ঋষভ পন্থের মধ্যে যুবরাজ সিংহ ও সুরেশ রায়নাকে দেখতে পান, সচিন তেন্ডুলকর। এ বারের আইপিএলে দেশের বেশ কয়েকজন তরুণ ক্রিকেটার যথেষ্ট ভাল পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন বলে মনে করেন ক্রিকেট কিংবদন্তি।
রবিবার আইপিএল ফাইনালের আগে টিভি সাক্ষাৎকারে সচিন দিল্লির তরুণ ব্যাটসম্যান-উইকেটকিপারকে নিয়ে বলেন, ‘‘ঋষভ বিশেষ প্রতিভা। যুবরাজ সিংহ ও সুরেশ রায়নাকে খুঁজে পাই ওর মধ্যে। স্টাম্পের সামনে ওর দাঁড়ানো, ওর ব্যাটের মোচড়— দারুণ লাগে ওর ব্যাটিং দেখতে।’’
আইপিএল দশে ১৪ ইনিংসে ৩৬৬ রান করেছেন ঋষভ। গুজরাত লায়ন্সের বিরুদ্ধে তিন রানের জন্য সেঞ্চুরি পাননি তিনি। ফিরোজ শাহ কোটলায় ৪৩ বলের সেই ইনিংসে ছ’টা বাউন্ডারি ও ন’টা ছয় হাঁকিয়েছিলেন ঋষভ। তবে ধারাবাহিক ভাবে রান পাননি তিনি। ঘরোয়া মরশুমেও ভাল পারফরম্যান্স দেখান তিনি।
বাবাকে হারানোর শোক সামলে এ বারের আইপিএলে খেলতে আসেন ঋষভ। এই নিয়ে সচিন বলেন, ‘‘আমার উপর দিয়েও তো এই ঝড় গিয়েছে ১৯৯৯ বিশ্বকাপে। তাই জানি পরিবারে এমন একটা দুর্ঘটনা ঘটা সত্ত্বেও ক্রিকেটে ফিরে এসে ফোকাস করা মোটেই সহজ নয়। এই ক্ষতি তো কখনও পূরণ হওয়ার নয়। ঋষভ আর ওর ফ্যামিলিকে পুরো নম্বর দেওয়া উচিত। এই সব সময়ে পরিবারের সমর্থন ছাড়া এ ভাবে ঘুরে দাঁড়ানো যায় না।’’
শুধু ঋষভ নন, আরও কয়েকজন তরুণ ক্রিকেটারের প্রশংসা করেন ভারতীয় কিংবদন্তি। আইপিএল ফাইনাল শুরুর আগে তিনি বলেন, ‘‘আমাদের দলের নীতীশ রাণা টুর্নামেন্টের প্রথম দিকে ভাল ব্যাটিং করে। (বাসিল) থাম্পি ও (মহম্মদ) সিরাজের বোলিং দেখেছি। বুমরাও ধারাবাহিক ভাবে ভাল খেলেছে। রাহুল ত্রিপাঠীর ব্যাট সুইং ও কভার ড্রাইভ সে দিন বীরুর (সহবাগ) কথা মনে পড়ছিল।’’
রাহুল ত্রিপাঠী ১৪ ইনিংসে ৩৯১ রান করেন। যদিও ফাইনালে দলকে তেমন রান দিতে পারেননি। মাত্র তিন রান করেই আউট হয়ে যান। আর নীতীশ রানা ১২ ইনিংসে তত রান করেন। যার মধ্যে একটি ম্যাচ জেতানো ৩৪ বলে ৬২ রানের ইনিংস খেলেন দিল্লির এই ২৩ বছর বয়সি তরুণ। থাম্পি এ বারের আইপিএলে ১১টা ও সিরাজ দশটা উইকেট পেয়েছেন।
দেশের তরুণ ক্রিকেটারদের পক্ষে যে আইপিএল কতটা উপকারী, সেই প্রসঙ্গে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের মেন্টর সচিন বলেন, ‘‘ক্রিকেট বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা ক্রিকেটারদের সঙ্গে ৪০-৫০ দিন ধরে খেলার যে সুযোগ পাচ্ছে আমাদের ছেলেরা, তাতে তারা অনেক কিছু শিখছে। শুধু কী করে ম্যাচের প্রস্তুতি নিতে হয়, তা নয়, এক ম্যাচের পর শরীরকে ফের আর এক ম্যাচের জন্য তৈরি করাটাও শিখছে তারা। যেমন জাক কালিস তো কেকেআরে অনেক দিন ধরেই রয়েছে। ওদের দলের সবাই বুঝে গিয়েছে, দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট সংস্কৃতিটাও বুঝে নিতে পারছে ওই দলের ছেলেরা।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy