Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
Entertainment News

ড্রিম গার্ল সহজে হইনি: একান্ত সাক্ষাৎকারে হেমা

এক জন মেয়ে, এক জন মা, এক জন স্ত্রী, এক জন অভিনেত্রী— ৬৯ বছরের হেমা মালিনীর জার্নিটা আর পাঁচ জন তারকার মতো নয়। সবার ‘ড্রিম গার্ল’ হয়ে ওঠার পিছনে রয়েছে তাঁর কঠোর পরিশ্রম। নিজের বায়োগ্রাফি ‘বিয়ন্ড দ্য ড্রিম গার্ল’-এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনে কলকাতায় এসেছিলেন হেমা। আড্ডা দিলেন আমাদের সঙ্গেও। কথোপকথনে সঙ্গে ছিলেন নায়িকার জীবনীকার রাম কমল মুখোপাধ্যায়ও।সবাই জানতে চায়, এত সুন্দরী কী ভাবে হলেন আপনি? আমাকে এই প্রশ্নটা হামেশাই করা হয়। অনেক বার অনেক রকম উত্তর দেব ভাবি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বলি ‘ওটা রহস্যই থাক’।

‘ড্রিম গার্ল’ হেমা। — নিজস্ব চিত্র।

‘ড্রিম গার্ল’ হেমা। — নিজস্ব চিত্র।

রাইমা চক্রবর্তী
শেষ আপডেট: ০৫ নভেম্বর ২০১৭ ১৪:১৮
Share: Save:

কেরিয়ারের পঞ্চাশ বছর। শুরুর দিন যতটা সুন্দরী ছিলেন, আজও ঠিক তেমনই সুন্দর হেমা মালিনী। রহস্যটা কী?

হেমা: তাই? আমি এখনও ওইরকমই আছি? (হাসি...)

নিশ্চয়ই। সবাই জানতে চায়, এত সুন্দরী কী ভাবে হলেন আপনি?

হেমা: আমাকে এই প্রশ্নটা হামেশাই করা হয়। অনেক বার অনেক রকম উত্তর দেব ভাবি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বলি ‘ওটা রহস্যই থাক’। আজ আপনাকেও সেটাই বলব। (হাসি...)

ঠিক আছে, তাও দু’একটা টিপস দিন না...

হেমা: না, না। সব রহস্য। (হাসি...)

আরও পড়ুন, আমার জীবন খোলা খাতা, কলকাতায় বললেন হেমা

আরও পড়ুন, হেমার আত্মজীবনী প্রকাশ্যে, পর্দা উঠতে পারে অনেক অজানা ঘটনার

এ বার একটু আপনার জীবনীকার রাম কমল মুখোপাধ্যায়কে জিজ্ঞেস করি।

এক জন অভিনেত্রীর জীবন তো রহস্যে মোড়া। হেমা মালিনীর মতো এক জনকে নিয়ে লিখতে গিয়ে আপনাকে নিশ্চয়ই গোয়েন্দা হতে হয়েছিল?

রাম কমল: (হাসি...) হুম। খুব একটা ভুল বলেননি। আসলে আমি হেমাজির ট্রু ফ্যান। ওঁকে নিয়ে লিখব তা তো আগে থেকে ঠিক ছিল না। যে দিন লিখব ঠিক করলাম, সে দিন থেকে গোয়েন্দার মতোই কাজ করতে হয়েছে। তবে হেমাজির মেয়েরা আমাকে অনেক কিছু বলেছে। অনেক রহস্য জানিয়েছে। (হাসি...)

হেমাজি কী বলবেন? লেখক তো বলছেন উনি সব রহস্য জানেন?

হেমা: আসলে রাম কমল আমাকে সত্যিই খুব ভালবাসে। ওঁর অসম্ভব অবজারভেশন পাওয়ার। আমার জীবনের কত ঘটনা মাঝে মাঝে ওই আমাকে মনে করিয়ে দিয়েছে। হঠাৎ তখন মনে হয়, বাহ্, আমি এই কাজটাও করেছি!

হেমা মালিনীর জীবনী হাতে লেখক রাম কমল মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে। — নিজস্ব চিত্র।

যাঁর জীবন নিয়ে এত কিছু লিখলেন, তিনি আপনাকে কোনও কমপ্লিমেন্ট দিয়েছেন?

রাম কমল: না, হেমা মালিনী কোনও দিন কমপ্লিমেন্ট দেন না। ওঁর ভালবাসাটা অন্য রকম। এর আগে মুম্বইতে যে দিন এই বইটার উদ্বোধন হল, সে দিন খুব ব্যস্ত ছিলাম আমরা। খুব হেকটিক ছিল ওই দিনটা। সে দিন সব কাজ যখন ভাল ভাবে মিটে গেল, তখন উনি এক বার হঠাত্ আমার মাথায় হাত রেখেছিলেন। মুখে অবশ্য কিছু বলেননি। সেটাই আমার পাওনা।

হেমাজি, আপনি পঞ্চাশ বছর ধরে ইন্ডিয়ান ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করছেন। জার্নিটা কেমন?

হেমা: পঞ্চাশ বছর। হুম। মাঝে মাঝে নিজের বেশ অবাক লাগে। কিন্তু জার্নিটা মোটেই খুব সোজা ছিল না। অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে। নিজেকে প্রমাণ করতে হয়েছে। তবে গিয়ে সবার ড্রিম গার্ল হতে পেরেছি। আর এখনও সবাই আমাকে মনে রেখেছেন। ‘ড্রিম গার্ল’ তো আমার একটা নাম।

ইদানীং কাজ করা কি অতটা কঠিন?

হেমা: এখন সুযোগ বেশি। অপশনও বেশি। কিন্তু কাজ সবাইকেই করতে হয়। প্রমাণ না করতে পারলে হবে না। যেমন দীপিকা। আমি ওঁকে খুব পছন্দ করি। ও মুম্বইতে আমার বইয়ের উদ্বোধনেও এসেছিল।

‘বিয়ন্ড ড্রিম গার্ল’-এর উদ্বোধনে কলকাতায় হেমা। ছবিতে অটোগ্রাফ দিলেন নায়িকা। — নিজস্ব চিত্র।

আপনার পাঁচ সেরা সহ-অভিনেতার নাম বলুন?

হেমা: অনেকেই রয়েছেন। কার নাম বলব? পাঁচ জন ওভাবে বলা যাবে না। ধরমজি, অমিতজি, জিতুজি এঁদের কথাই বলি...

রাম কমলদা, আপনি তো এত কাছ থেকে হেমাজিকে দেখেছেন। ওঁর সেরা গুণ কী বলবেন?

রাম কমল: ডেডিকেশন। কাজের প্রতি আগ্রহ।

বাড়িতে তো এখন সেলিব্রেশন টাইম। এষার মেয়ে হয়েছে। আপনি দ্বিতীয়বার নানি...কেমন দেখতে নাতনিকে?
হেমা: হুম, খুব ভাল লাগে। একটা ছোট্ট গুড়িয়া। এষা আর ভরতের মতোই দেখতে। ভরত তো খুব হ্যান্ডসাম।

হেমাজি, আপনার আগামী ছবি কবে আসছে?

হেমা: এলেই জানতে পারবেন। আপনারাই তো সবার আগে এ সব খবর পেয়ে যান। (হাসি...)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE