Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

কুলদীপকে নিয়ে ফাটকা খেলুক গম্ভীর

খুব বেশি ক্রিকেট না খেলেও বলে দেওয়া যায়, বুধবার চিন্নাস্বামী যুদ্ধের ফয়সালাটা অনেকটাই নির্ভর করে আছে দুই অস্ট্রেলীয়র লড়াইয়ের ওপর। ক্রিস লিন বনাম ডেভিড ওয়ার্নার।

সম্বরণ বন্দ্যোপাধ্যায়
শেষ আপডেট: ১৭ মে ২০১৭ ০৫:২৫
Share: Save:

খুব বেশি ক্রিকেট না খেলেও বলে দেওয়া যায়, বুধবার চিন্নাস্বামী যুদ্ধের ফয়সালাটা অনেকটাই নির্ভর করে আছে দুই অস্ট্রেলীয়র লড়াইয়ের ওপর। ক্রিস লিন বনাম ডেভিড ওয়ার্নার। এরা একাই ম্যাচ জিতিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে। ওয়ার্নারের ধারাবাহিকতা বেশি হলে পাওয়ার হিটিংয়ের ক্ষেত্রে এগিয়ে থাকবে লিন।

কিন্তু এই ‘গেমচেঞ্জার’দের বাইরেও এমন কয়েক জন ক্রিকেটার থাকে, যাদের নিয়ে ফাটকা খেলে ম্যাচ ঘুরিয়ে দেওয়া যায়। বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামীর উইকেটের কথা মাথায় রেখে আমি বলব, কেকেআর এক জনকে নিয়ে এই ফাটকাটা খেলতেই পারে। সেই ক্রিকেটার হল কলকাতার চায়নাম্যান বোলার কুলদীপ যাদব।

চিন্নাস্বামীর উইকেটটা লাল মাটির। এখানে বাউন্স আছে। এই মরসুমে দেখছি, উইকেটে টার্নও আছে। এখানে কিন্তু কুলদীপের স্পিন কাজে লাগবে। এক জন চায়নাম্যান বোলার বাউন্স পেলে সব সময়ই ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে। যা মনে হচ্ছে, চিন্নাস্বামীতে এই বাউন্সটা পাবে কুলদীপ।

কী ভাবে কুলদীপকে নিয়ে ফাটকা খেলা যায়? আমার মনে হয়, ওকে দু’ভাবে ব্যবহার করুক গম্ভীর। পাওয়ার প্লে-তে সুনীল নারাইন সফল না হলে কুলদীপকে নিয়ে আসা হোক। হায়দরাবাদের বাঁ-হাতি ওপেনারদের বিরুদ্ধে ওর বাইরে বেরিয়ে যাওয়া ডেলিভারিগুলো কাজে লাগতে পারে। এর পরে গম্ভীর ওকে নিয়ে আসুক মিডল ওভারে। অর্থাৎ ১২ থেকে ১৫ ওভারের মধ্যে।

আরও খবর: ছিটকে গেলেন নেহরা, ফিটনেস টেস্ট যুবরাজের

একটা কথা মনে রাখতে হবে। শুধু পাওয়ার প্লে বা ডেথ ওভারের ব্যাটিং-বোলিংয়ে একটা টি-টোয়েন্টি ম্যাচের ফয়সালা হয় না। বেশিরভাগ ম্যাচের ভাগ্যই ঠিক হয় ১২, ১৩, ১৪, ১৫ ওভারে। এখানে কিন্তু রানটা আটকাতে হবে কলকাতার। এমনকী ওই সময় ওয়ার্নার থাকলেও ঝুঁকি নিয়ে কুলদীপকে আনতে হবে। ওই সময় গোটা দু’য়েক উইকেট ফেলে দিতে পারলে কিন্তু হায়দরাবাদের রান রেট এমনিতেই কমে যাবে।

তবে শুধু বোলিংয়েই নয়, ওই মিডল ওভারগুলোয় কেকেআর-কে বুদ্ধি খাটিয়ে ব্যাটও করতে হবে। ধরে নেওয়া যেতে পারে, ওই সময় হায়দরাবাদের হয়ে বল করবে রশিদ খান এবং মহম্মদ নবি। এই দুই স্পিনার কিন্তু রান আটকানোর পাশাপাশি উইকেট তোলাতেও সফল। বিশেষ করে লেগ স্পিনার রশিদ। তাই রশিদের ওভারগুলো দেখে খেলে বাকিদের বিরুদ্ধে ঝুঁকি নিয়ে মারতে হবে।

মাঝের এই ওভারগুলোয় এক দিকে মণীশ পাণ্ডে থাকুক সিঙ্গল নিয়ে নিয়ে স্ট্রাইক রোটেট করার জন্য। ও ইনিংসটা তৈরি করুক। অন্য এক জনকে দায়িত্ব নিতে হবে বিগ হিট নেওয়ার। ক্রিস লিন বা গৌতম গম্ভীর (কেকেআর অধিনায়কেরই ওপেন করা উচিত সুনীল নারাইনের বদলে) থেকে গেলে তো কথাই নেই। না হলে মারার দায়িত্ব নিতে হবে ইউসুফ পাঠান বা রবিন উথাপ্পার কাউকে।

ম্যাচের নায়ক হতে পারে অনেকেই। কলকাতার লিন, নারাইন। হায়দরাবাদের ওয়ার্নার, ভুবনেশ্বর কুমার। কিন্তু মনে রাখতে হবে, মাঝে মাঝে পার্শ্বচরিত্ররাও ম্যাচের ভাগ্য ঠিক করে দিতে পারে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE