প্রতীকী ছবি।
বিধিসম্মত সতর্কীকরণ যথেষ্ট নয়। সিনেমার পর্দায় নীচের দিকে ছোট করে ‘ধূমপান ও মদ্যপান শরীরের জন্য হানিকারক’ লিখেও বিশেষ কাজ হবে না। তাই সেন্সর বোর্ডের প্রধান পহলাজ নিহালনির দাওয়াই, সুপারস্টারেরা সিনেমার পর্দায় সিগারেট বা মদ খাওয়া বন্ধ করুন। এখনও কোনও সরকারি নিষেধাজ্ঞা জারি না-হলেও কোনও ছবিতে এ ধরনের দৃশ্য থাকলে তার উপর কাঁচি চালাতে যে সেন্সর বোর্ড বিশেষ দ্বিধা করবে না, সেটা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে নিহালনির কথায়।
তিনি বলেন, ‘‘সমাজের প্রতি তো সুপারস্টারদের কিছু দায়িত্ব আছে। লক্ষ লক্ষ মানুষ তাঁদের অনুসরণ করেন। আমার মনে হয়, খুব প্রয়োজন না-থাকলে সিনেমার পর্দায় তাঁদের ধূমপান বা মদ্যপান করা উচিত নয়।’’
বোর্ড প্রধানের পদ থেকে নিহালনিকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে, গতকাল থেকেই এ নিয়ে জোর জল্পনা চলেছে। সেন্সর বোর্ডের এক সূত্রের কথায়, ‘‘ফিল্ম জগতের কোনও উপকারে লাগেননি নিহালনি। বহু পরিচালক ও প্রযোজক তাঁর উপরে খুবই অসন্তুষ্ট।’’
আরও খবর: টেস্টে হাফ সেঞ্চুরি, ফিরে দেখা অশ্বিনের সেরা ইনিংস
এ নিয়ে নিহালনিকে আজ প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘‘এ রকম সিদ্ধান্তের কথা আমি শুনিনি। ২০১৫-র জানুয়ারিতে যখন আমায় এই দায়িত্ব দেওয়া হয়, খুবই বিস্মিত হয়েছিলাম। এত দিন সাধ্যমতো কাজ করে এসেছি। যদি আমায় চলে যেতে বলা হয়, উত্তরসূরিকে শুভেচ্ছা জানিয়ে তখনই সরে যাব।
‘লিপস্টিক আন্ডার মাই বুরখা’কে ‘মেয়েলি ছবি’ তকমা দেওয়া থেকে শুরু করে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের উপর তথ্যচিত্রে ব্যবহৃত ‘গুজরাত’, ‘হিন্দু’, ‘হিন্দুত্ব’ ও ‘গরু’ শব্দগুলি ‘মিউট’ করার নির্দেশ (যা না-মানার জন্য ছবিটি দেশে মুক্তিই পেল না)— সেন্সর বোর্ড কর্তার বিতর্কিত সিদ্ধান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। যাতে সম্প্রতি যোগ হয়েছে এই ধূমপান-মদ্যপান প্রসঙ্গ। ‘দেবদাস’-এর মতো ছবিতেও কি তা হলে মদ্যপানের দৃশ্য থাকবে না? কলকাতার এক পরিচালক তো বলেই ফেললেন, ‘‘এ বার সিনেমায় শুধু একটা জিনিসই পান করা দেখানো যাবে— গোমূত্র!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy