Advertisement
১৬ এপ্রিল ২০২৪
Entertainment News

পর্নোগ্রাফির অভিযোগে ঢাকার কুসুমের নামে মামলা

পর্নোগ্রাফির অভিযোগে এনে বাংলাদেশের মডেল ও অভিনেত্রী কুসুম শিকদার-সহ সাত জনের বিরুদ্ধে মামলাটি করেছেন ঢাকার সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী খন্দকার নাজমুল আহসান।

মিউজিক ভিডিওর একটি দৃশ্য। ছবি— সংগৃহীত।

মিউজিক ভিডিওর একটি দৃশ্য। ছবি— সংগৃহীত।

নিজস্ব সংবাদদাতা
ঢাকা শেষ আপডেট: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ১৬:৪৪
Share: Save:

ইউটিউব চ্যানেলে ‘বঙ্গবিডি’ থেকে অভিনেত্রী কুসুম শিকদারের ‘নেশা’ শিরোনামে একটি মিউজিক ভিডিওকে কেন্দ্র করে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নুরুন্নাহার ইয়াসমিনের আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। পর্নোগ্রাফির অভিযোগে এনে বাংলাদেশের মডেল ও অভিনেত্রী কুসুম শিকদার-সহ সাত জনের বিরুদ্ধে মামলাটি করেছেন ঢাকার সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী খন্দকার নাজমুল আহসান। মামলায় কুসুম-সহ অন্যদের মধ্যে আছেন সহ-মডেল খালেদ হোসাইন সুজন, ভিডিওটির পরিচালক শুভ্র খান ও শ্রাবণী এবং ভিডিও প্রকাশক প্রতিষ্ঠান বঙ্গ’র (স্টেলার ডিজিটাল লি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক।

আরও পড়ুন, এমিজ-এর মঞ্চে প্রিয়ঙ্কার পদবীর ভুল উচ্চারণ, সঞ্চালককে হোমওয়ার্ক করালেন নেটিজেনরা

আরও পড়ুন, দুই নাতনির দিদিমা এই মডেলের বয়স জানলে অবাক হবেন

মামলার বাদী খন্দকার নাজমুল আহসান সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘নেশা’ শিরোনামে একটি মিউজিক ভিডিওতে যে ভাবে শরীর দেখানো হয়েছে তা সুস্থ সংস্কৃতি ও শুদ্ধ সঙ্গীতের জন্য হুমকিস্বরূপ। আর সে জন্যই মামলাটি করা হয়েছে। আমি কোনও ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে দাঁড়াইনি। মিউজিক ভিডিওতে কাটপিসের মতো অপ্রাসঙ্গিক ও অহেতুক রগরগে যৌনতার দৃশ্য অন্তর্ভুক্তির বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছি। এই ধরনের ভিডিও চলতে থাকলে আগামী প্রজন্ম থেকে ভাল কিছু আশা করা কঠিন হয়ে পড়বে। তাঁর বক্তব্য, মামলাটি গ্রহণ করেছে আদালত। রমনা থানাকে অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

‘নেশা’ মিউজিক ভিডিওর একটি দৃশ্যে কুসুম শিকদার ও তাঁর সহ-অভিনেতা। ছবি— সংগৃহীত।

কুসুম শিকদারের ‘নেশা’ শিরোনামে মিউজিক ভিডিওটি গত ৩ অগস্ট ইউটিউবে প্রকাশ হলে বিতর্কিত কিছু দৃশ্যের কারণে বাংলাদেশের গণমাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনা শুরু হয়। ১৩ অগস্ট গানটির সব বৈধ-অবৈধ ভিডিও ইউটিউব থেকে সরানোর জন্য বাদীর পক্ষে আইনজীবী আফতাবউদ্দিন সিদ্দিকী রাগিব আইনি নোটিস দেন। কিন্তু নোটিস পেয়েও গানটি সরানো হয়নি। আর সে কারণেই রবিবার পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১২-এর ৮ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়।

মামলায় বলা হয়েছে, উত্তেজক কথাবার্তা দিয়ে শুরু হয়েছে গানটি। আর তার সঙ্গে মিউজিক ভিডিওতে জুড়ে দেওয়া হয়েছে আপত্তিকর, যৌন উত্তেজক ও অশ্লীল দৃশ্য। ভিডিওতে আছে পাঁচটি শাওয়ারের দৃশ্য, সাতটি সুইমিং পুলের দৃশ্য, একটি শয্যাদৃশ্য ও তিনটি চুম্বনের দৃশ্য। রয়েছে যৌন উত্তেজক ও অশ্লীল অভিনয়, অঙ্গভঙ্গি, নগ্ন বা অর্ধনগ্ন দৃশ্য। যার সঙ্গে গানের থিম বা বক্তব্যের কোনও মিল পাওয়া যায়নি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE