংঘর্ষে বোমাবাজির অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় মোট পাঁচ জন কর্মী জখম হয়েছে বলে অভিযোগ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এ দিন আসানসোলের জামুড়িয়ায় কুয়ো মোড়ে যুব তৃণমূলের একটি কার্যালয় উদ্বোধনের আয়োজন করেছিলেন তৃণমূল নেতা নীলু চক্রবর্তী। কার্যালয় খোলার আগে এলাকার দরিদ্রদের বস্ত্র বিতরণ করা শুরু হতেই ঝামেলার শুরু। অভিযোগ, জামুরিয়া ১ নম্বর ব্লকের তৃণমূল সভাপতি পূর্ণশশী রায় স্থানীয় ওয়ার্ড কমিটির সভাপতি স্বপন রুইদাস-সহ তাঁর অনুগামীদের নিয়ে হাজির হতেই পুলিশ তাঁদের আটকে দেয়। দলের তরফে ওই কার্যালয়ের কোনও অনুমোদন নেই বলে পুলিশের কাছে দাবি করেন তিনি। বিনা অনুমতিতে কাউকেই দলীয় পতাকা ব্যবহার করে কোনও রকম অনুষ্ঠান করতে দেবেন না বলে পুলিশকে জানান তিনি। পতাকা খোলার সঙ্গে সঙ্গে অনুষ্ঠান বন্ধের দাবিতে সোচ্চার হন তাঁরা। অশান্তি এড়াতে পুলিশকর্মীরা এর পর অনুষ্ঠান চত্বর থেকে সব পতাকা খুলে নেয় বলে অভিযোগ।
এর পর আয়োজকদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন পূর্ণশশীবাবুরা। নিমেষের মধ্যে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে লাঠি-বাঁশ নিয়ে মারামারি শুরু হয়ে যায়। মারামারির সময় ভিড়ের মধ্যে একটি বোমা ছোড়া হয় দাবি প্রত্যক্ষদর্শীদের। পরিস্থিতি সামলাতে পুলিশ বেধড়ক লাঠি চালাতে শুরু করে। কিছু ক্ষণ পর ভিড় ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। শিবপুরের জাকির-সহ চার জন তৃণমূল সমর্থক মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তাঁদের মধ্যে জাকিরের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গিয়েছে।
পূর্ণশশীবাবুর দাবি, আহতরা সকলেই তাঁর দলের কর্মী। জামুড়িয়া থানায় এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন স্বপনবাবু। অন্য দিকে, নীলুবাবুর দাবি, “আমরা জেলা নেতৃত্বের অনুমতি নিয়েই যুব কার্যালয় উদ্বোধন করার আয়োজন করেছিলাম।” তাঁর আরও দাবি, “পূর্ণশশী তাঁর অনুগামী কয়লা মাফিয়া দিলদারকে সঙ্গে নিয়ে আমাদের কর্মীদের বেধড়ক মারধর করেছে। ওদের ছোড়া বোমার আঘাতে আমাদের দু’জন কর্মী জখম হয়েছে।” পূর্ণশশীবাবুর পাল্টা দাবি, “এলাকার মানুষ সব দেখেছেন। বিনা অনুমতিতে কার্যালয় খোলার আয়োজন করা হচ্ছে।” এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়ে জামুড়িয়া থানায় একটি অভিযোগ দু’দিন আগেই দায়ের করেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy