Advertisement
২৩ এপ্রিল ২০২৪

জলকষ্ট মেটাতে হেলদোল নেই স্বাস্থ্য আর প্রশাসনের

জলবাহিত রোদের প্রকোপ বাড়ছে জলপাইগুড়িতে। চাপ বাড়ছে জেলা সদর হাসপাতালেও। তাই একই শয্যায় দু’জন কের রোগী। সোমবারের নিজস্ব চিত্র। জলপাইগুড়ি জেলা সদর হাসপাতালে পানীয় জলের কষ্ট চলছেই। সোমবারও রোগীদের অনেককেই তেষ্টা মেটানোর জন্য পানীয় জল কিনে খেতে হয়েছে। গরমের সময়ে পানীয় জলের কষ্ট হলেও তা দূর করতে প্রশাসন কিংবা স্বাস্থ্য দফতরের কোনও হেলদোল নেই কেন তা নিয়ে ক্ষোভ দানা বাঁধছে।

জলবাহিত রোদের প্রকোপ বাড়ছে জলপাইগুড়িতে। চাপ বাড়ছে জেলা সদর হাসপাতালেও। তাই একই শয্যায় দু’জন কের রোগী। সোমবারের নিজস্ব চিত্র।

জলবাহিত রোদের প্রকোপ বাড়ছে জলপাইগুড়িতে। চাপ বাড়ছে জেলা সদর হাসপাতালেও। তাই একই শয্যায় দু’জন কের রোগী। সোমবারের নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ২২ এপ্রিল ২০১৪ ০৩:০৬
Share: Save:

জলবাহিত রোদের প্রকোপ বাড়ছে জলপাইগুড়িতে। চাপ বাড়ছে জেলা সদর হাসপাতালেও। তাই একই শয্যায় দু’জন কের রোগী। সোমবারের নিজস্ব চিত্র।

জলপাইগুড়ি জেলা সদর হাসপাতালে পানীয় জলের কষ্ট চলছেই। সোমবারও রোগীদের অনেককেই তেষ্টা মেটানোর জন্য পানীয় জল কিনে খেতে হয়েছে। গরমের সময়ে পানীয় জলের কষ্ট হলেও তা দূর করতে প্রশাসন কিংবা স্বাস্থ্য দফতরের কোনও হেলদোল নেই কেন তা নিয়ে ক্ষোভ দানা বাঁধছে। হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান তথা উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব উদ্বেগ প্রকাশ করলেও সন্ধ্যা পর্যন্ত পানীয় জল সরবরাহ হাসপাতালে স্বাভাবিক হয়নি। এমনকী, পুরসভার তরফে হাসপাতালে পানীয় জল বিলির ব্যবস্থা করার জন্যও স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকেও কেউ কোনও অনুরোধ করেননি। পুর চেয়ারম্যান মোহন বসু বলেছেন, “হাসপাতালে পরিস্রুত জলের সমস্যা দীর্ঘদিনের। সমিতির প্রতিটি সভাতে ওই বিষয়ে বলেছি। কিন্তু লাভ হয়নি। গরমে জল কষ্ট বাড়ছে দেখে আমাদের বললেই দুটো জলের ট্যাঙ্কার পাঠিয়ে দিতাম। পানীয় জলের কষ্ট কিছুটা দূর হত। রোগীদের এতটা কষ্ট দেওয়া মানা যায় না।” জেলা স্বাস্থ্য দফতরের কয়েকজন অফিসার জানান, জল প্রকল্পের কাজ চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে মনে করে পুরসভার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়নি।

জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জগন্নাথ সরকার বলেছেন, “মঙ্গলবার থেকে পরিস্রুত পানীয় জল সরবরাহের ব্যবস্থা করার কাজ শুরু হয়ে যাবে। কয়েক মাস আগে হাসপাতালে জলের সমস্যার বিষয়টি নজরে আসে। এর পরেই ঠান্ডা পরিস্রুত পানীয় জল সরবরাহের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তু ব্যবস্থা নিতে গিয়ে নির্বাচন চলে আসে। এর ফলে কিছুটা দেরি হয়।”

এ দিন রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান মন্ত্রী গৌতমবাবু বলেন, “হাসপাতালে পানীয় জলের সমস্যার কথা কেউ আমাকে জানায়নি। এই মুহূর্তে নির্বাচনের জন্য ওই বিষয়ে কিছু বলতে পারব না। তবে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ও সুপারের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে যাগাযোগ করব।” কিন্তু, হাসপাতালের মতো জরুরি পরিষেবার জায়গায় পানীয় জল না থাকলে মন্ত্রী তথা চেয়ারম্যান কিছু করতে পারবেন না কেন সেই প্রশ্নও রোগীর আত্মীয়দের মধ্যে উঠেছে।

জেলা প্রশাসনের দফতর থেকেও স্পষ্ট করে দেওয়া হয়, যে সমস্ত প্রকল্প নির্বাচনের আগে থেকে নেওয়া হয়েছে সেক্ষেত্রে কাজ করতে কোন অসুবিধা থাকার কথা নয়। জেলাশাসক পৃথা সরকার বলেন, “মঙ্গলবার জেলা স্বাস্থ্য কর্তাদের সঙ্গে কথা বলব।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

water deficiency jalpaiguri
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE