Advertisement
১৬ এপ্রিল ২০২৪

ইডেনে আজ ফের গতির যুদ্ধে কলকাতা-দিল্লি

বলা হচ্ছে, এটাই দেশের সবচেয়ে দ্রুতগতিসম্পন্ন বাইশ গজ। কেউ কেউ আরও এগিয়ে বলে ফেলছেন, ভারতের ‘পার্‌থ’। যেখানে এ দেশের চিরাচরিত রীতি মেনে মন্থর গতি আর ঘূর্ণিপাক অপেক্ষা করে থাকছে না।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৮ এপ্রিল ২০১৭ ০৪:০৬
Share: Save:

বলা হচ্ছে, এটাই দেশের সবচেয়ে দ্রুতগতিসম্পন্ন বাইশ গজ। কেউ কেউ আরও এগিয়ে বলে ফেলছেন, ভারতের ‘পার্‌থ’।

যেখানে এ দেশের চিরাচরিত রীতি মেনে মন্থর গতি আর ঘূর্ণিপাক অপেক্ষা করে থাকছে না। তার বদলে এক্সপ্রেস গতি আর বাউন্সে পেস-ব্যাটারি স্বাগত জানাচ্ছে ব্যাটসম্যানদের। শিরোনামে চলে আসা ইডেনের বাইশ গজেই আজ, শুক্রবার এমন দুই দলের ম্যাচ, যারা পেস ব্যাটারিতে এই আইপিএলের সেরা। কলকাতা নাইট রাইডার্স, যারা কি না ইডেনে আগের ম্যাচেই বিরাট কোহালিদের তারকাখচিত রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরকে ৪৯ রানে অলআউট করে দিয়েছে। আর তাদের প্রতিপক্ষ দিল্লি ডেয়ারডেভিলস।

কলকাতার দলে থাকা পেসারদের নাম নিশ্চয়ই আরসিবি ম্যাচের সৌজন্যে সকলে জেনে ফেলেছেন। নেথান কুল্টার নাইল এই মুহূর্তে কেকেআরের পেস আক্রমণের নেতৃত্বে। তাঁর গতির আগুনেই পুড়ে গিয়েছিলেন কোহালিরা। আইপিএলের সবচেয়ে দ্রতগতিসম্পন্ন পেসারদের এক জন কুল্টার নাইল। নিয়মিত ভাবে ঘণ্টায় একশো পঞ্চাশ কিলোমিটারের আশেপাশে বল করতে পারেন। নিউজিল্যান্ডের ট্রেন্ট বোল্ট আছেন। এখন প্রথম একাদশে সুযোগ পাওয়াই যাঁর পক্ষে কঠিন হয়ে গিয়েছে। বাকিরা এত ভাল বল করে দিচ্ছেন। বাকিরা বলতে ভারতের এক নম্বর পেসার উমেশ যাদব, ইংল্যান্ডের ক্রিস ওক্‌স এবং জিম্বাবোয়েতে জন্মগ্রহণ করে পরে নিউজিল্যান্ডে পাড়ি দেওয়া কলিন ডি’গ্র্যান্ডহোম।

আইপিএলে আর একটিই দল আছে, যারা এমন পেস আক্রমণকে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ফেলতে পারে। তাদের নাম? শুক্রবার নাইটদের প্রতিপক্ষ দিল্লি ডেয়ারডেভিল্স। জাহির খান, মহম্মদ শামি, প্যাট কামিন্স এবং ক্রিস মরিস। এর মধ্যে মরিস এই মুহূর্তে সর্বোচ্চ উইকেটসংগ্রাহকদের তালিকায় তিন নম্বরে রয়েছেন। ছয় ম্যাচ থেকে ১২ উইকেট।

আরও পড়ুন:ফের ভারতীয় দলে ফিরে আসার স্বপ্ন দেখছেন উথাপ্পা

রাহুল দ্রাবিড়ের ছেলেরা এই মুহূর্তে আইপিএলের প্লে-অফে কোয়ালিফাই করা নিয়ে চাপে আছে। তারা এখন টেবলের নীচের দিকে। অন্যদিকে, কেকেআর রয়েছে শীর্ষে। ফর্মের দিক থেকেও একেবারেই ‘ডেয়ারডেভিল’ মনে হচ্ছে না জাহির খানদের। তাঁরা শেষ তিনটি ম্যাচেই হেরেছেন। এর মধ্যে একটি নিজেদের মাঠে গৌতম গম্ভীরের কলকাতার কাছে। কলকাতা সেখানে শেষ দু’টি ম্যাচে জিতে ফুটছে। দু’টো ম্যাচেই বড় মাছ শিকার করেছেন গম্ভীর-রা। ঘরের মাঠে বিরাট কোহালির বেঙ্গালুরুকে হারানোর পরে পুণেতে গিয়ে ধোনিদের হারিয়ে এসেছেন।

প্লে-অফের দৌড়ে ফিরে আসতে গেলে জাহিরদের এই ম্যাচ জিততেই হবে। কেকেআর হারলেও ভাল মতোই দৌড়ে থাকবে। যদিও পুণে থেকে ভোররাতে বেরিয়ে পড়ার ধকলের মধ্যেও হাল্কা দেওয়ার কোনও লক্ষণ নাইট শিবিরে খুঁজেই পাওয়া যাবে না। দিল্লির সঙ্গে তাদের মুখোমুখি লড়াইয়ের ইতিহাসও মনোবল বাড়ানোর মতো। এখনও পর্যন্ত যে ১৯ বার দেখা হয়েছে দু’দেল, তার মধ্যে ১১ বার জিতেছে কলকাতাই। যদিও একটি ব্যাপারে চিন্তা থাকতে পারে কলকাতার। তা হচ্ছে, দিল্লির পেসারদের বিরুদ্ধে গৌতম গম্ভীর এবং রবিন উথাপ্পার খুব বেশি সাফল্য না থাকা। প্যাট কামিন্স বা ক্রিস মরিসের গতির সামনে অতীতে সমস্যায় পড়েছেন উথাপ্পা। আবার গম্ভীরের বিরুদ্ধে নজিরবিহীন সাফল্য রয়েছে জাহিরের। যদিও এ বারে নাইট ভক্তদের জন্য আশার কথা হচ্ছে, দু’জনেই দারুণ ফর্মে রয়েছেন। এ বারে চাপে জাহির এবং তাঁর বোলিং আক্রমণ। অনেক ফুরফুরে মেজাজে আছেন গম্ভীর-উথাপ্পারা।

ইডেনে গতির ফুলকি যতই ছুটুক, নাইট ব্যাটসম্যানরাও তাই তৈরি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE