ছবি: ফেসবুকের সৌজন্যে।
দীর্ঘ দিন ধরে চলা নেপোটিজম বিতর্কে অবশেষে সইফ আলি খানকে একহাত নিলেন কঙ্গনা রানাউত। দিন কয়েক আগে একটি খোলা চিঠি লিখেছিলেন সইফ। সেখানে তাঁর বক্তব্য ছিল, মায়ের জন্যই তিনি বলিউডে সুযোগ পেয়েছেন এটা ঠিক। তবে নেপোটিজমের থেকেও এ ক্ষেত্রে জিনের কৃতিত্ব বেশি। এ বার সেই প্রেক্ষিতেই সইফের বক্তব্যকে কটাক্ষ করে কঙ্গনা জানালেন, তিনিও জীবনের অনেকটা সময় জিনতত্ত্ব নিয়ে পড়াশোনা করেছেন। কিন্তু বুঝতে পারেননি, কোন তত্ত্বে হাইব্রিড ঘোড়ার সঙ্গে এক জন প্রকৃত শিল্পীকে তুলনা করা যায়!
এখানেই থেমে থাকেননি নায়িকা। সইফের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘‘আমি জানি না কী ভাবে এক জন শিল্পীর কঠোর পরিশ্রম, অভিজ্ঞতা, দক্ষতা, মুন্সিয়ানা, উৎসাহ, শৃঙ্খলা আর ভালবাসা পরিবারের জিন থেকে আসে। যদি তোমার কথাই সত্যি হয়, তা হলে তো আমার বাড়ি ফিরে কৃষক হয়ে যাওয়া উচিত।’’
আরও পড়ুন: সোনমের বিষয়ে আমি খুব প্রোটেকটিভ, বললেন অর্জুন
আইফা-র মঞ্চে কঙ্গনাকে নিয়ে হাসিঠাট্টা করে বিপাকে পড়ে প্রকাশ্যেই কঙ্গনার কাছে ক্ষমা চেয়েছিলেন কর্ণ জোহর, বরুণ ধবন ও সইফ আলি খান। সেই সময় সইফ দাবি করেছিলেন, কঙ্গনার সঙ্গে ব্যক্তিগত ভাবে যোগাযোগ করে তিনি বিষয়টি মিটিয়ে নিয়েছেন। কিন্তু কঙ্গনা এ দিন জানান, নেপোটিজম শুধুমাত্র তাঁর একার বিষয় নয়। এটা একটি প্রচলিত অভ্যাস। যেটা মানুষের প্রতিভার থেকেও বেশি আবেগের উপর কাজ করে।
শুধু তাই নয়, সইফের সুপ্রজননতত্ত্বকে খোঁটা দিয়ে কঙ্গনা লেখেন, ‘‘আমি বিশ্বাস করি মানুষ এখনও সেই ডিএনএ খুঁজে পায়নি যা দিয়ে মানবিকতা পরবর্তী প্রজন্মতে বাহিত হয়। যদি সত্যিই তাই হত, তা হলে শেক্সপিয়র, বিবেকানন্দ, দ্য ভিঞ্চি, আইনস্টাইন, স্টিফেন হকিন্সের ভাল গুণগুলোও বার বার আমরা ফিরে পেতাম।’’
বিতর্কের শুরুটা হয়েছিল আইফা মঞ্চে থেকে। হাস্য-কৌতুক চরিত্রে শ্রেষ্ঠ অভিনেতার পুরস্কার নিতে মঞ্চে উঠেছিলেন বরুণ ধবন। তখনই সইফ তাঁকে বলেছিলেন, ‘‘তুমি এখানে এসেছ তোমার বাবার জন্য।’’। বরুণের চটজলদি জবাব, ‘‘তুমিও এখানে এসেছ তোমার মায়ের সুবাদে।’’ কর্ণ জোহরও জোর গলায় স্বীকার করে নেন, তাঁর পিছনেও ছিলেন তাঁর বাবা যশ জোহর। এর পর তিন জনে এক সুরে চেঁচিয়ে উঠে বলেন, ‘নেপোটিজম রকস্’। রঙ্গরসের শেষ হয়, ‘বোলি চুরিয়া, বোলে কঙ্গনা’ গান গেয়ে, কর্ণের টিপ্পটিতে। এরপরেই কর্ণের মন্তব্য ছিল, ‘‘কঙ্গনা কথা না না বললেই ভাল হয়।’’ কিন্তু তিন নায়কের এই কটূক্তি ভাল চোখে দেননি টুইটারেত্তিরা। ট্রোলিংয়ের শিকার হতে হয় তিনজনকেই। অবশেষে একে একে ক্ষমাও চেয়ে নিয়েছিলেন তিনজন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy