Advertisement
১৮ এপ্রিল ২০২৪
Entertainment News

‘নিউটন’এর এই রিয়েল লাইফ সাংবাদিককে চেনেন?

আসলে এই ছবিটির বিষয়বস্তু দর্শকদের এক রূঢ় বাস্তবতার সামনে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। দেশের সব মানুষের নিজের মতো করে ‘গণতান্ত্রিক’ হওয়ার অধিকার রয়েছে কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। ছবির চিত্রনাট্যে দেখানো ছত্তীসগঢ়েই এমন বাস্তব পরিস্থিতির শিকার এই মঙ্গল কুঞ্জম।

রিল ও রিয়েল লাইফের ‘নিউটন’। রাজকুমার রাও ও মঙ্গল কুঞ্জম।

রিল ও রিয়েল লাইফের ‘নিউটন’। রাজকুমার রাও ও মঙ্গল কুঞ্জম।

সংবাদ সংস্থা
রাইপুর (ছত্তীসগঢ়) শেষ আপডেট: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ১১:৪২
Share: Save:

সদ্য মুক্তি পেয়েছে রাজকুমার রাও-এর ‘নিউটন’। প্রথম দিনই দর্শকদের মন জয় করে নিয়েছে এই ছবি। সরকারি ভাবে ভারত থেকে অস্কারের দৌড়েও নাম তুলে ফেলেছে পরিচালক অমিত মাসুরকরের এই অন্য ধারার ছবি। তবে এখনও পর্যন্ত যারা এই ছবিটি দেখে ফেলেছেন, তাঁদের মধ্যে সবচেয়ে খুশি মঙ্গল কুঞ্জম নামে এক ২৬ বছর বয়সী তরুণ সাংবাদিক।

আরও পড়ুন, ইরানি ছবি থেকে টুকে তৈরি হয়েছে ‘নিউটন’?

আরও পড়ুন, মুভি রিভিউ: নিউটন, এই ছবি শেষ হয়, ফুরিয়ে যায় না

কেন জানেন তো?

আসলে এই ছবিটির বিষয়বস্তু দর্শকদের এক রূঢ় বাস্তবতার সামনে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। দেশের সব মানুষের নিজের মতো করে ‘গণতান্ত্রিক’ হওয়ার অধিকার রয়েছে কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।

ছবির চিত্রনাট্যে দেখানো ছত্তীসগঢ়েই এমন বাস্তব পরিস্থিতির শিকার এই মঙ্গল কুঞ্জম।

‘নিউটন’ ছবির সেটে শুটিং টিমের সঙ্গে মঙ্গল কুঞ্জম (বাঁদিক)। ছবি: পরিচালক অমিত মাসুরকরের টুইটার পেজের সৌজন্যে।

মাওবাদী অধ্যুষিত ছত্তীসগঢ়ের বস্তার এলাকার সাংবাদিক মঙ্গল কুঞ্জম। নির্ভীক এবং সৎ হিসাবে তাঁর খ্যাতি রয়েছে। ছবির গল্পে যেমন ‘নিউটন’কে এক জন সৎ প্রিসাইডিং অফিসার হিসেবে দেখানো হয়েছে, মঙ্গল কুঞ্জমও ঠিক তেমনই। পেশা ভিন্ন হলেও, চরিত্রে যেন রিয়্যাল লাইফের ‘নিউটন’।

মাওবাদী এলাকার সাধারণ মানুষের পরিস্থিতি, ভোট প্রক্রিয়া, মাওবাদী শাসন, পুলিশ-প্রশাসন— সবটাই তাঁর নিজের চোখে দেখা। উপলব্ধি করা। রোজ এগুলোর মধ্যেই বেঁচে থাকেন তিনি। ছবিতেও এক জন টিভি সাংবাদিকের চরিত্রে অভিনয় করেছেন কুঞ্জম।

বস্তারে ছবির রিসার্চও চলেছে মঙ্গল কুঞ্জমের তত্ত্বাবধানেই। পরিচালকের পরিচিত অপর এক সাংবাদিক জাভেদ ইকবালের মাধ্যমেই মঙ্গল কুঞ্জমের খোঁজ পেয়েছিল ‘নিউটন’ টিম।

মাওবাদী এলাকার খুঁটিনাটি জানা বলেই হয়তো ছবিতে এলাকার আইজিকে অমন কড়া কড়া প্রশ্ন করার ক্ষমতা দেখিয়েছেন কুঞ্জম। পরিচালকও তাঁর সঠিক ব্যবহার করেছেন ছবিতে।

মঙ্গলের কাছেই এলাকার পরিস্থিতি বুঝে বালোরের দাল্লি রাজাহারা এলাকায় দিনের পর দিন শুটিং করেছে ‘নিউটন’ টিম।

ছত্তীসগঢ়ে ‘নিউটন’-এর শুটিংয়ের একটি দৃশ্যে স্থানীয় বাসিন্দাদের মাঝে রাজকুমার রাও। ছবি: রাজকুমারের ইনস্টাগ্রাম পেজের সৌজন্যে।

হিন্দুস্তান টাইমসের খবর অনুযায়ী, মঙ্গল কুঞ্জম বলেছেন, ‘‘রাজকুমারের চরিত্রের মতোই অবস্থা বস্তারের যে কোনও সত্ মানুষের। সততার সঙ্গে কাজ করায় পুলিশ আমাকেও মাওবাদী মনে করে। অন্য দিকে মাওবাদীদের কাছ থেকেও একাধিক বার হুমকি শুনতে হয়েছে।’’

মঙ্গল কুঞ্জমরা যদি না থাকতেন, তা হলে হয়তো ‘নিউটন’-এর মতো ছবিই তৈরি হত না।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE