আহত সুবীর সরকারের ছবি তুলেছেন গৌতম প্রামাণিক।
পূর্ব মেদিনীপুর আর কোচবিহারে সবে শুরু হয়েছে ভোট। সংবাদ মাধ্যমের সমস্ত ফোকাস স্বাভাবিক ভাবেই যখন ওই দুই জেলায়, তখন ভয়ঙ্কর খবরটা এল মুর্শিদাবাদ থেকে। বহরমপুরের রাস্তায় দুষ্ক়ৃতীদের গুলিতে লুটিয়ে পড়লেন তৃণমূলের মুর্শিদাবাদ জেলা সম্পাদক সুবীর সরকার।
সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ মেয়েকে স্কুলে দিয়ে, বাজার করে বাড়ি ফিরছিলেন বছর পঞ্চান্নর সুবীরবাবু। সৈয়দাবাদের রাজাগঞ্জে তাঁর বাড়ির কাছেই বাইকে চড়ে এসে গুলি চালায় দুই দুষ্কৃতী। পরপর পাঁচটা গুলি ছুড়ে দুষ্কৃতীরা উধাও হয়ে যায়। তিনটে গুলি লাগে সুবীরবাবুর শরীরে। বুকে, পিঠে, পায়ে গুলি নিয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে ভর্তি করা হয় মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, দুটো গুলি বার করা গেলেও একটা এখনও বার করা যায়নি।
এই ঘটনায় কংগ্রেসের দিকে আঙুল তুলেছে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। দলের জেলা সভাপতি মান্নান হোসেনের দাবি, ‘‘এটা কংগ্রেসের কাজ। মরিয়া হয়ে তৃণমূল কর্মীদের উপর ওরা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। কংগ্রেস এই নোংরা খেলা বন্ধ করুক’’।
দেখুন ভিডিও
মুর্শিদাবাদ জেলা কংগ্রেসের মুখপাত্র অশোক দাস অবশ্য এই ঘটনার জন্য দায়ী করছেন তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকেই। অশোকবাবুর দাবি, ‘‘দুষ্কৃতীরা তৃণমূলেরই। এবং তৃণমূল বলে পুলিশ যেন খাতির না করে নিরপেক্ষ তদন্তে যায়। অবিলম্বে গ্রেফতার করা হোক দোষীদের’’।
আরও পড়ুন:
বাহিনী-পুলিশ আজও কড়া, শেষ দফার ভোট এখনও মানুষের দখলেই
পুলিশ অবশ্য এখনও ঘটনার কারণ নিয়ে ধোঁয়াশায় আছে। বহরমপুর থানার আইসি শৈলেন বিশ্বাস জানান, ‘‘ঘটনাস্থলে তিনটে গুলির খোল পাওয়া গিয়েছে। খুনের চেষ্টার কারণ এখনও স্পষ্ট নয়’’। তবে তদন্তে নানান দিক খতিয়ে দেখছে পুলিশ। আক্রান্ত সুবীরবাবুর কাঠের ব্যবসা আছে। এ ছাড়া তিনি জমির দালালিতেও যুক্ত বলে পুলিশ জানতে পেরেছে। এই সংক্রান্ত কোনও শত্রুতা আজকের ঘটনার পিছনে আছে কি না তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy