ইন্দুর ভূমিকায় কীর্তি কুলহারি। ছবি: সংগৃহীত।
জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। তবে তাতে ‘আতঙ্কিত’ হবেন না। রেডিওতে ভেসে এল ঘোষণা। সেই সরকারি সিদ্ধান্তে সত্যিই কি কাটল আতঙ্ক? ইন্দু সরকারের অভিজ্ঞতা কিন্তু অন্য কথা বলে। আতঙ্কের যথেষ্ট কারণ রয়েছে। ইন্দুর জীবনের কয়েকটি পাতা উল্টোলেই সে কথা জানা যায়। ইন্দু বিশেষ পরিচিত নাম নয়। এ দেশের ইতিহাসে তাঁর উল্লেখও নেই। আটপৌরে ঘরের বধূ। সুখী ঘরের কোণায় কবিতাও বাসা বেঁধেছে। কিন্তু, সেই ইন্দুর জীবন বদলে যায় রাতারাতি। কী ভাবে? আর কেনই বা তেমনটা ঘটল? তাঁর নয়া ছবি ‘ইন্দু সরকার’-এ সে কাহিনিই শোনাবেন মধুর ভান্ডারকর। শুক্রবার তারই ট্রেলার রিলিজ হল।
আরও পড়ুন- দঙ্গলকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে চিনে মুক্তি পেতে চলেছে বাহুবলী ২
সত্তরের দশকে ২১ মাসের জরুরি অবস্থার স্মৃতি এ প্রজন্মের কাছে ইতিহাসমাত্র। এ বার সেই সময়ের কথাই শোনাতে চান মধুর। ইন্দুর জবানিতে রাষ্ট্রের অবিচারের ছবি তুলে ধরেছেন তিনি। মধুরের দাবি, জরুরি অবস্থার সময়কার সত্য ঘটনার ভিত্তিতেই এগিয়েছে এই ছবির গল্প। তবে কি সত্তরের দশকে কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন কোনও একটি পরিবারের গল্প শোনা যাবে এ ছবিতে? ট্রেলার রিলিজ করে মধুর অবশ্য জানিয়েছেন, সত্য ঘটনা অবলম্বনে হলেও ছবির ৭০ শতাংশই কাল্পনিক। ‘ইন্দু সরকার’কে বিশ্বাসযোগ্য করে তুলতে যথেষ্ট খেটেছেন তিনি। মধুর বলেন, “দিল্লির নেহরু সেন্টারে এ নিয়ে অনেক গবেষণা করেছি। বেশ কয়েকটা বইও পড়তে হয়েছে।” ইন্দুর গল্প কাল্পনিক হলেও তা জরুরি অবস্থার বাস্তব পটভূমির ভিত্তিতে গড়ে তোলা হয়েছে বলে দাবি মধুরের।
নাম ভূমিকায় কীর্তি কুলহারির অভিনয় ইতিমধ্যেই প্রশংসা কুড়োচ্ছে। এ ছবির জন্য রীতিমতো তোতলামি শিখেছেন তিনি। কীর্তি বলেন, “তোতলামি করাটা বেশ কঠিন ছিল। আর এটা শিখতে বেশ পরিশ্রম করতে হয়েছে। এই চরিত্রটি ভাল করে বুঝতে এক জন মনোবিদের সঙ্গে কথাবার্তা বলেছি। এক জন স্পিচ থেরাপিস্টেরও সাহায্য নিয়েছি। তোতলামি করতে গিয়ে বিষয়টা যেন হাস্যকর না হয়ে ওঠে সে দিকেও খেয়াল রাখতে হয়েছে।” কীর্তি ছাড়াও সঞ্জয় গাঁধীর চরিত্রে নীল নিতিন মুকেশকে দেখেও চমকে উঠতে হয়। সেই সঙ্গে ইন্দিরা গাঁধীর ভূমিকায় রয়েছেন সুপ্রিয়া বিনোদ।
দেখুন ছবির ট্রেলার-
এ ছবিতে মধ্যবিত্ত পরিবারের নিশ্চিন্ত ঘেরাটোপে বে়ড়ে ওঠা ইন্দুই এক সময় রাষ্ট্রের অবিচারের বিরুদ্ধে গর্জে ওঠেন। তা এত সহজে কী ভাবে পর্দায় ফুটিয়ে তুললেন? উত্তরে কীর্তি বলেন, “এর মধ্যে কোনও ধাঁধাঁ লুকিয়ে নেই। নিজের খামতি মিটিয়ে কী ভাবে আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠে ইন্দু সেই সফরের কথাই তুলে ধরেছি।” আগামী ২৮ জুলাই নিজের সফরের অজানা কথাই শোনাতে আসছেন ‘ইন্দু সরকার’।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy