ছবি: টুইটার।
সাল ১৯৮৪। তার পরে, এ দেশের ‘ফার্স্ট লেডি’ রয়ে গিয়েছিলেন শুধুই স্মৃতিতে। কিছু ভিডিও ফুটেজে, অনেক ছবি আর লোকের মুখে ফেরা গল্পে। সে সব সত্যি-মিথ্যের পর্দা সরিয়ে এ বার ফিরে আসছেন ইন্দিরা গাঁধী। সেলুলয়েডে অবশ্যই! তবে, সুচিত্রা সেন অভিনীত ‘আঁধি’-র মতো ছায়া-চরিত্রে নয়। একেবারে সরাসরি বলিউডের রুপোলি পর্দা ফিরিয়ে আনবে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে। আর, এ বারে, ম্যাডাম গাঁধী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করছেন একসময়ের ডাকসাইটে অভিনেত্রী দীপা শাহি।
মাঝখানে বেশ অনেকগুলো বছর চুপচাপ বসে ছিলেন দীপা। শেষ তাঁকে দেখা গিয়েছিল স্বামী কেতন মেহতার ১৯৯৭-এর ‘আর ইয়া পার’ ছবিতে। সে দিক দিয়ে দেখলে, এ বারে ম্যাডাম গাঁধী আর দীপা— দু’জনেরই ফিরে আসা!
তবে, দুঃখ একটাই! এ ছবি ইন্দিরা গাঁধীর বায়োপিক নয়। সারা ছবি জুড়ে কাজেই দেখাও যাবে না এ দেশের ‘ফার্স্ট লেডি’-কে। ছবি আসলে ভারত রাজনীতির ‘মাউন্টেন ম্যান’ দশরথ মাঁজিকে নিয়ে। তাঁর নামেই ছবির নাম— ‘মাঁজি: দ্য মাউন্টেন ম্যান’। ছবিতে মাঁজির ভূমিকায় দেখা যাবে নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকিকে। সেই ছবির একটি দৃশ্যে বিহারে বক্তৃতা দেওয়ার সময়ে দেখা যাবে ম্যাডাম গাঁধীকে।
তবে, যত অল্প সময়ের জন্যই হোক না কেন, ইন্দিরা গাঁধীর জুতোয় পা দেওয়াটা তো আর মুখের কথা নয়।সে জন্য কী ভাবে তৈরি হচ্ছেন দীপা?
দীপা বলছেন, সবার প্রথমে চরিত্রটা বিশ্বাসযোগ্য করে তোলার জন্য একটা পরচুলা ব্যবহার করছেন তিনি। একটা ছাইরঙা প্যাচওলা পরচুলা, ঠিক যেমনটা ছিল ইন্দিরা গাঁধীর হেয়ারস্টাইল।
আর বাকিটা?
“খুব ভাল করে ইন্দিরা গাঁধীর ভিডিও ফুটেজগুলো দেখছি। রপ্ত করছি ওঁর বডি ল্যাঙ্গুয়েজ। বিশেষ করে, কথা বলার ধরন! ওঁর কথা বলার একটা আলাদা ধরন ছিল। খুব জোর দিয়ে প্রত্যেকটা শব্দ উচ্চাণ করতেন তিনি”, জানাচ্ছেন দীপা শাহি।
তবে, এটুকুতেই সন্তুষ্ট থাকার মতো মেয়ে তো আর দীপা নন। এক ফাঁকে তিনি এও জানিয়ে দিয়েছেন, ইন্দিরা গাঁধীকে নিয়ে একটা পূর্ণ দৈর্ঘের ছবি পরিচালনার অনেক দিনের ইচ্ছে তাঁর! একবার, এমনকী, সব ঠিকও হয়ে গিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত আর কাজটা এগোয়নি, এই যা!
তা, এটাই বা মন্দ কী! ‘মাঁজি: দ্য মাউন্টেন ম্যান’-এ তিনিই তো ফিরিয়ে আনছেন ম্যাডাম গাঁধীকে!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy