পণ্ডিত বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত।—ফাইল চিত্র।
চলে গেলেন বিশিষ্ট সরোদবাদক পণ্ডিত বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত। বেশ কিছুদিন ধরেই শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি।সোমবার সকাল সাড়ে ছ’টা নাগাদ কালীঘাটের প্রতাপাদিত্য প্লেসের বাড়িতেই মারা গিয়েছেন শিল্পী।
মৃত্যুকালে বুদ্ধদেববাবুর বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর। এ দিন পিস হাভেনে রাখা হয়েছে তাঁর দেহ। পরশু বুধবার তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।
১৯৩৩ সালের পয়লা ফেব্রুযারি বিহারের ভাগলপুরে জন্মগ্রহণ করেন বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত। ছোটবেলা থেকেই সঙ্গীতের প্রতি তাঁর আগ্রহ ছিল। অনেক ছোট থেকেই সরোদ বাজানো শুরু করেন তিনি। সঙ্গীতাচার্য রাধিকামোহন মৈত্রের কাছে সরোদ বাজানো শিখেছিলেন তিনি। অল ইন্ডিয়া রেডিওতে প্রায় ১৭টি জাতীয় স্তরের অনুষ্ঠান করেছেন।
একটি অনুষ্ঠানে সরোদ পরিবেশন করছেন বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত। —ফাইল চিত্র।
বিশিষ্ট সরোদবাদকের প্রয়াণে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শোক প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘বিশিষ্ট সরোদবাদক পণ্ডিত বুদ্ধদেব দাশগুপ্তের প্রয়াণে আমি গভীর শোক প্রকাশ করছি। আজ তিনি প্রয়াত হয়েছেন। বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর। সংগীতাচার্য রাধিকামোহন মৈত্রের কাছে শৈশবে তাঁর বাদ্যযন্ত্র শিক্ষা শুরু। তাঁর মৃত্যুতে শাস্ত্রীয় সংগীতজগতে অপূরণীয় ক্ষতি হল।’’
আরও পড়ুন: ‘মাথার উপর থেকে ছাতাগুলো সব সরে যাচ্ছে’
আরও পড়ুন: লালবাহাদুর শাস্ত্রীর মৃত্যু রহস্যের সমাধান করবেন নাসির-মিঠুন?
মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেছেন, ‘‘২০১৫ সালে রাজ্য সরকার তাঁকে সংগীত মহাসম্মান ও বঙ্গবিভূষণ সম্মানে ভূষিত করে। আমি প্রয়াত বুদ্ধদেব দাশগুপ্তের আত্মার শান্তি কামনা করছি ও তাঁর পরিজনদেরআন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি।’’
বিশিষ্ট সরোদবাদককে হারিয়ে শোকস্তব্ধ তাঁর সহকর্মী ও ভক্তরা। বিশিষ্ট তবলাবাদক মল্লার ঘোষ বলেন, ‘‘দেশ-বিদেশের প্রায় ২০-২৫টি অনুষ্ঠানেতাঁর সঙ্গে তবলায় সঙ্গত করেছি। সরোদশিল্পী হওয়া সত্ত্বেও তবলাটা ভাল বুঝতেন বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত। তাই প্রতিটি স্টেজের অনুষ্ঠানই শিক্ষণীয় হয়ে উঠত।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy