অর্ণব দত্ত।
বিক্রম ভট্টের ছবিতে একসঙ্গে তিনটে গান! স্টার্টিং তো দারুণ হল।
অর্ণব: থ্যাঙ্ক ইউ।
এটাই তো বলিউড ডেবিউ।
অর্ণব: যদি ফিল্ম হিসেবে বলতে হয়, তা হলে এটাই। এর আগে ২০১৬-এ বিক্রম স্যারের ওয়েব সিরিজ ‘মায়া’তে গান গেয়েছিলাম। তা ছাড়া জিঙ্গলস্ও গেয়েছি অনেক।
সুযোগটা এল কী ভাবে?
অর্ণব: আসলে ‘মায়া’র সময় থেকেই হরিশ ভাই, মানে ‘১৯২১’-এর মিউজিক ডিরেক্টর হরিশ সাগানের সঙ্গে ছিলাম। আর আমি যে তিনটে গান গেয়েছি ‘সুন লে জারা’, ‘কুছ ইস তারা’, ‘ইয়ারা’— এগুলো প্রাথমিক ভাবে অনেকেই গেয়েছিলেন। তবে আমার ভয়েসটা রাখার সিদ্ধান্ত বিক্রম স্যারের।
আপনি কলকাতার ছেলে। এখনও পর্যন্ত সিভিতে কোনও বাংলা গান নেই?
অর্ণব: না! এখনও নেই। তবে খুব তাড়াতাড়ি একটা ভাল খবর দিতে পারব।
হিন্দিতে এত কাজ হল আপনার, শুরুটা বাংলা দিয়ে হল না বলে কি মনখারাপ?
অর্ণব: (হাসি) কী বলি বলুন তো! আমি মনে করি বাংলায় আমার কাজ করার সময়টা হয়তো এখনও আসেনি। তবে প্রথম কাজটা বাংলায় হলে তো অবশ্যই আরও ভাল লাগত।
আরও পড়ুন, আপনার ফোন নম্বর? দেব বললেন…
মুম্বইতে কবে থেকে আছেন আপনি?
অর্ণব: অনেক বড় গল্প সেটা। আমি ইঞ্জিনিয়ারিং ছেড়ে মুম্বইতে চলে আসি।
গান গাইবেন বলে চাকরি ছেড়ে দিয়েছিলেন?
অর্ণব: আসলে মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান আমি। কোন্নগরে আমার বাড়ি। ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করার পর কাতারে গিয়েছিলাম চাকরি করতে। তার পর বেঙ্গালুরু। প্রচুর ঋণ ছিল আমার। সে সব শোধ করেছি। ২০১২-তে ইন্ডিয়ান আইডলে চান্স পেয়েছিলাম। কিন্তু এলিমিনেট হয়ে যাই। বাবা তখন সবে রিটায়ার করেছেন। তবুও সে সময় সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম চাকরির জন্য আর ভাবব না, এ বার গানটাই গাইব।
আরও পড়ুন, জন্মদিনে কলকাতাকে মিস করছে ‘ভুতু’
সামনে অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ, সে সময় পরিবারের একমাত্র রোজগেরে হিসেবে এই সিদ্ধান্ত নিতে তো বেশ সাহসের প্রয়োজন হয়েছিল?
অর্ণব: এখানে আমার মায়ের কথা বলব। রুবি দত্ত। আমার প্রথম গুরু। মা সে সময় খুব মরাল সাপোর্ট দিয়েছিলেন।
প্রথম ব্রেক?
অর্ণব: ২০১৫। সোনির ফার্স্ট ওয়েব সিরিজের টাইটেল ট্র্যাক গাওয়ার সুযোগ পেয়েছিলাম। সেটা অনেকের ভাল লেগেছিল।
মুম্বইয়ের এই কয়েক বছরের অভিজ্ঞতা থেকে কী শিখলেন?
অর্ণব: এভরি ডে দেয়ার ইজ আ পসিবিলিটি। এটা এই শহরের ভিতর রয়েছে। সেটা আমি বিশ্বাস করি।
ভট্ট ক্যাম্প যে আপনাকে এত সুযোগ দিচ্ছে, এতে হিংসে করার লোকের সংখ্যা বাড়ছে নিশ্চয়ই?
অর্ণব: (হাসি) আমি ঠিক জানি না। সকলকেই তো বন্ধু হিসেবে দেখি। মা-বাবা যেমন সন্তানকে রাস্তা দেখান, বিক্রম স্যারও আমাকে সেই রাস্তা দেখাচ্ছেন।
আরও পড়ুন, ‘মা দুর্গার বুক নিয়েও কমেন্ট করছে লোকে, আমি তো কোন ছার’
প্রশ্নটা এড়িয়ে যাচ্ছেন?
অর্ণব: (হা হা…) না না। সত্যিই আমি জানি না।
কোন ধরনের গান গাইতে ভাল লাগে আপনার?
অর্ণব: ওল্ড মেলোডি। শচীন কত্তা, রফি সাব, কিশোরজি, লতা মঙ্গেশকর— ওঁদের সময়টার গান আমার গাইতে দারুণ লাগে।
নেক্সট বলিউড প্রজেক্ট?
অর্ণব: পর পর অনেকগুলো কাজ করছি। কিন্তু যত ক্ষণ না বেরোচ্ছে, নিজের নাম দেখতে পাচ্ছি, বলাটা মুশকিল। বুঝতেই পারছেন…
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy