‘শোলে’ ছবির শেষ দৃশ্য। ছবি: ইউটিউবের সৌজন্যে।
‘শোলে’ কত বার দেখেছেন? এই প্রশ্নটা বলিউড ছবিপ্রেমী কোনও মানুষকে জিজ্ঞেস করলে উত্তরটা সব সময় একাধিক হবেই। পরিচালক রমেশ সিপ্পির এই ছবি বলিউডের ইতিহাসে অন্যতম সেরা ফিল্ম।
এই ছবির শেষ দৃশ্যটা মনে পড়ছে? ঠাকুর (সঞ্জীব কুমার) গব্বর সিংহ (আমজাদ খান)-কে বদলা নেওয়ার জন্য টানটান অ্যাকশন? ক্লাইম্যাক্সের সময় হঠাত্ পুলিশ এসে ঠাকুরকে বলে গব্বরকে ছেড়ে দিতে। কারণ তিনি আইন হাতে তুলে নিতে পারেন না। এর পর পুলিশ হেফাজতে নিয়ে নেয় গব্বরকে।
৪৩ বছর পর জানা গেল, শোলে’র এই শেষ দৃশ্যটা সেন্সর বোর্ডের নির্দেশে বদলেছিলেন পরিচালক। এই দৃশ্যটা নাকি অন্যরকম চেয়েছিলেন রমেশ সিপ্পি।
‘শোলে’র শেষ দৃশ্যে ‘গব্বর’কে গ্রেফতার করতে আসছে পুলিশ। ছবি: ইউটিউবের সৌজন্যে।
সম্প্রতি পুণে ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে গিয়েছিলেন বলিউডের প্রবীণ পরিচালক রমেশ সিপ্পি। সেখানেই ভারতীয় সেন্সর বোর্ডের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে ‘শোলে’র অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন তিনি। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস-এর খবর অনুযায়ী, রমেশ সিপ্পি বলেন, ‘‘শোলের শেষটা আমি অন্য রকম শুট করেছিলাম। যেখানে গব্বরকে মেরে ফেলবে ঠাকুর। কিন্তু সেন্সর বোর্ড অনুমতি দেয়নি। পা দিয়ে গব্বরকে ঠাকুরের মেরে ফেলার ঘটনায় খুশি ছিল না বোর্ড।’’
বলিউড-টলিউড-টেলিউডের হিট খবর জানতে চান? সাপ্তাহিক বিনোদন সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
১৯৭৫ সালে ছবি মুক্তির ওই সময়ে দেশে জরুরি অবস্থা চলছিল। এই প্রসঙ্গ টেনে দৃশ্য বদল নিয়ে রমেশ সিপ্পিআরও বলেন, ‘‘সেন্সরের অনুমতি না মেলায় আমি চিন্তায় পড়েছিলাম। তাহলে ঠাকুর কী ভাবে মারবে গব্বরকে? ঠাকুরেরহাত থাকলে গুলি করে মারা যেত গব্বরকে। অতিরিক্ত অ্যাকশন নিয়েও অখুশি ছিল বোর্ড। তারা বলেছিল, শেষটা বদলাতে হবে। আমি অনিচ্ছা সত্ত্বেও তা করেছিলাম।’’
আরও পড়ুন, বলিউডের এই সিক্যুয়েলগুলি মুক্তি পাচ্ছে ২০১৮-এ
আরও পড়ুন, নতুন বছরে জুটি বাঁধছেন এই তারকারা, জানেন?
১৯৭৫ সালের ১৫ অগস্ট মুক্তি পেয়েছিল ‘শোলে’। অমিতাভ বচ্চন-ধর্মেন্দ্র-হেমা মালিনী-জয়া বচ্চনের এই ছবি আজও সমান জনপ্রিয়। ছবিতে বিশেষ ভাবে নজর কেড়েছিল সঞ্জীব কুমার ও আমজাদ খানের অভিনয়ও। হিন্দি ফিল্মের ইতিহাসে এই ছবির কয়েকটি সংলাপ আজও লোকের মুখে মুখে ফেরে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy