বারাক ওবামা এবং নওয়াজ শরিফ। ছবি: এএফপি।
ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের উষ্ণতা বাড়িয়ে প্রজাতন্ত্র দিবসে প্রধান অতিথি হওয়ার আমন্ত্রণ গ্রহণ করার পর ২৪ ঘণ্টাও কাটল না। মার্কিন প্রেসিডেন্টের আসন্ন ভারত সফরে ‘নাক গলালো’ পাকিস্তান। সফরে এসে বারাক ওবামাকে ভারতীয় নেতাদের সঙ্গে কাশ্মীর প্রসঙ্গে আলোচনা করার ‘পরামর্শ’ দিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ।
শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী টুইট করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার প্রজাতন্ত্র দিবসে আসার সম্ভাবনার কথা জানান। এর কিছু পরেই আমেরিকার তরফ থেকে মার্কিন প্রেসিডেন্টের দ্বিতীয় বার ভারত সফরে সবুজ সঙ্কেত দেওয়া হয়। নিজের মেয়াদে এই প্রথম কোনও মার্কিন প্রেসিডেন্টের দ্বিতীয় ভারত সফর। নরেন্দ্র মোদীর এই মাস্টারস্ট্রোক নিয়ে যখন সরগরম কূটনৈতিক মহল, তখনই এক ফোঁটা চোনার মতো এল শরিফের ‘পরামর্শ’-এর খবর। পাক সরকারের তরফ থেকে জানানো হল ওবামাকে কাশ্মীর সমস্যায় হস্তক্ষেপ করতে অনুরোধ জানানো হয়েছে। আসন্ন ভারত সফরে এ বিষয়ে আলোচনা করতে পরামর্শও দেওয়া হয়েছে। খবরের সত্যতা স্বীকার করেছে হোয়াইট হাউসও।
আগামী বছর জানুয়ারিতে তাঁর ভারত সফর নিয়ে পাক সরকারকে জানাতে শুক্রবার রাতে প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফকে ফোন করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। দুই নেতার মধ্যে বেশ খানিক ক্ষণ কথা হয়। তখনই শরিফ কাশ্মীরে ‘দীর্ঘ মেয়াদি শান্তি’ ফিরিয়ে আনতে ওবামার কাছে দরবার করেন। পাক প্রধানমন্ত্রীর দফতরের দেওয়া বিবৃতি অনুযায়ী নওয়াজ বলেন, “কাশ্মীর নিয়ে আলোচনার জন্য আমরা সর্বদা তৈরি। কিন্তু ভারতের কিছু পদক্ষেপ ওই অঞ্চলের শান্তি প্রক্রিয়াকে ব্যহত করছে।” এ প্রসঙ্গে সম্প্রতি দু’দেশের বিদেশসচিব পর্যায়ের বৈঠক বাতিলের প্রসঙ্গও টেনে আনেন তিনি। চলতি বছরের অগস্ট মাসে এই বৈঠক হওয়ার কথা থাকলেও তার আগে পাক বিদেশসচিব কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। প্রতিবাদে বৈঠক বাতিল করে ভারত। শরিফ আরও দাবি করেন, বারবার পাকিস্তান শান্তি আলোচনায় বসতে চাইলেও সীমান্তে সন্ত্রাস চালিয়ে তা বানচাল করতে চাইছে ভারত। দুই নেতার মধ্যে প্রাদেশিক পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছে পাক প্রধানমন্ত্রীর অফিস। গত বছর ওয়াশিংটনে ওবামার সঙ্গে সাক্ষাতের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তাঁকে পাকিস্তানে আসার আমন্ত্রণ জানান শরিফ। পাকিস্তানের পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হলেই তিনি সফরে আসার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বলে দাবি করেছে সে দেশের প্রধানমন্ত্রীর দফতর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy