১৫-ই স্বস্তি
ইভিএম খোলার পর থেকেই প্রায় প্রতি রাউন্ডে কাটোয়ার ‘দাদা’কে টক্কর দিচ্ছিলেন জোট প্রার্থী শ্যামা মজুমদার। ক্রমাগত পিছোতে পিছোতে এক সময় তৃণমূল প্রার্থী রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেই ফেলেন, ‘‘আর আশা নেই।’’ বলেই জলের বোতলে চুমুক দেন তিনি। তবে শেষ লগ্নে পাল্টে গেল পাশা। ১৫তম রাউন্ডে এগোলেন তিনি। হাঁফ ছাড়লেন ৯১১ ভোটে জিতে।
ধমকে আক্ষেপ
তখনও গণনা শুরু হয়নি। নিরাপত্তার কড়াকড়িতে দূরে গাড়ি রেখে হেঁটে আসছিলেন দুর্গাপুর পূর্বের তৃণমূল প্রার্থী প্রদীপ মজুমদার। একে রেজাল্টের চিন্তা, তার উপর গরমে বিরক্তি প্রকাশ করে ফেলেন কর্তব্যরত পুলিশ কর্মীর কাছে। পুলিশটিও কড়া গলায় জবাব দেন, ‘কিছু করার নেই। সবাই নিয়ম মানছেন।’ শেষে প্রদীপবাবু হেরে যেতে ওই পুলিশ কর্মীর স্বগতোক্তি, ‘‘ইস! সকালে এত কড়া করে না বললেই ভাল হতো।’’
মারাদোনার গোল
হারের খবরে ম্লান মুখে বেরিয়ে আসছেন দুর্গাপুর পূর্বের তৃণমূল প্রার্থী প্রদীপ মজুমদার। তখনই জয়ের সংশাপত্র নিতে ঢুকছিলেন গলসির তৃণমূল প্রার্থী অলোক মাজি। চোখ পড়তেই অলোকবাবুকে জড়িয়ে ধরে শুভেচ্ছা জানান প্রদীপবাবু। পাশ থেকে এক তৃণমূল কর্মীর টিপ্পনি, ‘‘মারাদোনার মতো শেষ বেলায় গোল দিয়ে বেরিয়ে গেলেন অলোকবাবু। আর আপনি মাঝমাঠ আর রক্ষণ নিয়েই ব্যস্ত থেকে গেলেন দাদা!’’ অলোকবাবুর কড়া নজর পড়তেই অবশ্য চুপচাপ এলাকা ছাড়েন ওই কর্মী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy