Advertisement
১৬ এপ্রিল ২০২৪

ঘরে এলেন কফিনবন্দি চাঁদনি, অন্ত্যেষ্টি আজ

সব শেষ করে এ দিন ভারতীয় সময় সন্ধে ৭টায় অনিল অম্বানীর বিমানে দুবাই থেকে রওনা হন বনি কপূরেরা। সাড়ে ৯টার পরেই মুম্বই পৌঁছন তাঁরা।

বিমানবন্দর থেকে মুম্বইয়ে অভিনেত্রীর বাড়ির পথে। মঙ্গলবার। পিটিআই

বিমানবন্দর থেকে মুম্বইয়ে অভিনেত্রীর বাড়ির পথে। মঙ্গলবার। পিটিআই

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০৩:৩০
Share: Save:

অবশেষে ফেরা। তিন দিনের দমবন্ধ টানাপড়েন, সহস্র জল্পনার শেষ। দুবাই থেকে কফিনবন্দি হয়ে মঙ্গলবার রাতে মুম্বইয়ের মাটি ছুঁলেন শ্রীদেবী।

সোমবারই দুবাই পুলিশ শ্রীর ময়নাতদন্ত আর ফরেন্সিক রিপোর্ট তুলে দিয়েছিল সরকারি আইনজীবীর হাতে। আজ তাঁরই সবুজ সঙ্কেতের অপেক্ষা ছিল। আর বাকি ছিল শ্রীর দেহ ‘এমবাম’ করার কাজ। সব শেষ করে এ দিন ভারতীয় সময় সন্ধে ৭টায় অনিল অম্বানীর বিমানে দুবাই থেকে রওনা হন বনি কপূরেরা। সাড়ে ৯টার পরেই মুম্বই পৌঁছন তাঁরা।

বিমানবন্দরে এসেছিলেন শ্রীর দুই মেয়ে, অনিল কপূর, অনিল ও টিনা অম্বানীরা। প্রসঙ্গত টিনা-অনিল এখন কপূরদের আত্মীয়। যে বিয়ে উপলক্ষে দুবাই এসেছিলেন শ্রী, সেখানে তাঁর ননদের ছেলে মোহিত মারোয়া বিয়ে করেন অনিতা মোতিওয়ালাকে। অনিতা অনিলের স্ত্রী টিনার দিদির মেয়ে। বিমানবন্দরের ৮ নম্বর গেট থেকে এ দিন কপূরদের আন্ধেরির বাসভবন পর্যন্ত রাস্তা গ্রিন করিডর করে দেওয়া হয়। বাড়ির দরজায় তবু ভিড় জমিয়েছিলেন প্রায় দু’হাজার মানুষ। তাঁদের সামলাতে এক সময় পুলিশ লাঠিও চালায়।

আরও পড়ুন: 'খাঁচায় বন্দি এক পাখি শ্রীদেবী'

শ্রীর পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, বুধবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত লোখান্ডওয়ালার সেলিব্রেশন স্পোর্টস ক্লাবে নায়িকাকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে পারবেন ভক্তরা। দুপুর ২টোয় ভিলে পার্লের শ্মশানের উদ্দেশে যাত্রা। সাড়ে ৩টেয় অন্ত্যেষ্টি।

শ্রীদেবীর দেহ নিয়ে দুবাই বিমানবন্দরের পথে অ্যাম্বুল্যান্স। পিটিআই

শ্রীর দেহ আজ ফেরানো যাবে কি না, সেটা অবশ্য সকালেও বোঝা যাচ্ছিল না। শেষ পর্যন্ত স্থানীয় সময় দুপুর ১টার সামান্য আগেই বনি-সঞ্জয়রা শ্রীর দেহ হাতে পাওয়ার ছাড়পত্র পান। শ্রীর পরিবার এবং বলিউড এই মুহূর্তটুকুর জন্যেই হাপিত্যেশ করে ছিল। কারণ দেহ ফেরানোর প্রক্রিয়া যে এত জটিল এবং লম্বা হবে, তা গোড়ায় বোঝা যায়নি। তবে ওয়াকিবহাল মহলের মতে, দুবাইয়ে হাসপাতালের বাইরে যে কোনও মৃত্যুতেই লম্বা তদন্ত চলে, তা সে যত স্বাভাবিক মৃত্যুই হোক।

কিন্তু গত তিন দিন ধরে এই তদন্ত নিয়ে সংবাদমাধ্যমে কম চর্চা হয়নি। হৃদরোগের তত্ত্ব খারিজ করে তদন্ত রিপোর্টে বাথটবে ডুবে মৃত্যুর কথা উঠে আসতেই শুরু হয় জল্পনা। এ দিন ‘কেস ক্লোজড’ ঘোষণা করে দুবাই প্রশাসন জানিয়ে দিল, কোনও রহস্য নেই। নিছক দুর্ঘটনাবশতই শ্রী বাথটবে পড়ে প্রাণ হারিয়েছেন।

দুবাইয়ের সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে, তদন্ত শেষের কাগজ হাতে পাওয়ার আধ ঘণ্টার মধ্যে ভারতীয় দূতাবাস কর্তারা এবং বনির ভাইপো সৌরভ কপূর মর্গে পৌঁছে যান। ৩টে নাগাদ শ্রীর দেহ চলে যায় মুহাইসনা-র এমবামিং ইউনিটে। ৪টেয় সবাই বিমানবন্দরে পৌঁছন।

বিমানে বনির পাশেই ছিলেন তাঁর প্রথম পক্ষের সন্তান অর্জুন কপূর। বাবার পাশে থাকার জন্য এ দিনই দুবাই চলে এসেছিলেন তিনি। শ্রীকে কেন্দ্র করে যে পারিবারিক দূরত্বের সূত্রপাত, শ্রীর মৃত্যু যেন সেই দূরত্বও ঘুচিয়ে দিল অনেকটা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE