শোভা সেন। ছবি: সংগৃহীত।
প্রয়াত হলেন বিখ্যাত নাট্য ব্যক্তিত্ব শোভা সেন। রবিবার ভোররাতে দক্ষিণ কলকাতার বাসভবনে বার্ধক্যজনিত কারণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে। মৃত্যুকালে শোভার বয়স হয়েছিল ৯৫ বছর। শোভার মৃত্যুতে একটা যুগের অবসান বলেই মনে করছেন নাট্যজগতের একটা বড় অংশ।
আরও পড়ুন, শোভা সেনের জীবনাবসান
বিভাস চক্রবর্তী
যে প্রজন্মকে দেখে থিয়েটারের প্রেরণা পেয়েছি সেই প্রজন্মের প্রতিনিধি হলেন শোভাদি। ওই প্রজন্মের এখন প্রায় কেউই আর বেঁচে নেই। শম্ভু মিত্র, উত্পল দত্ত, খালেদ চৌধুরী, তাপস সেন, কুমার রায়— কেউই আর বেঁচে নেই। কেবলমাত্র ছিলেন শোভাদি। শুধু তো ‘পিএলটি’ নয়, মহিলা শিল্পীদের অধিকার, তাঁদের প্রতিভার অন্বেষণ, থিয়েটারে তাঁদেরকে একেবারে সামনের সারিতে নিয়ে আসা— এই কাজটি শোভাদি করে গিয়েছেন নিরন্তর। আমরা মুখে যতই বলি না কেন মহিলা ও পুরুষ শিল্পীদের মধ্যে কোনও ভেদাভেদ নেই, কিন্তু আমাদের সামাজিক পরিবেশ যা তাতে পুরুষের স্থানের সঙ্গে নারীদের স্থানের অনেক তফাত্। সেই জায়গাটা ঘোচাতে শোভাদি লাগাতার চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছেন। নেতৃত্ব দিয়েছেন। তিনি উত্পল দত্তেরও মস্ত বড় প্রেরণা ছিলেন। এই লড়াকু মহিলার মৃত্যু থিয়েটারের মস্ত বড় ক্ষতি।
দেবশঙ্কর হালদার
আমার থিয়েটারে আসার পিছনেও পরোক্ষে শোভা সেনের ভূমিকা ছিল। সে সময় ইউনিভার্সিটি ইন্সস্টিটিউট হলে উত্পল দত্তের নাটক দেখতে যেতাম। শোভাদিও অভিনয় করতেন। সেই সময় থেকেই থিয়েটারে অভিনয়ের ব্যাপারটা মনের মধ্যে দানা বাঁধতে থাকে। বস্তুত শোভা সেন নিজেই একটা গোটা থিয়েটার। ‘পিএলটি’-এর মতো একটা দলকে যে স্বপ্ন নিয়ে যে প্রেরণায় এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন সেটা প্রণম্য ব্যাপার। এরই পাশাপাশি উত্পল দত্তের মতো মহীরূহকে তিনি আগলে রেখেছেন। এটাও কম বড় ব্যাপার নয়। শোভা সেনের মৃত্যু বাংলা থিয়েটারে একটা বিরাট শূন্যতা সৃষ্টি করল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy