Advertisement
২৩ এপ্রিল ২০২৪

আপ্যায়নে মুগ্ধ, আবার কাশ্মীরে পা বলিউডের

মেঘনা গুলজার তাঁর পরের ছবির শ্যুটিং করবেন কাশ্মীরেই। একাত্তরের ভারত-পাক যুদ্ধের কাহিনি নিয়ে এ ছবি ‘রাজি’-র মূল ভূমিকায় রয়েছেন আলিয়া ভট্ট। অগস্টের শেষ দিকেই শ্যুটিং শুরু হওয়ার কথা। ইতিমধ্যেই একাধিক জায়গা ‘রেকি’ করে এসেছেন মেঘনা-সহ ছবির কলাকুশলীরা।

বাছাইপর্ব: কাশ্মীরে ছবির লোকশন দেখতে গিয়েছেন মেঘনা গুলজার। —নিজস্ব চিত্র।

বাছাইপর্ব: কাশ্মীরে ছবির লোকশন দেখতে গিয়েছেন মেঘনা গুলজার। —নিজস্ব চিত্র।

সুজিষ্ণু মাহাতো
কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ অগস্ট ২০১৭ ০৩:৩৯
Share: Save:

সীমান্তে সন্ত্রাস আছে। উপত্যকায় পাথর ছোড়া বিক্ষোভও আছে। তার মধ্যেই শ্যুটিংয়ের জন্য সাড়ে তিন বছর পর ফের কাশ্মীরমুখো বলিউড।

মেঘনা গুলজার তাঁর পরের ছবির শ্যুটিং করবেন কাশ্মীরেই। একাত্তরের ভারত-পাক যুদ্ধের কাহিনি নিয়ে এ ছবি ‘রাজি’-র মূল ভূমিকায় রয়েছেন আলিয়া ভট্ট। অগস্টের শেষ দিকেই শ্যুটিং শুরু হওয়ার কথা। ইতিমধ্যেই একাধিক জায়গা ‘রেকি’ করে এসেছেন মেঘনা-সহ ছবির কলাকুশলীরা। উপত্যকায় শ্যুটিং নিয়ে রীতিমতো উত্তেজিত তিনি। বললেন, ‘‘কাশ্মীর বলতেই বাবা-মায়ের (গুলজার ও রাখি) সঙ্গে শ্যুটিং দেখতে যাওয়ার কথা মনে পড়ে। ৩৫ বছর বাদে নিজে সেখানে শ্যুটিং করব, ভাবলেই রোমাঞ্চ হচ্ছে।’’ তবে ঠিক কোথায় কোথায় লোকেশন বেছেছেন, তা এখনই জানাতে চান না মেঘনা।

আরও পড়ুন: রিয়ার বিয়ের পরই এনগেজমেন্ট সেরে ফেললেন প্রাক্তন বয়ফ্রেন্ড অস্মিত!

বিশাল ভরদ্বাজের ‘হায়দর’-এর পরে তেমন কোনও বড় ব্যানারের ছবির শ্যুটিং হয়নি কাশ্মীরে। ২০১৩-র নভেম্বরে সেই ছবির শ্যুটিং এক বার থমকে গিয়েছিল কাশ্মীর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র বিক্ষোভের জেরে। লাল চকেও একবার শ্যুটিং বন্ধ হয়ে যায় বিক্ষোভে। তবে তার আগের বছর যশ চোপড়ার ‘জব তক হ্যায় হ্যায় জান’-এর শ্যুটিং মিটেছিল নির্বিঘ্নেই।

কিন্তু ২০১৬-র জুলাইয়ে জঙ্গি কম্যান্ডার বুরহান ওয়ানির মৃত্যুর পর থেকেই আবার নিয়মিত অশান্তি শুরু হয়েছে উপত্যকায়। এক দিকে পাথর ছোড়া, গুলিগোলা, কার্ফু আর অন্য দিকে নিয়ন্ত্রণরেখায় সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘন এবং জঙ্গি সন্ত্রাস।

এমন পরিস্থিতিতে কাশ্মীরে শ্যুটিং কেন? মেঘনা বলছেন, ‘‘যে কোনও পরিচালক রাজনৈতিক, সামাজিক অবস্থার থেকেও তাঁর চিত্রনাট্যকে বেশি গুরুত্ব দেন। চিত্রনাট্যের প্রয়োজনেই কাশ্মীরে যাওয়া।’’ অনেকেই বলেছিলেন হিমাচল বা উত্তরাখণ্ডে শ্যুটিং করে নিতে। কিন্তু মেঘনার মতে, কাশ্মীরের ভূপ্রকৃতি, সংস্কৃতি, ঘরবাড়ির নির্মাণশৈলী একেবারেই আলাদা। তাই অন্য এলাকায় শ্যুটিং করে কাশ্মীরকে ধরা সম্ভব নয়।

কাশ্মীরের স্থানীয় শ্যুটিং সহযোগী, পর্যটন ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন সাধারণত যে সব জায়গায় শ্যুটিং হয়, সেই পহেলগাঁম, সোনমার্গ, গুলমার্গ মূলত শান্ত। তাই সেখানে সমস্যা হওয়ার কথা নয়। আশাবাদী ছবির শিল্পনির্দেশক সুব্রত চক্রবর্তী ও অমিত রায়ও। ‘হায়দর’-এও তাঁরাই কাজ করেছিলেন।
‘রাজি’-র শ্যুটিং শুরুর আগে তাঁদের বক্তব্য, ‘‘সাধারণ মানুষের উষ্ণতা, আপ্যায়নে কিন্তু কোনও বদল নেই।’’ মেঘনাও বললেন, ‘‘কাগজ পড়ে যেমন ধারণা হয়, তার সঙ্গে নিজেদের অভিজ্ঞতার মিল পাইনি। কাশ্মীরের মানুষ আমাদের খুবই সাহায্য করেছেন।’’

(সহ-প্রতিবেদন: সাবির ইবন ইউসুফ)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE