চিকিত্সায় গাফিলতির অভিযোগে মালদহের একটি নার্সিংহোমের শাখার ডায়াগনaস্টিক সেন্টারে ভাঙচুর ও এক চিকিত্সককে নিগ্রহের অভিযোগ উঠল রবিবার দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুর শহরে।
গঙ্গারামপুর থানা থেকে পুলিশ যায়। গণ্ডগোলের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান এলাকার তৃণমূল বিধায়ক সত্যেন রায়ও। তাঁর আশ্বাসে রোগীর আত্মীয়-সহ উত্তেজিত জনতা শান্ত হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গঙ্গারামপুর শহরের পূর্ব রামকৃষ্ণপল্লির বাসিন্দা বছর পঁয়তাল্লিশের রানু দাস গত সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর পেটে ব্যাথা নিয়ে ওই নার্সিংহোমে ভর্তি হন। তাঁর পরীক্ষানিরীক্ষা পরের দিনই তাঁকে সেখান থেকে ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়। বাড়ি ফিরলে মহিলার ফের পেটে ব্যাথা শুরু হয়। শুক্রবার তাঁকে গঙ্গারামপুর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। রানুদেবীর মামা বিমল দাসের অভিযোগ, নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ অস্ত্রোপচার ও ওষুধের বিল বাবদ প্রায় ৪০ হাজার টাকা নিয়েছিলেন। পরে মহকুমা হাসপাতালে আলট্রাসোনোগ্রাফির পরে জানা যায়, পেটের পাথর রয়ে গিয়েছে। বিধায়ক সত্যেন রায় বলেন, মালদহের ওই নার্সিংহোমে ভর্তি করানো হলে, সেখানে মহিলার পেটে পাথর থেকে ক্যানসারের সম্ভাবনা হতে পারে সন্দেহ করে অস্ত্রোপচার করা হয়। তবে বায়োপসির জন্য ছোট অস্ত্রোপচার করা হয়েছিল। তখনই অস্ত্রোপচার করা যাবে না বলে জানিয়ে রোগীকে ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়। তারপর মহিলার ব্যাথা না কমায় আত্মীয়রা তাঁকে স্থানীয় গঙ্গারামপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করান। সেখানে আলট্রাসোনোগ্রাফিতে দেখা যায় পাথরটি বেশ বড়। মহকুমা হাসপাতালের চিকিত্সকদের নিয়ে মেডিক্যাল বোর্ড তৈরি করে মহিলার চিকিত্সার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বায়োপসির রিপোর্ট পেলে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য হাসপাতাল সুপারকে বলা হয়েছে। বিধায়কের দাবি, ভুল বোঝাবুঝির জেরে এ দিনের ঘটনা। নার্সিংহোমের এক প্রতিনিধি অমিত গোস্বামী বলেন, “গোটা বিষয়টি কর্তৃপক্ষ খতিয়ে দেখছেন। তবে ভুল বুঝে রোগীর আত্মীয়-সহ লোকজন চড়াও হয়ে ওই সেন্টারের আসবাব ভেঙেছে। সংশ্লিষ্ট চিকিত্সকের গায়ে হাত দেওয়া হয়েছে। পুলিশকে সব জানানো হয়েছে।” বিমলবাবু বলেন, “সত্যেনবাবুর আশ্বাসে আমরা কয়েকদিন দেখব। তারপরে থানায় এবং ক্রেতা সুক্ষা আদালতে মামলা করব।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy