Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

আলোচনায় কর্মবিরতি উঠল বাঁকুড়া মেডিক্যালে

কড়া নিরাপত্তার আশ্বাস পেয়ে বুধবার বিকেলে কর্মবিরতি তুলে নিলেন বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জুনিয়র ডাক্তাররা। সোমবার হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি হওয়া এক রোগিণীর আত্মীয়দের বিরুদ্ধে হামলা চালানোর অভিযোগ তোলেন এক জুনিয়র ডাক্তার। অভিযুক্তদের মধ্যে এক জনকে গ্রেফতারও করে পুলিশ। জুনিয়র ডাক্তারের উপর হামলার প্রতিবাদে এবং হাসপাতালের নিরাপত্তা বাড়ানো-সহ বেশ কিছু দাবিদাওয়া নিয়ে মঙ্গলবার সকাল থেকেই কর্মবিরতি শুরু করেন প্রায় ১০০ জন জুনিয়র ডাক্তার।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বাঁকুড়া শেষ আপডেট: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০১:৩৩
Share: Save:

কড়া নিরাপত্তার আশ্বাস পেয়ে বুধবার বিকেলে কর্মবিরতি তুলে নিলেন বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জুনিয়র ডাক্তাররা। সোমবার হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি হওয়া এক রোগিণীর আত্মীয়দের বিরুদ্ধে হামলা চালানোর অভিযোগ তোলেন এক জুনিয়র ডাক্তার। অভিযুক্তদের মধ্যে এক জনকে গ্রেফতারও করে পুলিশ। জুনিয়র ডাক্তারের উপর হামলার প্রতিবাদে এবং হাসপাতালের নিরাপত্তা বাড়ানো-সহ বেশ কিছু দাবিদাওয়া নিয়ে মঙ্গলবার সকাল থেকেই কর্মবিরতি শুরু করেন প্রায় ১০০ জন জুনিয়র ডাক্তার। তাঁদের অনুপস্থিতিতে হাসপাতাল সামলাতে হচ্ছিল পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেনি (পিজিটি)-দের। পর্যাপ্ত পরিমাণ পিজিটি থাকায় কর্মবিরতির জেরে হাসপাতালের চিকিৎসা পরিষেবা অবশ্য ব্যাহত হয়নি বলেই জানিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে বুধবার আলোচনায় বসেন হাসপাতালের সুপার পঞ্চানন কুণ্ডু। বৈঠকে জুনিয়র ডাক্তাররা হাসপাতালের পরিকাঠামো ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে তাঁদের ক্ষোভের কথা জানান। কয়েক ঘণ্টা আলোচনার পরে কর্মবিরতি তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয় জুনিয়র ডাক্তারদের তরফে। হাসপাতাল সুপার বলেন, “ইমার্জেন্সির সামনে পুলিশ পিকেট করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অবাঞ্ছিত কেউ যাতে হাসপাতালে না ঢুকতে পারে, তাই এই ব্যবস্থা করা হবে। জুনিয়র ডাক্তাদের সমস্যা জানতে নিয়মিত বৈঠকও করব আমরা।” উল্লেখ্য, বাঁকুড়া মেডিক্যালে আগেও জুনিয়র ডাক্তারদের উপরে হামলার ঘটনা ঘটেছে। নিরাপত্তার দাবিতে তখনও সরব হয়ে কর্মবিরতির পথেই হেঁটেছেন তাঁরা।

জুনিয়র ডাক্তারদের ক্ষোভ, প্রতিবারই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কর্মবিরতি তোলার জন্য তাঁদের সঙ্গে আলোচনায় বসে নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়ানোর আশ্বাস দিয়েছেন। কিন্তু, তার পরেও পরিস্থিতি পাল্টায়নি। এ বারও একই ঘটনা ঘটল। আন্দোলনকারীদের মধ্যে অশোক মহানালবীশ, সৌরভ হালদাররা বলেন, “নিরাপত্তা নেই। ভাল পরিষেবা দেওয়ার পরিকাঠামোও নেই এই হাসপাতালে। তাই কাজের ক্ষেত্রে খুবই অসুবিধায় পড়তে হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নিরাপত্তা জোরদার করা ও আমাদের সমস্যা শুনতে প্রতি মাসে বৈঠক করার আশ্বাস দিয়েছেন। তাই কর্মবিরতি তুলেছি।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE