‘কোজাগরী’র একটি দৃশ্য।
‘কোজাগরী’। আক্ষরিক অর্থে, কে জাগে? আর তাকেই যেন মঞ্চে তুলে ধরেছেন ‘বেলঘরিয়া অভিমুখ’ নাট্যদলের সদস্যরা। তাঁদের নাটক ‘কোজাগরী’ সদ্য পেরিয়ে গেল ৫০টি সফল মঞ্চ উপস্থাপনা।
হাওয়ার্ড ফাস্টের উপন্যাস ‘সাইলাস টিম্বারম্যান’-এর অবলম্বনে ‘কোজাগরী’ পরিচালনা করেছেন কৌশিক চট্টোপাধ্যায়। দেড় ঘণ্টার এই নাটক কখনওই দর্শকের একঘেয়েমির কারণ হয়ে ওঠে না।
নাটকের প্রধান চরিত্র শৈলেশ প্রতিবাদ করে ওঠে ক্ষমতার অপব্যবহারের বিরুদ্ধে। যে ক্ষমতার দম্ভ আরও বেশি লাভের আশায় নির্বিকারে ধ্বংস করে প্রকৃতিকে। শৈলেশ এক জন সাধারণ ভীতু মানুষ থেকে হয়ে ওঠে প্রতিবাদী কণ্ঠ। শৈলেশ শুধুমাত্র প্রতিবাদী কণ্ঠ নয়, সে আমাদের বারংবার মনে করায় ক্ষমতার বিকৃত প্রয়োগের বিরুদ্ধে কথা বলাটা মানুষের অস্তিত্বের প্রশ্ন। তাই এত অন্ধকারের মধ্যেও এই প্রতিরোধগুলোই আমাদের সুস্থ স্বাভাবিক গণতন্ত্র বাঁচিয়ে রাখার স্বপ্ন দেখায়।
বলিউড-টলিউড-টেলিউডের হিট খবর জানতে চান? সাপ্তাহিক বিনোদন সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
দীপঙ্কর দের আলোক পরিকল্পনা, জয়ন্ত বন্দ্যোপাধ্যায়ের মঞ্চ ভাবনা প্রশংসার দাবি রাখে। দর্শকদের ভাললাগায় ‘কোজাগরী’ হয়ে ওঠে স্বয়ংসম্পূর্ণ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy