ভোট সন্ত্রাসে গিরীশ পার্ক থানার সাব-ইনস্পেক্টরের গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার রাতেই তল্লাশি চালিয়ে পাপাই সিংহ ও অশোক সাহ ওরফে মন্টু নামে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়। আটক করা হয় আরও চার জনকে। জিজ্ঞাসাবাদের পরে ওই চার জনকেও গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতেরা হল কিশোর পাসোয়ান, শিবকুমার রাউত, মনোজ মালি এবং ইফতিকার আলম। এরা বাসে করে ভিন্ রাজ্যে পালানোর চেষ্টা করছিল। ঘটনার দিন রাতেই বাবুঘাট এলাকা থেকে এদের আটক করা হয়। ধৃতদের কাছ থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশের অনুমান, এই আগ্নেয়াস্ত্রটি দিয়েই ঘটনার দিন গুলি চালানো হয়েছিল।
ঘটনার পরেই গিরীশ পার্ক থানা অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টা, অস্ত্র আইনে মামলা, পুলিশকে কাজে বাধাদান-সহ একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, তৃণমূল কর্মী বলেই পরিচিত অভিযুক্তদের রবিবার আদালতে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে তাদেরকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে এক দল তৃণমূল কর্মীরা বিক্ষোভ দেখায়। বিক্ষোভকারীদের হটিয়ে দিয়ে ধৃতদের আদালতে নিয়ে যায় পুলিশ। বিচারক ধৃতদের ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন।
শনিবার ভোটপর্ব চলাকালীনই কলকাতার পুরসভার ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের সিংহীবাগানে দুপুরে রাজেন্দ্র মল্লিক রোডের কংগ্রেস কার্যালয়ের সামনে শুরু হয় বোমাবাজি। পুলিশি নিষ্ক্রিয়তা ও তৃণমূলের হামলার প্রতিবাদে গিরীশ পার্কে রাস্তা অবরোধ করেন কংগ্রেসের সমর্থকরা। পরে পুলিশ গিয়ে অবরোধ তুলে দেয়।
তখনকার মতো গোলমালে ইতি পড়লেও ভোটপর্ব শেষ হওয়ার পরে ফের গোলমাল বাধে। বিকেল সাড়ে ৪টে নাগাদ বারাণসী ঘোষ লেন ও সিংহীবাগান মোড়ের দু’দিক থেকে বেশ কিছু দুষ্কৃতী এলাকায় ঢুকে ভেঙে দেয় কংগ্রেসের একটি অফিস। তিনটি বোমাও পড়ে। সেই সময় বারাণসী ঘোষ রোডের দিকে সাব-ইনস্পেক্টর জগন্নাথ মণ্ডল-সহ জনা দশেক পুলিশ দুষ্কৃতীদের দিকে এগিয়ে যায়। তখনই ওই পুলিশদের লক্ষ্য করে গুলি চালায় এক জন দুষ্কৃতী। গুলি লাগে এসআই জগন্নাথ মণ্ডলের। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
হাসপাতাল সূত্রের খবর, তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy