Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

যক্ষারোগীদের জন্য নতুন ওয়ার্ড

কোনও চিকিৎসক অন্যায় করেন তার রাজনৈতিক রং না দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শাসক দলের সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত চিকিৎসক অন্যায় করলেও ছাড় পাবেন না। বুধবার বর্ধমানে নতুন স্বাস্থ্য পরিষেবার উদ্বোধনে এসে এই দাবিই করলেন বিধানসভাব পরিষদীয় সচিব ও তৃণমূল বিধায়ক নির্মল মাজি। এ দিন তিনি বলেন, “যারা হাসপাতালে ভাঙচুর, চিকিৎসক ও নার্সদের ঘেরাও করবেন তাদের গ্রেফতার করে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা করতে হবে।

খুলল ন্যায্যমূল্যের ওষুধ দোকান।

খুলল ন্যায্যমূল্যের ওষুধ দোকান।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বর্ধমান শেষ আপডেট: ২৪ জুলাই ২০১৪ ০২:২২
Share: Save:

কোনও চিকিৎসক অন্যায় করেন তার রাজনৈতিক রং না দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শাসক দলের সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত চিকিৎসক অন্যায় করলেও ছাড় পাবেন না। বুধবার বর্ধমানে নতুন স্বাস্থ্য পরিষেবার উদ্বোধনে এসে এই দাবিই করলেন বিধানসভাব পরিষদীয় সচিব ও তৃণমূল বিধায়ক নির্মল মাজি। এ দিন তিনি বলেন, “যারা হাসপাতালে ভাঙচুর, চিকিৎসক ও নার্সদের ঘেরাও করবেন তাদের গ্রেফতার করে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা করতে হবে। হাসপাতালকে কারখানা করা চলবে না।’’ এই বিষয়ে প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

এ দিন বর্ধমানের অনাময় হাসপাতালে একটি ন্যায্যমূল্যের ওষুধের দোকান ও উদ্বোধন বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে যক্ষ্মারোগীদের জন্য একটি ৪৪ শয্যা বিশিষ্ট ওয়ার্ড ও দু’টি লেকচার হলের উদ্বোধন করেন তিনি। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। এ দিন নির্মলবাবু জানান, জেলার গ্রামীণ হাসপাতাল ও ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে বিনামূল্যে প্যাথলজি কেন্দ্র চালু করতে চলেছে রাজ্য সরকার। একই সঙ্গে সব ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চালু হবে আলট্রাসনোগ্রাফি ও এক্স রে পরিষেবা। বিনামূল্যে মিলবে বিভিন্ন জীবনদায়ী ওষুধ। জেলা যক্ষ্মা আধিকারিক অমিতাভ সাহা বলেন, ‘‘নতুন যক্ষ্মা ওয়ার্ডের জন্য জাতীয় যক্ষা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির আওতায় মোট ১০ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছে।’’

নির্মলবাবু দাবি করেন, বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরী বিভাগে একটি পর্যবেক্ষণ বিভাগ ও অনাময় হাসপাতালে একটি ট্রমা সেন্টার চালু করার প্রস্তুতি চলছে। গুরুতর অসুস্থদের কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালের ছাদে হেলিকপ্টার নামিয়ে চিকিৎসা করার প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো তৈরির চেষ্টা চলছে। তিনি জানান, রাজ্য জুড়ে পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ মডেলে চারটি মেডিক্যাল কলেজ তৈরির চেষ্টা হচ্ছে। ৩২টি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল ও তিনটি নতুন নার্সিং ট্রেনিং কলেজের কাজ প্রায় শেষের দিকে। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলার অন্যতম মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। তিনি বলেন, ‘‘প্রায়ই অভিযোগ আসে, চিকিৎসকরা গরিব মানুষের চিকিৎসা করতে চাইছেন না। এই ঘটনা যাতে না ঘটে, সে দিকে নজর দিতে হবে।’’

বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষা মঞ্জুশ্রী রায় বলেন, ‘‘হাসপাতাল শুধু চিকিৎসক বা নার্সদের নিয়ে চলে না। এখানে স্বাস্থ্যকর্মীদেরও দরকার। কিন্তু আমাদের হাসপাতালে সাধারণ কর্মীর অভাব রয়েছে। ফলে অনেক কাজ আটকে যাচ্ছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE