এ বার আইপিএলের শুরু থেকেই মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ভয়ঙ্কর। রবিবার ওয়াংখেড়েতে সেই মেজাজেই পাওয়া গেল তাদের। প্রথম ম্যাচে রাইজিং পুণে সুপারজায়ান্টের কাছে হারের পরে সেই যে ঘুরে দাঁড়িয়েছে রোহিত শর্মার দল, তার পর থেকে আর তাদের রোখা যাচ্ছে না।
রবিবার সুরেশ রায়নার গুজরাত লায়ন্সও তা হাড়ে হাড়ে টের পেল। কায়রন পোলার্ড ও রোহিতের ব্যাটিংয়ের দাপটে ছয় উইকেটে সহজ জয় তুলে নিল মুম্বই। ওয়াংখেড়ের স্লো উইকেটে প্রথমে ব্যাট করে গুজরাত তোলে ১৭৬-৪। ব্রেন্ডন ম্যাকালাম করেন ৪৪ বলে ৬৪। দীনেশ কার্তিক ২৬ বলে ৪৮। রায়না ২৮ রান করলেও সেটা তুলতে ২৯ বল খরচ করে ফেলেন।
মুম্বই ব্যাট করতে নামার আগে ম্যাকালাম বলেছিলেন, তাঁরা অন্তত ১০-১৫ রান বেশি তুলেছেন। কিন্তু কায়রন পোলার্ড ফর্মে থাকলে কোন লক্ষ্য যে বড়, সেটাই বলা মুশকিল। তার ওপর আবার রোহিতের ব্যাটেও রান। রবিবার ২৩ বলে ৩৯ রান করে গেলেন পোলার্ড। মুম্বই অধিনায়ক করলেন ২৯ বলে অপরাজিত ৪০।
আরও পড়ুন: ঘরের মাঠে গতির সঙ্গে যুদ্ধ গোতির
তবে ভিতটা তৈরি করে দেন তরুণ ব্যাটসম্যান নিতীশ রানা। যিনি ৩৬ বলে ৫৩ রান করে ম্যাচের সেরার পুরস্কার জিতে নেন। আইপিএলে এ পর্যন্ত পাঁচ ইনিংসে ১৫৫ রান করে গৌতম গম্ভীরের কাছ থেকে অরেঞ্জ ক্যাপ নিয়ে নিলেন তিনি।
ম্যাচের পর মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ক্যাপ্টেন বলেন, ‘‘আমি চার নম্বরে নেমে ব্যাটিংয়ে ভারসাম্য বজায় রাখছি। প্রয়োজন হলে ওপেন করতে নামতেই পারি। কিন্তু এখনই তার দরকার নেই বোধহয়।’’ পোলার্ড-রোহিত জুটির ৬৮ রানটাই মুম্বইয়ের ইনিংসে সবচেয়ে বড় ফ্যাক্টর হয়ে যায় এ দিন। তবে রোহিতের অবশ্যই ধন্যবাদ দেওয়া উচিত অস্ট্রেলিয়ার পেসার অ্যান্ড্রু টাইকে। একবার শরীরের ব্যালান্স রাখতে না পেরে ক্রিজের বাইরে রোহিত উল্টে পড়া সত্ত্বেও টাই তাঁকে রান আউট করে দেননি। মুম্বই ক্যাপ্টেন তখন ২৬ রানে। ওই সময় আউট হয়ে গেলে মুম্বইয়ের কাজটা কঠিন হয়ে যেত। পোলার্ড যখন আউট হন, তখন ১১ বলে ১৭ রান দরকার ছিল তাদের। রোহিত ও হার্দিক একটা করে চার মেরে ও বাকিটা খুচরো রানেই তুলে নেন। মুম্বইয়ের পক্ষে একটাই চিন্তার বিষয়, লাসিথ মালিঙ্গার ফর্ম। রবিবার তিনি ৪ ওভারে ৫১ রান দিয়ে নিলেন এক উইকেট। রোহিত তাঁকে এ দিন স্লগে বলও করাননি। এর ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, ‘‘গুজরাত ব্যাটিংয়ের মাথাটাই বিপজ্জনক। তাই মালিঙ্গাকে শুরুতে বল করাই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy