Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

দলাদলির গড্ডলিকা প্রবাহে

বলা বাহুল্য, বাঙালি ভদ্রলোকদের দলপতিকে রীতিমতো তোষামোদ করতে হত। প্রয়োজনে ও অপ্রয়োজনে দলপতির হয়ে ঢাক পেটানো, গুণগান, স্তাবকতা, তোয়াজ, চাটুকারিতা— সব কিছুই করতে হত।

প্রদীপ বসু
শেষ আপডেট: ১৫ এপ্রিল ২০১৮ ০০:০১
Share: Save:

উনিশ শতকের কলকাতার সমাজ ব্যবস্থায় দলের প্রভাব ছিল অপরিসীম। অনেক দিন আগে ঐতিহাসিক সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় কলকাতার দলাদলি নিয়ে খুব ভাল একটি প্রবন্ধ লিখেছিলেন, যা আছে তাঁর ‘ক্যালকাটা: মিথস অ্যান্ড হিস্ট্রি’ (১৯৭৭) গ্রন্থে। তিনি বলেছিলেন, উনিশ শতকে কলকাতায় ছোট-বড় নানা দল ছিল কিন্তু প্রধান দল ছিল পাঁচটি। এই দলগুলির দলপতিরা ছিলেন রাধাকান্ত দেব, আশুতোষ দেব, ঠাকুর পরিবার, বিশ্বনাথ মতিলাল ও কালীনাথ মুন্সী। কলকাতার ভদ্রলোক সমাজে দলপতিদের ছিল অপ্রতিহত ক্ষমতা। দলস্থ লোকের কাছে তিনি ছিলেন এক ভীতির ব্যাপার, কারণ তিনি ছিলেন দলস্থ সকলের জাতি, জীবন ও ধর্মের রক্ষক ও ভক্ষক। দলস্থ মানুষদের সন্তানের জন্ম, বিবাহ, শ্রাদ্ধ প্রভৃতি অনুষ্ঠানে দলপতির অনুমোদন জরুরি ছিল। তিনি ঠিক করে দিতেন কে নিমন্ত্রিত হবেন এবং কাকে নিমন্ত্রণ করা যাবে না, ক’জন ব্রাহ্মণকে ডাকতে হবে ইত্যাদি। দলের কেন্দ্রে থাকতেন ধনী ও প্রাচীন পরিবার, দলপতি সেই পরিবারের বয়োজ্যেষ্ঠ কেউ হতেন, তাঁর নিকট আত্মীয়রা দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হতেন। তবে পরিবার সব সময় একজোট থাকত এমন নয়। ঠাকুরদের মধ্যে যেমন অন্তত তিনটি দল ছিল, একটির নেতা ছিলেন গোপীমোহন ও তাঁর পুত্র প্রসন্নকুমার, দ্বিতীয়টির নেতা ছিলেন দ্বারকানাথ এবং তৃতীয়টির নেতা ছিলেন উমানন্দ, যিনি প্রকৃতপক্ষে দেবদের দলের সমর্থক ছিলেন। আজকের ভাষায় ‘জোট’ গড়েছিলেন।

ভবানীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় ‘কলিকাতা কমলালয়’ বইতে দল সম্বন্ধে বিস্তারিত লিখেছেন। তিনি বলেছেন, ‘দলপতির অনুমতি ব্যতিরেকে কোন স্থানে গমন করা যায় না। পুনশ্চ বলি, ‘যখন যিনি দলভুক্ত হয়েন, তখন দলপতির ফর্দে তাঁহাকে নিজ নাম লেখাইতে হয় এবং যদি কোন ব্যক্তি দোষী বা অপবাদগ্রস্থ হয় তবে দলপতি দলস্থ সকলকে ডাকাইলে তাঁহার নিকট যাইতে হয়। সকলের পরামর্শে যাহা স্থির হয় তাহা দলপতি আজ্ঞা করিলেই করিতে হয়।’ ভবানীচরণ এই দলগুলিকে ভদ্রলোকের দল বলেছেন। আর বলেছেন, অনৈক্য ছাড়া দল হয় না। তবে আজকের রাজনৈতিক দলের নেতাদের মতো দলপতিকে যথেষ্ট কাজ করতে হত। রাধাকান্ত দেবের দলটি সম্ভবত কলকাতার সবচেয়ে বড় দল ছিল। ‘সমাচার চন্দ্রিকা’ পত্রিকা থেকে জানতে পারি, এই দলের প্রতি মিটিং-এ দলপতি অন্তত দুশো পিটিশনের উপর ব্যবস্থা দিতেন।

বলা বাহুল্য, বাঙালি ভদ্রলোকদের দলপতিকে রীতিমতো তোষামোদ করতে হত। প্রয়োজনে ও অপ্রয়োজনে দলপতির হয়ে ঢাক পেটানো, গুণগান, স্তাবকতা, তোয়াজ, চাটুকারিতা— সব কিছুই করতে হত। ভবানীচরণ লিখেছেন, যখন কারও বাড়িতে অনুষ্ঠান হত, দলপতি একটু দেরিতে প্রবেশ করতেন। অন্যরা তাঁর প্রতীক্ষায় কাল যাপন করতেন। দলপতির আগমন ঘটলেই সকলে উঠে ‘আসতে আজ্ঞা হয়’, ‘আসতে আজ্ঞা হয়’ প্রভৃতি পূজ্যতাবোধক সম্বোধনে তাঁকে অভ্যথর্না করতেন। দলপতি একটি পৃথক আসনে বসে খোঁজ নিতেন কে এসেছেন আর কে আসেননি। এর পর কর্মকর্তা গলবস্ত্রে নিমন্ত্রিত সকলকে মালা-চন্দন দেওয়ার অনুমতি প্রার্থনা করতেন। কিন্তু কে আগে মালা-চন্দন পাবে তা নিয়ে বিবাদ লেগে যেত। দলপতি বিবাদভঞ্জন করতেন। এর পর দলপতি নিমন্ত্রিতের মর্যাদা অনুযায়ী কে কত বিদায়-দক্ষিণা পাবেন তার অঙ্কপাত করে কর্মকর্তাকে জানাতেন। কর্মকর্তা সেই মতো সকলকে দান প্রদান করতেন। এর পর ভবানীচরণ লিখেছেন: ‘ইহাতে দলপতির যে লক্ষ্য হয় তাহা আমি আর অধিক কি কহিব আপনিই বিচার করুন।’

দল পরিচালিত হত ‘আমরা–ওরা’, ‘শত্রু-মিত্র’ নীতির উপর ভিত্তি করে। দলগুলির মধ্যে বিবাদ, কোন্দল, রেষারেষি, লড়ালড়ি, হানাহানি লেগেই থাকত। অনেকে মনে করতেন, এই দলাদলি বাঙালি জীবনের সর্বনাশ ডেকে আনবে। কিন্তু মজার কথা হল, আজকের বাঙালি জীবনও দলকে অতিক্রম করে যেতে পারেনি, আটকে রয়েছে দলাদলির কর্দমাক্ত জমিতে। দলের মডেল হল মেষ ও মেষপালকের মডেল। মেষপালক তার মেষদের দেখাশোনা করে, দেখে তারা সীমার বাইরে যাচ্ছে কি না। প্রয়োজনে পিঠে দু’এক ঘা লাঠির বাড়ি বসাতে দ্বিধা করে না। দলপতি হলেন এই মেষপালকের মতো। দলপতির এই ক্ষমতাকে মিশেল ফুকো বলেছেন ‘প্যাস্টোরাল পাওয়ার’।

স্বাধীনতার পর পুরনো দলের জায়গা দখল করেছে রাজনৈতিক দলগুলি। বাঙালি ভদ্রলোক দলদাসই রয়ে গিয়েছে। যদিও দ্বিজেন্দ্রলাল বলেছেন, বাঙালি মেষ নয়, মানুষ, বাঙালি আসলে মেষই রয়ে গিয়েছে। এ রাজ্যের মানুষ দলতন্ত্র, দলের অন্ধ আনুগত্য, ক্ষুদ্র স্বার্থ, পরমুখাপেক্ষিতার গণ্ডি থেকে কিন্তু বেরিয়ে আসতে পারেনি। আজকের বাঙালি জীবনে দলাদলির শিকড় যে কতটা গভীরে পৌঁছেছে, তার নজির ছড়িয়ে আছে দৈনিক খবরের কাগজ থেকে টিভির নিউজ চ্যানেলে, খেলার মাঠ থেকে থিয়েটারের স্টেজে, দুর্গাপুজোর মণ্ডপ থেকে সংস্কৃতির আঙিনায়।

অলস, জড়ীভূত বাঙালি ভদ্রলোক দলের অধীনে থাকতে অনেক স্বচ্ছন্দবোধ করছে। দলের ছত্রছায়ায় এরা নিরাপদ বোধ করে, নিজের ক্ষুদ্র স্বার্থকেও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। দলদাস এই মানুষ কলের পুতুলের মতো বাঁধা বুলি আওড়ায়। দলের কথায় পরস্পরের বিরুদ্ধে হিংসা, খুনোখুনিতে লিপ্ত হতে এদের কোনও দ্বিধা নেই। এদের কোনও যুক্তিভিত্তিক, নিরপেক্ষ ন্যায়-অন্যায় বোধ নেই। এরা জানে— নিজের দলের সব ভাল, আর অন্য দলের সব খারাপ।

গত দুশো বছরে এ ব্যাপারে বাঙালির কোনও পরিবর্তন হয়নি। পাবলিক জীবনে বাঙালির মানসিকতা কিছুই পালটায়নি, মেষ ও মেষপালকের সম্পর্কই রয়ে গিয়েছে। এক কথায় বাঙালির আর আধুনিক হওয়া হয়নি। প্যাস্টোরাল ক্ষমতার অধীনেই সে ভাল থেকেছে। দলাদলি যেহেতু শত্রু-মিত্র, আমরা-ওরা বিভাজনে বিশ্বাস করে, তাই বাঙালির পাবলিক জীবনে এত নৈরাজ্য, খুনোখুনি, গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এত হিংসা, তাণ্ডব, ভয় প্রদর্শন। মানুষকে তার অধিকার প্রয়োগ করতে বাধা দিলে দল শক্তিশালী হয়। দলাদলিভিত্তিক সমাজজীবনে শত্রুর বিনাশ বৈধ কাজ। শত্রুকে পাড়াছাড়া করা, গ্রামছাড়া করা অপরাধ নয়। এই কারণে এই সমাজে কোনও পাবলিক নৈতিকতা থাকে না।

বাঙালি জীবনে দল এমন মজ্জায় ঢুকে গিয়েছে যে, সে সব কিছু দলাদলির মাধ্যমে বিচার করে। দলাদলির সর্বগ্রাসী মানসিকতার এক অদ্ভুত ও আশ্চর্য দৃষ্টান্ত দেখা যায় বিশ্বকাপ ফুটবলের সময়। হাজার হাজার মাইল দূরে দুটি দেশ ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা এবং তাদের সমর্থনে তীব্র দলাদলি। পাড়ায় পাড়ায় দেওয়ালে রঙ করে, টিমের জার্সি পরে, মুখে রং মেখে কেউ ব্রাজিলের সমর্থক, কেউ আর্জেন্টিনার। দুই দলের সমর্থকদের মধ্যে সে কী উত্তেজনা, কাজিয়া, গালাগালি, টিটকারি, বিদ্বেষ, শত্রুতা! দলাদলি ছাড়া খেলা উপভোগ করতে জানে না বাঙালি। যেহেতু দলাদলির রাজনীতি নির্ভর করে প্রতিযোগিতা, রেষারেষি, প্রতিপক্ষতার উপর, সেই জন্য দলাদলির রাজনীতির সঙ্গে হিংসার প্রত্যক্ষ যোগ আছে। এ রাজ্যের যে হিংস্র রাজনীতির উল্লেখ করলাম তার প্রধান কারণও কিন্তু দলাদলি। এই কারণেই বোধহয় দলাদলির সঙ্গে দলন, নিপীড়ন শব্দগুলি যুক্ত।

দলস্থ মানুষ ভাবতে জানে না, তার হয়ে দলপতি ভেবে দেন। তাই সে নৈতিকতাও নিয়েও ভাবে না।

তা ছাড়া ভাবতে, চিন্তা করতে পরিশ্রম করতে হয়। অলস বাঙালি ভদ্রলোক এটা শেখেনি, সে সাহসও অর্জন করেনি। এই অপরিণতমনস্কতা থেকে বেরিয়ে আসার উপায় দুশো বছর আগে দার্শনিক ইমানুয়েল কান্ট বলে দিয়েছিলেন। বলেছিলেন, নিজের চিন্তাভাবনায় যুক্তির প্রয়োগ, নিজের উপর আরোপিত অভিভাবকত্ব থেকে বেরিয়ে আসা এবং নিজের বর্তমান কী হতে পারত সেই চিন্তাভাবনার মাধ্যমেই মানুষ আলোকপ্রাপ্ত হয়। আধুনিক জীবনের উপযোগী হয়ে ওঠে। অর্থাৎ সে নিজের চিন্তাভাবনা স্বাধীনভাবে প্রয়োগ করতে সক্ষম হয়। পরনির্ভর, পরমুখাপেক্ষী, দল-গোষ্ঠী-পার্টিনির্ভর মানুষ নিজের অবস্থাকে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারে না।

এই রকম কোনও ক্ষমতা বা সাহস যে বাঙালি অর্জন করতে পারেনি, কান্ট-প্রদর্শিত পথে পালবদ্ধ মেষ থেকে বাঙালি যে মানুষ হতে পারেনি, তার এক বড় দৃষ্টান্ত হল— বাঙালি কোনও নাগরিক সমাজ গড়ে তুলতে পারেনি। দলদাস বাঙালির পক্ষে তা সম্ভব হয়নি। অন্য ভাবে বলতে পারি, দলাদলির বৃত্তের বাইরে বাঙালির যাওয়া সম্ভব হয়নি। একে চরম অপদার্থতা ছাড়া আর কী বলব? এমন নাগরিক সমাজ যা সরকারের নিয়মনীতিকে চ্যালেঞ্জ করবে, সরকার আইন করলে প্রতিবাদ করবে, পক্ষপাতমূলক আচরণ ও শাসননীতির বিরোধিতা করবে, যে নাগরিক সমাজ দলনিরপেক্ষ এবং সব দল থেকে সমদূরত্ব বজায় রাখবে, এ রকম নাগরিক সমাজ তৈরি করার ক্ষমতা বাঙালি অর্জন করেনি। আমরা নাগরিক সমাজকে এক বিকল্প নিয়ন্ত্রক হিসেবে ভাবতে পারি বা পরিবর্তনের এমন এক মাধ্যম হিসেবে ভাবতে পারি, যে পরিবর্তনে সরকারের কোনও তাগিদ নেই কিন্তু যে পরিবর্তন নাগরিক জরুরি মনে করে। এক কথায় নাগরিক সমাজ এমন এক অ-রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান বা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সমন্বয় যা সরকারি প্রাধান্যবিস্তার, অবদমনের বিরুদ্ধাচরণ করার ক্ষমতা রাখে।

হেগেল নাগরিক সমাজকে গভীর ভাবে অনুধাবন করেছিলেন। এবং এ সম্পর্কে ‘ফিলসফি অফ রাইট’ গ্রন্থে তিনি লিখেও গিয়েছেন। তিনি বলতেন, মানুষকে এক সময় পরিবারের গণ্ডি ছাড়িয়ে নাগরিক সমাজে প্রবেশ করতে হয়। পরিবার মানুষকে এক সীমিত নৈতিক জীবনের পরিচয় দেয়, তাই মানুষের ব্যক্তিত্ব নাগরিক সমাজেই বিকশিত হতে পারে। নাগরিক সমাজের পরিসরে মানুষকে স্বাধীনভাবে দেখা হয়, পরিবারের প্রিয় পরিজন হিসেবে নয়। তাই নাগরিক সমাজ এমন এক শিক্ষার পরিসর যেখানে মানুষের নিজের স্বার্থের গণ্ডি থেকে উত্তরণ ঘটে এক সর্বজনীন নাগরিক স্বার্থে। নাগরিক সমাজ যে নৈতিকতার শিক্ষা দেয় সেই নৈতিক জীবনের বৈশিষ্ট্য হল, সামাজিক স্বাধীনতা এবং ব্যক্তিগত স্বাধীনতা বাস্তবায়িত হয় নৈতিক জীবনের সামাজিক প্রতিষ্ঠানে অর্থাৎ নাগরিক সমাজে। যদিও নাগরিক সমাজে নাগরিক নিজের ব্যক্তিগত উদ্দেশ্যে কাজ করে, কিন্তু এই কাজটি হয় সামাজিক সহযোগিতার পরিবেশে। তাই নাগরিক সমাজ হল পরস্পরনির্ভরতার, পরস্পরের নিরাপত্তার এক পরিসর।

নৈতিক জীবনের সামাজিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে যে সামাজিক স্বাধীনতার কথা বললাম, সেই স্বাধীনতা বাংলার সমাজ-রাজনীতিতে সম্ভব নয়। যে সমাজ-রাজনীতি খাড়াখাড়িভাবে শত্রু-মিত্র, আমরা-ওরা, এই রকম দলে বিভাজিত এবং এর পরিণামে যে রাজনীতি পরিচালিত হয় বৈষম্যমূলক, পক্ষপাতমূলক বিভেদের আচরণের মাধ্যমে, সেখানে ব্যক্তির অস্তিত্ব সীমিত, খণ্ডিত। বিরোধ, সংঘাতের এই পরিবেশে নাগরিকদের মধ্যে কোনও পরস্পরনির্ভরতা সম্ভব নয়। বস্তুত বিভেদ, দলাদলি, শত্রু-মিত্রের রাজনীতি এই বঙ্গে কোনও নাগরিক সমাজ তৈরি হতে দেয়নি। ফলে কোনও পাবলিক এথিকস তৈরি হয়নি। এই জন্য দেখি, মিছিলে আটকে পড়ে মরণাপন্ন রোগী হাসপাতালে যেতে পারেন না, পথেই মৃত্যু হয়। বাড়ির সামনে রাত্রি দুটো অবধি তারস্বরে লাউডস্পিকার বাজতে থাকে। ভোট দিতে গেলে রক্তাক্ত হয়ে ফিরতে হয়। বাঙালি দলের ‘সাবজেক্ট’ই রয়ে গিয়েছে, স্বাধীন নাগরিক হতে পারেনি। লাগামছাড়া ক্ষমতার অপব্যবহার প্রতিরোধ করার ক্ষমতাই অর্জন করতে পারেনি। এর জন্য নিজের চিন্তাভাবনার উপর বিশ্বাস করার সাহস রাখতে হয়। সেই সাহস বাঙালি অর্জন করতে পারেনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Poila Baisakh Special Bengali New Year
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE