টিম কেলোর কীর্তি।— ফাইল চিত্র।
কলকাতার কমেডি চলচ্চিত্র ‘কেলোর কীর্তি’ বাংলাদেশে প্রদর্শনে হাইকোর্টের দেওয়া নিষেধাজ্ঞা স্থগিত করেছে আপিল বিভাগ। ফলে বাংলাদেশে এই সিনেমা প্রদর্শনে আর কোনও বাধা রইল না।
রবিবার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের বেঞ্চ এ আদেশ দিয়েছে বলে জানান ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একরামুল হক। রায়ের পর ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বলেছেন, হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করায় বাংলাদেশে ওই চলচ্চিত্র প্রদর্শনে আর কোনও বাধা থাকল না।
নীতি না মেনে আমদানি করা ‘কেলোর কীর্তি’ বাংলাদেশে প্রদর্শনে স্থগিতাদেশ চেয়ে হাইকোর্টে এক রিট আবেদন পেশ করা হয়েছিল। সেই আবেদনের প্রাথমিক শুনানিতে ১৯ জুলাই হাইকোর্ট চলচ্চিত্রটি প্রদর্শনে ছয় মাসের স্থগিতাদেশ দেয়।
এই নির্দেশে স্থগিতাদেশ চেয়ে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান আরাধনা এন্টারপ্রাইজ ও সরকারি পক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন করে। রবিবার শুনানি শেষে আদালত এই রায় দেয়।
এ দিকে রায়ের পর পরই বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ পরিচালক সমিতি বৈঠকে বসেছে। সমিতি জানায়, বৈঠকের পর বিদেশি চলচ্চিত্র প্রদর্শনের বিষয়ে আন্দোলনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সহ-সভাপতি সোহানুর রহমান সোহান বলেন, ‘আমরা আমাদের চলচ্চিত্র বাঁচানোর চেষ্টা করছি। কেউ কেউ চলচ্চিত্র ধ্বংসের পক্ষে দাঁড়াচ্ছে। এর পরেও আমরা হাল ছাড়ব না। শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করে যাব। এ বিষয়ে আমরা পরিচালক সমিতি জরুরি সভার আয়োজন করেছি। আমাদের আন্দোলনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করব।’’
গত ২০ জুলাই কলকাতার ছবি বাংলাদেশে মুক্তি দেওয়ার বিরোধিতা করে মানববন্ধন করে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ঐক্য পরিষদ। সেখানে চলচ্চিত্র বিনিময়ের মাধ্যমে অসম প্রতিযোগিতা বন্ধ ও প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান ঐক্য পরিষদের নেতৃবৃন্দ।
গত ২২ জুলাই বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রেক্ষাগৃহে ‘কেলোর কীর্তি’ ছবিটি মুক্তি দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল ছবিটির আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান আরাধনা এন্টারপ্রাইজের। রাজা চন্দ পরিচালিত ‘কেলোর কীর্তি’ ছবিটিতে অভিনয় করেছেন দেব, মিমি চক্রবর্তী, যীশু সেনগুপ্ত, অঙ্কুশ হাজরা, সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, নুসরত জাহান, কৌশানী মুখোপাধ্যায়, রুদ্রনীল ঘোষ প্রমুখ। ছবিটি তামিল ‘চার্লি চ্যাপলিন’ চলচ্চিত্রের অনুকরণে বানানো হয়েছে।
গত ঈদে ‘কেলোর কীর্তি’ কলকাতার বিভিন্ন প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছিল। কিন্তু নীতিমালা অনুসরণ না করে চলচ্চিত্রটি প্রদর্শন বন্ধের নির্দেশ চেয়ে রিট আবেদন দায়ের করা হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy