নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকি
টলিউডের শিল্পীরা আগেই ঘুরে গিয়েছেন। এ বার বলিউডও পা রাখছে রাজ্যের জেলে।
আজ, শনিবার কলকাতার প্রেসিডেন্সি কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে আসছেন ‘কহানি’-খ্যাত বলিউড তারকা নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকি। থাকবেন ‘বাবুমশাই বন্দুকবাজ’-এর নায়িকা বিদিতা বাগ এবং ছবির প্রযোজক অস্মিত কুন্দর। দুপুর ১টায় এসে জেল ঘুরে দেখা ছাড়াও বন্দিদের সঙ্গে কথা বলবেন নওয়াজ। কারাগারের অন্তরাল থেকে জীবনের মূলস্রোতে ফেরার বিষয়ে বন্দিদের উজ্জীবিত করবেন নওয়াজ।
রাজ্য কারা দফতর সূত্রের খবর, ফ্যাশন ডিজাইনার অভিষেক দত্তর আমন্ত্রণে প্রেসিডেন্সি জেলে এসে বন্দিদের সঙ্গে দেখা করা এবং সময় কাটানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নওয়াজ।
কারা দফতরের কর্তারা জানাচ্ছেন, অভিষেক দত্তের কাছ থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে গত তিন মাস ধরে একটু একটু করে পোশাক তৈরির কাজ শুরু করেছেন জনা চল্লিশ বন্দি। এঁদের কেউ যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত। কারও মামলা আদালতে বিচারাধীন। কেউ বধূ হত্যার আসামি, তো কেউ আবার ডাকাতি-রাহাজানিতে মামলায় দোষী সাব্যস্ত। ওই সব বন্দিদের তৈরি পোশাক পরে গত ২২ জুলাই নবনির্মিত মুক্তাঙ্গন ‘উত্তীর্ণ’য় র্যাম্পে হেঁটেছেন টলিউড তারকা স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়, নাইজেল আকারা, পাওলি দাম, শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়রা। তার আগে স্বস্তিকা, শিবপ্রসাদরা প্রেসিডেন্সি জেলে গিয়ে বন্দিদের ওই কাজে উজ্জীবিত করে এসেছিলেন। এ বার সেই কাজটাই করবেন নওয়াজ।
আরও পড়ুন: ফিরবে কি ব্র্যাঞ্জেলিনা, জোর জল্পনা হলিউডে
কলকাতায় ‘বাবুমশাই বন্দুকবাজ’ ছবির প্রচারে আসছেন নওয়াজেরা। ৩ অগস্ট অভিষেক দত্তের ফ্যাশন শোয়ে অংশ নিয়েছিলেন নওয়াজ। সেখানেই তিনি কলকাতায় প্রেসিডেন্সি জেলে গিয়ে বন্দিদের তৈরি পোশাক দেখতে এবং তাঁদের সঙ্গে কথা বলার বিষয়ে সম্মতি জানান।
অভিষেকের কথায়, ‘‘ফ্যাশন শোয়ের পোশাক তৈরি করছেন বন্দিরা, এটা জেনে নওয়াজ আমার কাছে নিজেই আগ্রহ প্রকাশ করেন। বলে, কলকাতায় যে দিন যাব, সে দিন জেলে এক বার ঘুরে আসব।’’ অভিষেকের বক্তব্য, ‘‘তাঁদের তৈরি পোশাক দেখতে নওয়াজেরা আসছেন শুনে বন্দিরা খুবই উজ্জীবিত।’’
অভিষেকের এই উদ্যোগ অভূতপূর্ব বলে জানাচ্ছেন টলিউডের পরিচালক শিবপ্রসাদ। জেলের বন্দিদের নিয়ে তিনিই প্রথম ‘মুক্তধারা’ ছবি তৈরি করেছিলেন। তার নায়ক নাইজেল ঘটনাচক্রে প্রেসিডেন্সি জেলেরই বন্দি ছিলেন। শিবপ্রসাদ বলেন, ‘‘জেলে এখন বিচারাধীন বন্দিদের ভিড়। বিচারের অপেক্ষায় থাকতে থাকতে কারাগারের অন্তরালে তাঁদের জীবন দুর্বিষহ হয়ে ওঠে। জীবনটা থেমে যায়। অভিষেকের উদ্যোগ তাঁদের জীবনে রঙ আনবে।’’ একই সঙ্গে তাঁর মত, ‘‘এ ধরনের উদ্যোগ কলকাতার বাইরে জেলার জেলগুলিতে নিলে আরও ভাল হয়। সেখানকার বন্দিরাও কিন্তু অনেক ভাল কাজ করছেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy