মঞ্চে কলকাতার নাট্যগোষ্ঠী সায়ক-এর কলাকুশলীরা। —নিজস্ব চিত্র।
এশিয়ার বৃহত্তম থিয়েটার ফেস্টিভ্যাল, ১৯তম ‘ভারত রঙ্গ উৎসব’ অনুষ্ঠিত হচ্ছে দিল্লির ন্যাশনাল স্কুল অব ড্রামা-র বিভিন্ন অডিটোরিয়ামে।
বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রায় ১৪টি দেশ অংশগ্রহণ করেছে এই উৎসবে। কিন্তু এই উৎসবে দুই পড়শি দেশ চিন ও পাকিস্তান নেই। এই দুই দেশের বাদ পড়া প্রসঙ্গে ন্যাশনাল স্কুল অব ড্রামা-র ডিরেক্টর ওয়ামন কেন্দ্রে বলেছেন, “গুণগত মানই নাটক নির্বাচনের একমাত্র নির্দেশিকা। শিল্পীরা তাঁদের আবেদনপত্র জমা করেছেন। পাকিস্তানের ক্ষেত্রে আমাদের নির্ধারিত মানের সঙ্গে কোথাও অসঙ্গতি রয়েছে।”
তিনি জানিয়েছেন, এই উৎসবে অংশগ্রহণ করার জন্য গোটা বিশ্ব থেকে ছ’শোরও বেশী থিয়েটারপ্রেমী সংগঠন আবেদনপত্র জমা দিয়েছে। যার মধ্যে ভারতের বিভিন্ন প্রান্তের নাট্যগোষ্ঠীর আবেদনপত্রও রয়েছে। এই আন্তর্জাতিক উৎসবে চিনের অনুপস্থিতি নিয়ে এনএসডি-র এক প্রবীণ অধ্যাপক সুরেশ ভরদ্বাজ জানান, চিনের সঙ্গে এই উৎসবের সূচি ম্যাচ না করায় তারা অংশগ্রহণ করতে পারেনি। প্রথম দিন থেকেই এই উৎসবে শহরের নাট্যপ্রেমী মানুষের ভিড় লক্ষ করার মতো। জম্মু-কাশ্মীর থেকে মণিপুর, কেরল, কর্নাটক, ওড়িশা— ভারতের প্রায় সব ক’টি রাজ্যেরই বিভিন্ন গ্রুপ থিয়েটার অংশগ্রহণকারীর তালিকায় রয়েছে।
দিল্লির ন্যাশনাল স্কুল অব ড্রামা-র অডিটোরিয়ামে নাটকের একটি দৃশ্য। —নিজস্ব চিত্র।
নাটক ছাড়াও উৎসবের অন্যতম আকর্ষণ লোক সংস্কৃতির প্রদর্শন। গুজরাত, ওড়িশা, মণিপুর, পশ্চিমবঙ্গ, মহারাষ্ট্র, কর্নাটক, উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান, ছত্তীসগঢ় ও কাশ্মীরের শিল্পীদের লোক সংস্কৃতির প্রদর্শন উৎসবে সামিল মানুষের বাড়তি পাওনা।
আরও পড়ুন
টিভিতে ফিরল শাহরুখের ‘সার্কাস’
কলকাতা থেকে নান্দীকার, সায়ক সমেত পাঁচটি নাট্যগোষ্ঠী অংশগ্রহণ করেছে এই উৎসবে। মেঘনাদ ভট্টাচার্য নির্দেশিত সায়ক নাট্যগোষ্ঠীর নাটক পাসিং শো দেখতে ভিড় উপচে পড়েছিল এনএসডি-র এলজি অডিটোরিয়ামে। জাঠ-হরিয়ানভির দেশে এই বাঙালি নাট্যপ্রেমী মানুষের সমাগম দেখে মনে হচ্ছিল কলকাতার রবীন্দ্রসদন, নন্দন বা শিশির মঞ্চ যেন উঠে এসেছে রাজধানীর পথে। মঞ্চের বাইরে সেই পরিচিত চায়ের স্টলে চেনা শব্দের আনাগোনা, তুমুল তর্ক, হাসিঠাট্টা যেন ‘কবির জ্বরজারির কোনও তোয়াক্কা না করেই এরপর সে গড়িয়ে গেল’ রাজধানীর ধুলোয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy