তালাবন্ধ সোনাতলা গ্রামের উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র। ছবি: রমাপ্রসাদ গঙ্গোপাধ্যায়।
নির্মাণের পর পাঁচ বছর পেরিয়ে গিয়েছে। তবু আজও চালু হয়নি উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র। ফলে সমস্যায় পড়েছেন এলাকার মানুষ। উদয়নারায়ণপুর ব্লকের গড়ভবানীপুর সোনাতলা গ্রাম পঞ্চায়েত অন্তর্গত সোনাতলা গ্রামের উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্রটির এমনই অবস্থা।
২০০৮ সালে বাম আমলে তৈরি হয়েছিল এই উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র। তখন এখানকার বিধায়ক ছিলেন চন্দ্রলেখা বাগ। স্থানীয় মানুষের কাছে চিকিৎসা পরিষেবা পৌঁছে দিতে এটি তৈরি হয়েছিল। কিন্তু ভবন তৈরি হয়ে যাওয়ার পর এতগুলো বছর কেটে গেলেও উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি আর চালু হয়নি। ফলে যে জন্য এটি তৈরি হয়েছিল তার সুফল থেকে বঞ্চিত এলাকার মানুষকে আজও চিকিৎসার জন্য প্রায় তিন কিলোমিটার রাস্তা পেরিয়ে গুমগড় উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যেতে হচ্ছে।
অথচ সোনাতলা গ্রামের উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্রটির সঙ্গেই তৈরি হওয়া অন্য উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলি অবশ্য চালু হয়ে গিয়েছে। এলাকায় মোট ৪৯০টি পরিবার রয়েছে। হঠাৎ কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লেও চিকিৎসার জন্য তাঁদের অন্য জায়গায় ছুটতে হচ্ছে। বিশেষ করে সমস্যায় পড়ছেন প্রসূতিরা। প্রায় তিন কিলোমিটার দূরের উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গিয়ে শিশুদের টিকাকরণ করাতে হচ্ছে।
গ্রামের বাসিন্দারা জানালেন, এই বর্ষাতেও জলকাদার রাস্তা ভেঙে সেই গুমগড়ে যেতে হয়। উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি চালু হয়ে গেলে এখানকার মানুষের খুব উপকার হবে।” বিষয়টি নিয়ে তাঁরা বার বার প্রশাসনকে জানালেও কোনও ফল হয়নি বলে অভিযোগ। উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রটিতে ৬টি ঘর রয়েছে। এ ছাড়া একটি বাথরুম ও একটি স্টোররুম আছে। চারটি শয্যা, এক জন ডাক্তার ও এক জন নার্স থাকার কথা ছিল। কিন্তু সে সব এখনও দূরঅস্ত। নবনির্মিত ভবনটি তৈরি হওয়ার পর থেকেই বন্ধ। অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে থাকতে রোদ-জলে ভবনের জানলা-দরজার কাঠ নষ্ট হয়ে গিয়েছে। ভবনটির বিভিন্ন অংশের রংও নষ্ট হয়ে গিয়েছে।
তৈরির পরেও উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র চালু না হওয়ার ব্যাপারে উদয়নারায়ণপুরের বিএমওএইচ সৈকত বসু বলেন, “গুমগড়ের ভাড়া বাড়ি থেকে সোনাতলায় উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি স্থানান্তরিত করার কথা ছিল। কিন্তু গুমগড়ের মানুষের আপত্তিতে তা করা সম্ভব হয়নি। তবে খুব শীঘ্রই যাতে সোনাতলায় উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি চালু করা যায় সে বিষয়ে আলোচনা চলছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy