‘ইন্টারকোর্স’ নিয়ে এ বার ভোটের ডাক দিলেন পহলাজ নিহালনি! ভোট নাকি দেবেন সাধারণ মানুষ! শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি।
বিষয়টা ঠিক কী?
আরও পড়ুন, ফাদার্স ডে-তে কেন শ্রদ্ধার বাবাকে উইশ করলেন ফারহান?
দিন দুয়েক আগে ইমতিয়াজ আলি পরিচালিত শাহরুখ খান-অনুষ্কা শর্মার পরবর্তী ছবি ‘জব হ্যারি মেট সেজল’-এ কাঁচি চালিয়েছিলেন সেন্সর বোর্ডের প্রধান পহলাজ নিহালনি। তাঁর আপত্তি ছিল, ছবিতে ব্যবহৃত ‘ইন্টারকোর্স’ শব্দটি নিয়ে। তা নিয়ে প্রবল বিতর্কের মুখে পড়ে নিজের অবস্থান থেকে যেন কিছুটা পিছু হটলেন সংস্কারী নিহালনি। ‘ইন্টারকোর্স’ শব্দটি ছবিতে থাকবে কি না তা নাকি ঠিক করবেন আম-জনতা! ‘ইন্টারকোর্স’ শব্দের সপক্ষে এক লক্ষ ভোট এলে তবেই ছবিতে এই শব্দটি রাখার অনুমতি দেবে সেন্সর বোর্ড!
সম্প্রতি এক টেলিভিশন সাক্ষাত্কারে নিহালনি বলেন, ‘‘এই ইস্যুতে পাবলিকের ভোট নেওয়া উচিত। আমি অন্তত ওই শব্দের সপক্ষে এক লক্ষ ভোট চাই। আমি দেখতে চাই কতটা বদলেছে ভারত। ভারতীয় পরিবার তাদের ১২ বছরের সন্তানকে ওই শব্দের অর্থ এখনই বোঝাতে চান কিনা, আমি দেখতে চাই।’’
আসলে, ‘জব হ্যারি মেট সেজল’-এর দ্বিতীয় মিনি ট্রেলারে অনুষ্কার মুখে শোনা গিয়েছে ‘ইন্টারকোর্স’ শব্দটি। ‘সেজল’ শাহরুখ খানের হাতে ‘ইনডেমনিটি বন্ড’ জাতীয় কিছু দিয়ে বলছেন, ‘দু’ জনের সহমতে যদি ইন্টারকোর্স হয় তা হলে কোনও আইনগত জটিলতা হবে না।’ আর ‘সেজল’-এর মুখে এ কথা শুনেই চটেছেন নিহালনি। তাঁর কথায়, ‘‘ওই শব্দটি বাদ দিলে ছবিটি ইউ/এ সার্টিফিকেট পাবে। কিন্তু ওরা আনকাট ট্রেলারটি ইউটিউবে আপলোড করেছে। ইন্টারনেটের কনটেন্ট তোলাতে সেন্সর বোর্ড আপত্তি জানাতে পারে না। কিন্তু ফিল্ম অথবা টেলিভিশনে ওই ফুটেজ আমরা দেখাতে দেব না।’’
সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী ৪ অগস্ট ছবিটির মুক্তি পাওয়ার কথা। কিন্তু সেন্সর বোর্ডের আপত্তি পেরিয়ে ছবির মুক্তি কতটা সহজ হবে, সেটাই এখন দেখার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy