ছবির শুটিংয়ে পাওলি।
৬ ডিসেম্বর, ১৯৯২। বাবরি মসজিদ ধ্বংস।
২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০০২। গোধরা কাণ্ডের সূচনা।
শুধুই ইতিহাস হয়ে যাওয়া বাস্তব ঘটনা নয়। এর প্রেক্ষাপটেই ‘অরণি তখন’-এর গল্প বুনেছেন পরিচালক সৌরভ চক্রবর্তী। যেখানে সামাজিক তথা রাজনৈতিক চালচিত্রই কোথাও ভিলেন হয়ে ওঠে। পাওলি দাম, ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত, প্রতীক বব্বর, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় অভিনীত ছবিটি মুক্তি পাচ্ছে আজ শুক্রবার। পরিচালকের কথায়, ‘‘এটা প্রেমের গল্প। তা ছাড়াও সব কিছুর ওপরে মানবতাকে সেলিব্রেট করবে এই ছবি।”
আরও পড়ুন, অগ্রিম টাকা নিয়েও গাইলেন না ইমন? ‘অপপ্রচার’, বললেন শিল্পী
ছবিতে মুসলিম মেয়ে রুনা রেজা (পাওলি দাম) ভালবাসে হিন্দু ছেলে সুমন্তকে (ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত)। কিন্তু সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার কারণে তাঁদের বিচ্ছেদ হয়ে যায়। সেটা রুনার জীবনে চূড়ান্ত আঘাত নিয়ে আসে। সেখান থেকে রুনাকে ঘুরে দাঁড়াতে সাহায্য করেন সোমেশ্বর মুখোপাধ্যায় (সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়)। তিনি রুনার নাম দেন ‘অরণি’। কোথাও তখন রুনার জীবনে পদবী অর্থহীন হয়ে ওঠে। তাঁর ছাত্র মনজিদ দত্তেরও (প্রতীক বব্বর) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে রুনার জীবনে।
এ ছবি কোথায় আলাদা? পাওলি শেয়ার করলেন, ‘‘গল্পের বইতে আমরা যেমন ভালবাসার কথা পড়ি, এই ছবিতেও তেমনটাই দেখতে পাবেন দর্শক। রুনার ভালবাসার মধ্যে একটা বড় আত্মত্যাগ লুকিয়ে রয়েছে।’’ প্রতীকের কথায়, ‘‘হিংসা, অবিচার এখন প্রত্যেকদিন খবরের শিরোনামে দেখি আমরা। সেখানে মানবতা, ভালবাসা, শান্তি, সহ্যশক্তির প্রয়োজন। এই ছবিটা সে গল্পই বলবে।’’
ছবির একটি দৃশ্যে পাওলি ও ইন্দ্রনীল।
কলকাতা, মুম্বই ও গুজরাতে হয়েছে এই ছবির শুটিং। কলকাতায় শুটিংয়ে এসে নন্দনে ঘুরে ফুচকাও খেয়েছেন প্রতীক। সে রহস্য ফাঁস করলেন পাওলি স্বয়ং। তাঁর কথায়, ‘‘প্রতীক খুব ভাল কাজ করেছে। ওর সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতাও খুব ভাল। এই ছবিটা আমার কাছে খুব স্পেশাল। সৌমিত্র জেঠুর সঙ্গে প্রথম কাজ। ওঁর মুখ থেকে কবিতা শুনতে দারুণ লাগে। আমরা দু’জনে একটা কবিতা বলেওছি ছবিতে।’’
তা হলে আর দেরি কেন? ‘অরণি’র জার্নি দেখতে হলে এ বার আপনাকে হলে যেতেই হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy