Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
Paoli Dam interview

‘বুম্বাদার সঙ্গে কাজের এক্সপিরিয়েন্স…’

দিনরাত নেশায় বুঁদ মেয়েটা। হাজব্যান্ডের জীবনে অন্য নারী রয়েছে। ভালবাসার মানুষটা জড়িয়ে অনেক বেআইনি কারবারেও। কিন্তু তবুও মেয়েটা স্বপ্ন দেখে নিজের দুনিয়ায়। আগামী ৭ অক্টোবর রিলিজ। তার আগে ‘জুলফিকর’-এর করিশ্মার গল্প বললেন পাওলি দাম।

স্বরলিপি ভট্টাচার্য
শেষ আপডেট: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১১:৩৫
Share: Save:

দিনরাত নেশায় বুঁদ মেয়েটা। হাজব্যান্ডের জীবনে অন্য নারী রয়েছে। ভালবাসার মানুষটা জড়িয়ে অনেক বেআইনি কারবারেও। কিন্তু তবুও মেয়েটা স্বপ্ন দেখে নিজের দুনিয়ায়। আগামী ৭ অক্টোবর রিলিজ। তার আগে ‘জুলফিকর’-এর করিশ্মার গল্প বললেন পাওলি দাম।

মেল ডমিনেটিং একটা ছবিতে রাজি হলেন, সমস্যা হবে না?

হুম। অনেকে বলছেন বটে, জুলফিকার মেল ডমিনেটিং। কিন্তু আমার চরিত্র মানে করিশ্মা খুব ইউনিক। গোটা ছবিতে করিশ্মার রেশটা কোথাও থেকে যাবে। আর চরিত্রটা কেমন সেটাই আমার একমাত্র কনসার্ন।

এতটা ডিগ্ল্যামারাইজড চরিত্র নিয়ে টেনশন ছিল?

ডিগ্ল্যামারাইজড চরিত্র আমি আগেও করেছি। কিন্তু মুসলিম চরিত্র এই প্রথম। তবে ‘অরণি তখন’- মানে যে ছবিতে প্রতীক বব্বর ডেবিউ করেছে সেখানেও মুসলিম চরিত্র। কিন্তু ওটা এখনও রিলিজ হয়নি। করিশ্মার আসলে নিজস্ব একটা দুনিয়া রয়েছে। সেখানে ও নিজের মতো করে অনেক কিছু ক্রিয়েট করে রাখে। খুব আনইউজুয়াল। ও কিন্তু জানে জুলফিকারের জীবনে অন্য মেয়েও আছে।

প্রিপারেশন কেমন ছিল?

আলাদা কোনও প্রিপারেশন ছিল না। কিছুটা রিসার্চ করতে হয়েছিল। অদ্ভুত ভাবে একই সময় ‘দেবী’ শুট করছিলাম। সেখানেও যে চরিত্র তারও কোকের নেশা। দুটো কোথাও মিলে গিয়েছিল।

‘দেবী’-র সাবজেক্ট নিয়ে নাকি অনেক এক্সপেরিমেন্ট করেছেন?

বলতে পারেন। এই সাবজেক্টটা নিয়ে টলিউড তো বটেই, ভারতেও কোনও কাজ হয়নি বোধহয়। দেবদাস যদি দেবী হত আজকের দিনে তা হলে কেমন হত, এটা নিয়ে ভেবেছেন পরিচালক ঋক বসু।

রিলিজের পর তা হলে ইন্ডাস্ট্রিতে বিপ্লব হবে তো?

(টাচউড) দর্শক দেখুক আগে। তার পর আমি যা বলার বলব।

‘জুলফিকর’-এর ট্রেলরে কিন্তু ‌আপনাকে এক্সপার্ট নেশাড়ু মনে হচ্ছে।

(হা হা হা) ওয়েল আই টেক ইট অ্যাজ আ কমপ্লিমেন্ট।

‘জুলফিকর’-এ পাওলি।

ডিপ্রেশন থেকেই কি নেশায় জড়ায় করিশ্মা?

আসলে বেআইনি অনেক কিছুর সঙ্গে জড়িয়ে ওর পরিবার, ওর স্বামীও জড়িত। আরও অনেক কিছু আছে। ছবিটা দেখুন না।

সৃজিত নাকি খুব স্ট্রিক্ট ডিরেক্টর?

জুলফিকরের আগে আমিও তাই শুনেছিলাম জানেন। কিন্তু আমার এক্সপিরিয়েন্সটা অনেকটাই আলাদা। প্রথম শটটা ‘ওকে নেক্সট’, বলার পরও বুঝতে পারছিলাম না ঠিক হল কিনা। সৃজিত জাস্ট এমনিই বলেছিল, করে দিবি এটা? রাজকাহিনি একসঙ্গে করার কথা হয়েছিল আমাদের, হয়ে ওঠেনি। কাকাবাবুও পিছিয়ে গেল। তাই আমি ভাবলাম এ বার খাতাটা খোলা দরকার। একটা ছবির ভাবনা থেকে রিলিজ পর্যন্ত সৃজিত ছবিটাকে নিজের বাচ্চার মতো আগলে রাখে।

‘জুলফিকর’-এ এত স্টারকাস্ট, সেটাতেই ঘেঁটে যেতে পারে বলে মনে হয়?

না! একেবারেই ঘাঁটবে না। এখানে ঠিক যাঁদের যাঁদের দরকার ছিল তাঁরা তাঁরা রয়েছেন। প্রত্যেকের গেটআপ নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করা হয়েছে, সৃজিতের কাস্টিং স্টাইলটা খুব ইউনিক। যে অভিনেতাকে যেখানে দরকার সেখানে তাঁকেই কাস্ট করেছে। আর এটাই ছবিটার ইউএসপি।

অর্জুন (পাওলির বয়ফ্রেন্ড) ট্রেলর দেখেছেন?

হ্যাঁ, ও দেখেছে। গানগুলো দারুণ পছন্দ হয়েছে। দেবের বডি ল্যাঙ্গুয়েজ ভাল লেগেছে। যিশুকে ওর খুব ভাল লেগেছে।

আর আপনাকে?

(হাসি)।

প্রিমিয়ারে অর্জুন থাকবেন?

থাকার তো কথা। দেখা যাক।

‘মনের মানুষ’, ‘ক্ষত’, ‘জুলফিকর’— কমন ফ্যাক্টর পাওলি-প্রসেনজিত্। কেমিস্ট্রিটা তৈরি হল কীভাবে?

জানি না। তবে বুম্বাদার সঙ্গে কাজের এক্সপিরিয়েন্স সবসময়ই দারুণ। অনেক কিছু শিখেছি। যেমন ধরুন, ডিসিপ্লিন। এতদিন ধরে ইন্ডাস্ট্রিতে রয়েছে। এটা তো কেউ এক রাতের মধ্যে হয়ে যেতে পারে না। তারপর ক্রমাগত নিজের লুক নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করা। সেটাও খুব দেখার মতো।

আর অফস্ক্রিন কেমিস্ট্রি?

(হাসি) কাজের বাইরে কখনও বসাও হয়নি, গল্প করাও হয়নি। ইনফ্যাক্ট কারও সঙ্গেই হয় না।

‘মহানায়ক’-এও তো আপনারা কাজ করলেন।

অসাধারণ এক্সপিরিয়েন্স। ওটা আমার লাইফটাইম চরিত্র। সুচরিতা খুব কমপ্লিকেটেড ক্যারেক্টার। একদিকে স্টার অন্যদিকে বাড়ির বৌ। প্রজেক্টটাতে বাংলার স্বর্ণযুগকে তুলে আনার চেষ্টা করেছি আমাদের মতো করে।

কোনও রেফারেন্স ছিল?

না। একবারেই না।

কিন্তু এই কাজটা নিয়ে তো প্রচুর সমালোচনাও হচ্ছে। আপনি শোনেননি?

শুনেছি। কিন্তু বারবার বলছি এটা ফিকশন। গল্প লিখতে গেলে, সিনেমাটিক্যালি ট্রিট করতে গেলে যেটুকু প্রয়োজন সেই চেঞ্জটা কাহিনিকাররা করেছেন। সেই ব্যাপারটা বেস্ট বলতে পারবেন পরিচালক। আমি আমার কাজটুকু করেছি। এরপরও কোনও মিল যদি দর্শক খুঁজতে চান সেটা তাঁদের ব্যাপার। তবে এখানে আমারও একটা কথা বলার আছে।

প্লিজ…

সাবু আন্টি (সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়) আমার প্রচণ্ড প্রশংসা করেছেন। সৌমিত্র আঙ্কেলও করেছেন। এটা আমার কাছে বিশাল পাওনা। এদের কাজ দেখে ছোট থেকে বড় হয়েছি। আমাদের জন্মের আগে থেকে এরা স্টার ছিলেন। আমি এতেই খুশি।

আরও পড়ুন

‘ডিসটিংশন পাওয়ার মতো পরীক্ষা দিয়েছি গ্যাংস্টার-এ’

ঘামের সঙ্গে খিচুড়ির কিন্তু একটা ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক আছে

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE