বাবার সঙ্গে ইরা
বাপকা বেটি বোধহয় একেই বলে! ফিল্ম ইন্ডাট্রিতে বড় হয়েও আমির খানের মতোই জরা হঠকে মেয়ে ইরা খান। অ্যাক্টিং নয়, মিউজিকেই কেরিয়ার শুরুর সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি। সুরকার রাম সম্পতের অ্যাসিস্টট্যান্ট হিসেবে।
ফিল্মি জীবনে প্রায় প্রতি ছবিতেই দেখা যায় অচেনা আমিরকে। চকোলেট হিরো হিসেবে শুরু করলেও অভিনয়ের খাতিরে বার বার নিজেকে ভেঙেছেন আমির। তা সে ‘দিল চাহতা হ্যায়’, ‘গজিনী’, ‘তারে জমিন পর’, ‘থ্রি ইডিয়টস’ হোক বা হালফিলের ‘দঙ্গল’। নিজের স্টার ইমেজ বদলে অভিনেতা আমিরের উত্তরণ ঘটেছে প্রতিটি ছবিতেই। বাবার মতো ইরাও নিজের অন্য ‘ইমেজ’ তৈরি করতে চান। স্টারকিড হলেও শুরুটা তাই একটু অন্য রকমের করতে চাইছেন তিনি। গড়পরতা স্টারকিডদের মতো হোম প্রোডাকশনের নৌকায় চড়ে পথচলা শুরু করেননি।
মেয়ে সঙ্গীতে দুনিয়ায় থাকতে চান
বছর কুড়ির ইরা আমিরের প্রথম স্ত্রী রীনা দত্তের মেয়ে। পরিবারের ঘনিষ্ঠরা জানিয়েছেন, ছোট থেকেই মিউজিকের দিকেই ঝোঁক তাঁর। তবে শেষমেশ মিউজিককেই যে কেরিয়ার হিসেবে বেছে নেবেন এমনটা বোধহয় কেউ আন্দাজ করতে পারেননি। তবে গায়িকা নয়, গানের প্রোডাকশন নিয়ে কাজ করার ইচ্ছে তাঁর। তাই কেরিয়ার শুরু করছেন রাম সম্পতের সহযোগী হিসাবে। কিন্তু, রাম সম্পতই কেন? বলিউডে তো নামজাদা সুরকারের অভাব নেই! আমির-ঘনিষ্ঠ এক জন বলেন, “রাম সম্পতের মিউজিক বরাবরই ভাল লাগে ইরার। সে জন্যই তাঁর সঙ্গে কাজ করতে খুব সুবিধা হবে ওঁর।” রামের সুর করা ‘তলাশ’-এর সবক’টি গানই ইরার ফেভারিট। আর ‘ফুকরে’র অম্বরসরিয়া গানটা তো তাঁর ভীষণ প্রিয়।
মেয়ের এই সিদ্ধান্তে এখনও পর্যন্ত মুখ খোলেননি আমির। ইরা ফিল্মি পরিবেশেই বড় হোন, তা-ই চেয়েছেন বরাবর। তবে নিজের ইচ্ছেকে জোর করে চাপিয়ে দেওয়াটাও না-পসন্দ আমিরের। কয়েক দিন আগে আমির বলেছিলেন, “বাবা হিসেবে আমি খুবই রিল্যাক্সড। নিজের জীবনে যা কিছু শিখেছি তা-ই ছেলেমেয়েদের শেখাতে চেয়েছি। সন্তানদের উপর আমার পুরোপুরি ভরসা আছে। নিজেদের জীবনে ওঁরা সঠিক সিদ্ধান্ত নেবে বলে আমার বিশ্বাস।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy