Advertisement
১৬ এপ্রিল ২০২৪
Entertainment News

জিতেন্দ্র-হেমার বিয়েটা ভেঙেছিলেন ধর্মেন্দ্রই!

সোমবার হেমা মালিনীর ৬৮ তম জন্মদিন। নায়িকার জীবনের এই বিশেষ দিনেই প্রকাশিত হচ্ছে তাঁর জীবনী। লেখক রাম কমল মুখোপাধ্যায়। বইটির নাম ‘বেয়ন্ড দ্য ড্রিম গার্ল’।

জিতেন্দ্রর সঙ্গে প্রায় বিয়ে হয়েই গিয়েছিল হেমার। ভেঙেছিলেন ধর্মেন্দ্র।

জিতেন্দ্রর সঙ্গে প্রায় বিয়ে হয়েই গিয়েছিল হেমার। ভেঙেছিলেন ধর্মেন্দ্র।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ১৫ অক্টোবর ২০১৭ ২০:০৮
Share: Save:

সত্যিটা হল ধর্মেন্দ্রর সঙ্গে তখন গভীর প্রেম ছিল হেমা মালিনীর। হেমার পরিবারের লোকেরা চেয়েছিলেন জিতেন্দ্রর সঙ্গে হেমা মালিনীর বিয়ে দিতে। কিন্তু ধর্মেন্দ্র সঙ্গে প্রেমের কথা হেমা কোনওদিনই তাঁর পরিবারে জানাননি।

জিতেন্দ্র-হেমার বিয়ে ভেঙেছিলেন ধর্মেন্দ্র। মাদ্রাজে তাঁদের বিয়ের রাতে, কী ভাবে ধর্মেন্দ্র পৌঁছে সেই বিয়ে ভেঙেছিলেন তা যে কোনও হিন্দি ছবির গল্পকেও হার মানাবে।

আরও পড়ুন, শাহরুখ-সলমন-আমিরের বিপরীতে অভিনয় করতে রাজি হননি এই নায়িকারা

আরও পড়ুন, ঘৃণা করতে আসছেন ঊর্বশী

সোমবার হেমা মালিনীর ৬৮ তম জন্মদিন। নায়িকার জীবনের এই বিশেষ দিনেই প্রকাশিত হচ্ছে তাঁর জীবনী। লেখক রাম কমল মুখোপাধ্যায়। বইটির নাম ‘বেয়ন্ড দ্য ড্রিম গার্ল’।

হেমা মালিনীর বায়োগ্রাফির কভার। ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করেছেন নায়িকা নিজেই।

হেমা মালিনীর জীবনের বিভিন্ন অধ্যায় নিয়ে লেখা হয়েছে বইটি। জীবনীর একটি বিশেষ অংশে জিতেন্দ্রর সঙ্গে হেমার বিয়ের বর্ণনা রয়েছে। সেই সময় হেমা ও ধর্মেন্দ্রর গভীর প্রেম। আর হেমার পরিবার জিতেন্দ্রর সঙ্গে বিয়ে ঠিক করে ফেলেছিলেন ‘ড্রিম গার্ল’-এর। হিন্দুস্তান টাইমসের খবর অনুযায়ী, হেমার জীবনীতে রয়েছে, মাদ্রাজে ওই বিয়ের রাতে প্রেমিকার বিয়ে ভাঙতে পৌঁছে গিয়েছিলেন ধর্মেন্দ্র। মদ্যপ অবস্থায়। হেমার বাবা নাকি ধাক্কা দিয়ে ধর্মেন্দ্রকে বের করে দিতে চেয়েছিলেন। বলেছিলেন, ‘‘কেন তুমি আমার মেয়ের জীবন থেকে সরে দাঁড়াচ্ছ না? তুমি এক জন বিবাহিত পুরুষ, তুমি আমার মেয়েকে বিয়ে করতে পার না।’’

ধর্মেন্দ্র সেই সময় এক বার হেমার সঙ্গে আলাদা ভাবে কথা বলতে চেয়েছিলেন। অনুরোধ করেছিলেন হেমার বাবার কাছে। এক দিকে হেমা মালিনীর পরিবার, এক দিকে জিতেন্দ্রর পরিবার। হাজির ম্যারেজ রেজিস্ট্রার। সেই পরিস্থিতিতে হেমা মালিনীর বাবা ধর্মেন্দ্রকে হেমার সঙ্গে আলাদা ভাবে কথা বলার অনুমতি দিয়েছিলেন।

বিয়েবাড়ির একটি ঘরে ঢুকে বেশ কিছুটা সময় একান্তে কথা বলেছিলেন হেমা ও ধর্মেন্দ্র। হেমাকে নাকি ধর্মেন্দ্র বলেছিলেন, ‘‘জীবনে এত বড় ভুল কোরো না।’’

কাঁদতে কাঁদতে ঘর থেকে বেরিয়ে এসেছিলেন হেমা। বিয়েবাড়িতে উপস্থিত সবার কাছে অনুরোধ করেছিলেন, তাঁকে বিয়ের জন্য আরও ক’দিন সময় দিতে।

সেই সময় নাকি জিতেন্দ্র ও তাঁর পরিবার হেমার কথায় রাজি হননি। তাঁর পরিবারের তরফে বলা হয়েছিল, জিতেন্দ্র এক জন ‘অপশন’ নন। বিয়ে হলে তখনই হবে নয়তো কখনওই না।

বিয়েবাড়িতে হাজির সবাই অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলেন হেমা মালিনীর উত্তরের জন্য। কয়েক মিনিটের মধ্যে হেমা মাথা নাড়িয়ে না বলে দিয়েছিলেন।

নিমেষে সেখান থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন জিতেন্দ্র ও তাঁর পরিবার।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE