‘জো জিতা ওহি সিকন্দর’ ছবির শেষ দৃশ্যে আয়েশা জুল্কা। ছবি: ইউটিউবের সৌজন্যে।
সত্যিটা অবশেষে সামনে এল। কিন্তু গোপন কথাটি সামনে আসতে সময় লেগে গেল প্রায় ২৫ বছর!
না, সেই অর্থে কোনও গোপন রহস্য বা অপ্রিয় সত্য নয়, যা নিয়ে সমালোচকরা কাটাছেঁড়া করতে পারবেন। তবে নব্বই-এর দশকের এমন হিট ছবির সেটে যে ধরনের ঘটনা ঘটেছিল, তা জানলে আপনি শিউরে উঠবেন।
১৯৯২ সালে পরিচালক মনসুর খানের ছবি ‘জো জিতা ওহি সিকন্দর’ মুক্তি পেয়েছিল। আমির খানের কেরিয়ারের অন্যতম সেরা ছবি এটি। অভিনয়ে নজর কেড়েছিলেন ছবির নায়িকা আয়েশা জুল্কাও।
সম্প্রতি একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে আয়েশা ‘জো জিতা...’র শুটিংয়ের নানা গল্প শেয়ার করেছেন। সেখানেই ছবির ফাইনাল সিকুয়েন্স শুটিংয়ের একটি অজানা ঘটনার কথা জানিয়েছেন অভিনেত্রী।
বলিউড-টলিউড-টেলিউডের হিট খবর জানতে চান? সাপ্তাহিক বিনোদন সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
আয়েশা জানিয়েছেন, শুটিংয়ের একেবারে শেষ পর্যায়ে সেটে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিলেন তিনি। কপাল ফেটে গুরুতর জখম আয়েশার নাক ও মুখ বেয়ে রক্ত গড়িয়ে পড়ছিল।
আরও পড়ুন, এই ছবি পোস্ট করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোলড হলেন মন্দিরা
আরও পড়ুন, বলিউডের এই নায়িকাদের বিয়ের নেকলেসের দাম শুনলে চমকে যাবেন
এনডিটিভি’র খবর অনুযায়ী, আইএএনএস-কে আয়েশা বলেছেন, ‘‘...এমন রক্তপাত হয়েছিল যে, শুটিং বন্ধ করতে হয়েছিল। সবাই ছোটাছুটি করছিল। আমির চিত্কার করে স্পটবয়দের ডেকে বরফ আনতে বলছিলেন। আমার কপালে ওই বরফ ধরেছিল। আমি শুধু সবার এক্সপ্রেশন দেখছিলাম...।’’
‘জো জিতা ওহি সিকন্দর’ ছবিতে আমির খান ও আয়েশা জুল্কা। ছবি— সংগৃহীত।
তাঁর কপালে বেশ কয়েকটি সেলাই পড়েছিল বলেও জানান নায়িকা।
শুটিংয়ের শেষ সিকুয়েন্সে এমন ঘটনা হওয়ায় ইউনিটের সকলেই দুশ্চিন্তায় পড়েছিলেন। যদিও তিন দিন পরই শুটিংয়ে যোগ দিয়েছিলেন অভিনেত্রী।
আয়েশা বলেছেন, ‘‘আমি মনসুরকে বলেছিলাম চিন্তা না করতে। কপালের সেলাইগুলো ঢেকে শুটিং করব। সেজন্যই লাল টুপি দেওয়া হয়েছিল।’’
অভিনেত্রী জানান, পরে ছবি হিট হওয়ার পর অনেকেই মস্করা করে বলতেন, এই ছবির জন্য রক্ত দিয়েছেন আয়েশা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy