Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪
Entertainment News

জন্মদিনে আরডি-র কিছু গল্প, আপনি জানেন তো?

১৯৬১। মুক্তি পেয়েছিল ‘ছোটে নবাব’। সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে রাহুল দেব বর্মণের প্রথম মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি। কিন্তু গানে সুর দেওয়ার শুরু আরও আগে। মাত্র ন’বছর বয়সে ‘ফ্যান্টোস’ ছবির একটি গানে প্রথম সুর দেন রাহুল। সে ছবি মুক্তি পায় ১৯৫৬ সালে। তবে প্রথম সাফল্য আসে ১৯৬৬-এ মুক্তি পাওয়া ‘তিসরি মঞ্জিল’ ছবিতে।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ২৭ জুন ২০১৭ ১২:১৪
Share: Save:

আজ তিনি বার্থ-ডে বয়। প্রতিটি দিনই কোনও না কোনও ভাবে তাঁকে মনে পড়ে। কখনও নস্টালজিয়ায়, কখনও রিমিক্স গানে, কখনও বা ফেলে আসা গল্পে। তবুও জন্মদিনটা তো স্পেশাল। আজ তাঁর ৭৮তম জন্মদিন। তিনি রাহুল দেব বর্মণ। তাই জন্মদিনে ফিরে দেখা আরডি-র কিছু গল্প, যা হয়তো আপনি নাও জানতে পারেন।

ন’বছরে গানে খড়ি

১৯৬১। মুক্তি পেয়েছিল ‘ছোটে নবাব’। সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে রাহুল দেব বর্মণের প্রথম মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি। কিন্তু গানে সুর দেওয়ার শুরু আরও আগে। মাত্র ন’বছর বয়সে ‘ফ্যান্টোস’ ছবির একটি গানে প্রথম সুর দেন রাহুল। সে ছবি মুক্তি পায় ১৯৫৬ সালে। তবে প্রথম সাফল্য আসে ১৯৬৬-এ মুক্তি পাওয়া ‘তিসরি মঞ্জিল’ ছবিতে।

সম্পর্কের রাহুল

আশা ভোঁসলেকে রাহুল দেব বর্মণের স্ত্রী হিসেবে সকলেই চেনেন। কিন্তু আশা ছিলেন আরডি-র দ্বিতীয় স্ত্রী। ১৯৬৬ সালে রীতা পটেলকে বিয়ে করেন রাহুল। কিন্তু সে সম্পর্ক দীর্ঘ হয়নি। ১৯৭১-এ তাঁদের বিচ্ছেদ হয়ে যায়। এরপরই তিনি ‘মুসাফির হো ইঁয়ারো’ গানে সুর দেন। তবে সম্পর্কে ফিরতে সময় লেগেছিল আরও ন’বছর। ১৯৮০-তে আশাকে বিয়ে করেন তিনি।

আরও পড়ুন, আরডি ‘এক্স’

দম্পতি।— ফাইল চিত্র।

আশার সঙ্গে ঝগড়া

প্রত্যেক সম্পর্কেই মান-অভিমান থাকে। আশা-রাহুলও তার ব্যতিক্রম নন। রাহুলের মৃত্যুর অনেক বছর পর এক সাক্ষাত্কারে আশা শেয়ার করেছিলেন তাঁদের ঝগড়ার টপিক। শুনলে অবাক হবেন, গান নিয়েই মান-অভিমান হত তাঁদের। আশার মনে হত, সব রোম্যান্টিক গান রাহুল লতা মঙ্গেশকরকে দিয়ে গাওয়াতেন। আর আশার জন্য থাকত সব হাই পিচের গান।

আরও পড়ুন, ‘মিস্টার ইন্ডিয়া ২’ তৈরির ইঙ্গিত দিলেন শ্রীদেবী?

স্বপ্নেও মিউজিক

ঘুমে-জাগরণে সব সময়ই মিউজিক নিয়ে চিন্তা করতেন আরডি। একবার নাকি রেকর্ডিং স্টুডিওর লবিতে দাঁড়িয়ে সাংবাদিক চৈতন্য পাড়ুকোনকে সাক্ষাত্কার দিচ্ছিলেন। চৈতন্য পরে জানিয়েছিলেন, সে দিন মাঝপথে উঠে যান রাহুল। মিউজিক অ্যারেঞ্জার বাবলু চক্রবর্তীকে বলে আসেন, ‘এখানে ওই মিউজিকটা রাখো, আর এখানে সাইলেন্স’। ফিরে এসে অর্ধসমাপ্ত বাক্যটা নাকি শেষ করেছিলেন রাহুল। একবার রাহুল নিজেই বলেছিলেন, ‘হরে রাম হরে কৃষ্ণ’ ছবি ‘কাঞ্চা রে কাঞ্চা রে…’ গানটি নাকি তিনি পুরোটাই স্বপ্নে তৈরি করেছিলেন।

রিহার্সালে বাবা শচীন দেব বর্মণ ও লতা মঙ্গেশকরের সঙ্গে রাহুল।— ফাইল চিত্র।

টিম মেম্বার রাহুল

একই পরিচালক, একই মিউজিশিয়ানদের নিয়ে কাজ করতে পছন্দ করতেন রাহুল দেব বর্মণ। সে কারণেই তাঁর নিজস্ব টিম ছিল। প্রায় ৪৬ জন সদস্যের সেই দলে ছিলেন দিকপাল বাজনদাররা।

কম্পোজিশনের রেকর্ড

কম্পোজিশনের এক অসাধারণ রেকর্ড রয়েছে রাহুলের। ১৯৭২। ওই বছরে মোট ১৯টি ছবিতে সুরারোপের কাজ করেছিলেন তিনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE